উত্তরটি হলো “হ্যাঁ”৷
কেউ কেউ বলে থাকে যে ঈশ্বর নরক সৃষ্টি করতে পারেন না৷ তারা যুক্তি দেয় যে ঈশ্বর প্রেম, এবং এহেন প্রেমিক ঈশ্বরের ধারণার সাথে নরক খাপ খায় না৷ তারা এই কথা বলে পরিভাষার পুনর্বিচার করা দ্বারা তাদের কুতর্ক (sophism) প্রকাশ করতে পারে যে, “ প্রৈরিতিক বিশ্বাসসুত্রে প্রকাশিত ‘নরক’ শব্দটির অর্থ কেবল ‘নিম্নতর জগত’, মৃতদের আবাস, যেটি ইব্রীয়দের জন্য “সিউল”, গ্রীকদের জন্য ‘হেডেস’, ল্যাটিনদের জন্য ‘ইনফেরনো’৷ এটি সেই স্থান সমকালীন লেখকদের মতে যে স্থানে প্রভু মৃতদের সাথে সাক্ষাত করবার জন্য তাঁর মৃত্যুর পর গিয়েছিলেন৷”
তবে, প্রভু যীশু স্পষ্টভাবে বলেন যে প্রত্যেক পাপীকে অবশ্যই বিচারিত হতে হবে এবং নিজ পাপের দায়ে নরকের অগ্নিতে যেতে হবে (মথি ১৮:৯, মার্ক ৯:৪৩)
নিশ্চয়, পিতা ঈশ্বর তাঁর পুত্র যীশুর মাধ্যমে আমাদেরকে তাঁর শর্তহীন প্রেম দিয়েছিলেন৷ তবে, তাঁর প্রেমের অর্থ অন্ধ প্রেম নয় বরং সত্যের প্রেম (২ থিষলনীকীয় ২:১০)৷ তিনি আমাদেরকে তাঁর পরিত্রাণের সত্যে প্রেম করেন, অর্থাৎ, জল ও আত্মার সুসমাচার৷ যীশু খ্রীষ্ট তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশারোপনের দ্বারা আমাদের সব পাপ মুছে দিয়েছিলেন৷ এবং এখন যারা এই সত্য সুসমাচারে যীশুকে বিশ্বাস করে তাদের যে কাউকেই তিনি অনন্তজীবন দান করেন৷ তাঁর শর্তহীন প্রেম বলে, “কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ। যিহূদী কি গ্রীক আর হইতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হইতে পারে না, নর ও নারী আর হইতে পারে না, কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সকলেই এক। আর তোমরা যদি খ্রীষ্টের হও, তবে সুতরাং অব্রাহামের বংশ, প্রতিজ্ঞানুসারে
দায়াধিকারী” (গালাতীয় ৩:২৭-২৯)৷
আপনাকে এই সত্যের প্রতি মনোযোগী হতে হবে যে ঈশ্বর ন্যায়বিচারক৷ তিনি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন, “পাপের বেতন মৃত্যু” (রোমীয় ৬:২৩)৷ আপনি নিশ্চিতভাবেই জানেন যে এই মৃত্যুর অর্থ দ্বিতীয় মৃত্যু, অগ্নিহ্রদে অনন্তকালীন যাতনা (প্রকাশিত বাক্য ২০:১৪)৷ লুক ১৬:১৯-৩১ পদে, যীশু আমাদেরকে শিক্ষা দেন যে, আমাদের শারীরিক মৃত্যুর পর দুই ধরনের অনন্তজীবন রয়েছে: একটি স্বর্গ এবং অপরটি অগ্নিহ্রদে অনন্তকালীন যাতনা৷ প্রকাশিত বাক্য ২০-২২ অধ্যায়েও সবিস্তারে সাধুদের প্রথম পুনরুত্থান, সহস্রাব্দের রাজ্য, শেষ বিচারের উদ্দেশ্যে পাপীদের দ্বিতীয় পুনরুত্থান, এবং দুই প্রকার লোকেদের অনন্তকালীন গন্তব্য- স্বর্গ ও নরক এই সম্পর্কিত বর্ণনা রয়েছে৷
আদম নামক একজন মনুষ্যের কারণে সকল মনুষ্য পাপীরূপে জন্মগ্রহণ করে৷ কিন্তু, ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করলেন, যেন, যে কেহ তাঁতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। তবে, যারা তাদের শক্তগ্রীবা ও অনুতাপহীন হৃদয়ের কারণে ঈশ্বরের প্রেমের সত্যকে বর্জন করে, সেই অকৃতজ্ঞদের প্রতি ন্যায়বিচারক ঈশ্বর অগ্নিহ্রদে অনন্তকালীন মৃত্যুর দন্ড ঘোষণা করবেন৷ তারা এরই যোগ্য৷
তাই, আপনাকে এই বাক্য স্মরণ রাখতে হবে: “আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর” (মথি ১০:২৮)৷