আবাস তাম্বু ১৩.৫ মিটার (৪৫ ফিট) দীর্ঘ এবং ৪.৫ মিটার (১৫ ফিট) প্রস্থ, এবং দুই কক্ষ পবিত্র ও মহা পবিত্র স্থানে বিভক্ত৷পবিত্র স্থানের ভেতরে দীপবৃক্ষ, দর্শনরুটির মেজ এবং ধুপবেদী ছিল, মহা পবিত্র স্থানে সাক্ষ্যসিন্ধুক ও অনুগ্রহের সিংহাসন স্থাপিত ছিল৷
পবিত্র ও মহা পবিত্র স্থান দ্বারা গঠিত আবাস তাম্বু, চারিদিকে প্রায় ৭০ সেমি (২.৩ ফিট) চওড়া এবং ৪.৫ মিটার (১৫ ফিট) লম্বা শিঠিম কাঠের তক্তা দিয়ে ঘেরা ছিল৷ এবং আবাসের দ্বারে, স্বর্ণ দ্বারা মোড়ানো ৫ টি শিঠিম কাঠের স্তম্ভ স্থাপিত ছিল৷ দরজাতেই, যেখান দিয়ে একজন ব্যক্তি বহিঃস্থ প্রাঙ্গন থেকে আবাসের ভেতরে প্রবেশ করত, সেটি নীল,বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা সুতার বস্ত্রের দ্বারা নির্মিত পর্দা দ্বারা নির্মিত ছিল৷
আবাস তাম্বুর বাইরের প্রাঙ্গনে ষাটটি স্তম্ভ দাঁড় করানো ছিল, এগুলোর প্রতিটি ২.২৫ (৭.৪ ফিট) মিটার উঁচু ছিল৷ প্রাঙ্গনের ফটক যেটি এর পূর্ব দিকে অবস্থিত ছিল, সেটিও নীল,বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা সুতার বস্ত্রের ছিল, এবং কেবলমাত্র প্রাঙ্গনের বাহিরের ফটক দ্বার পার হয়ে একজনকে আবাস তাম্বুর ভিতরে দ্বারে প্রবেশ করতে হত৷ আবাস তাম্বুর প্রাঙ্গনে যজ্ঞবেদী এবং প্রক্ষালন কক্ষ ছিল৷
এই দুটো পার হবার পর, একজন আবাস তাম্বুর দ্বারে আসতে পারত যেটি ৪.৫ মিটার (১৫ ফিট) লম্বা ছিল৷ আবাস তাম্বুর এই দ্বারের পাঁচটি স্তম্ভ ছিল যেগুলি পিত্তলের চুঙ্গি দ্বারা নির্মিত ছিল৷ আবাস তাম্বুর ফটক দ্বারের পর্দার মত আবাস তাম্বুর দ্বারের পর্দাও নীল,বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা সুতার বস্ত্রের সুতা দ্বারা নির্মিত এবং ৫ টি স্তম্ভের উপরে স্বর্ণের আঁকড়া ছিল৷ পর্দাটি আবাস তাম্বুর ভেতর ও বাইরের দিককে পৃথক করত৷
৪৮ টি তক্তা দ্বারা নির্মিত আবাস তাম্বুতে ঈশ্বর বাস করতেন৷ দিনে মেঘস্তম্ভে ও রাতে অগ্নিস্তম্ভে ঈশ্বর তাঁর উপস্থিতি আবাসে প্রকাশ করতেন৷ মহা পবিত্র স্থানে ঈশ্বর নিজেই বাস করতেন, এবং ঈশ্বরের গৌরবে সে স্থান পরিপূর্ণ থাকত৷ পবিত্র স্থানের ভেতরে দর্শন রুটির মেজ, দীপবৃক্ষ এবং যজ্ঞের সুগন্ধি দ্রব্য থাকত৷ মহা পবিত্র স্থানে সাক্ষ্য সিন্ধুক ও অনুগ্রহ সিংহাসন ছিল৷এই স্থানগুলি সাধারণ ইস্রায়েলীয়দের জন্য নিষিদ্ধ ছিল৷ আবাস তাম্বুর নিয়মানুসারে শুধুমাত্র যাজকগণ ও মহাযাজক প্রবেশ করতে পারত৷
পবিত্র স্থানের ভিতরের সকল পাত্রগুলো স্বর্ণে নির্মিত ছিল৷ দীপবৃক্ষ, দর্শন রুটির মেজ স্বর্ণে নির্মিত ছিল৷যেহেতু পবিত্র স্থানের সমস্ত দ্রব্য এবং তিন দিকের বেষ্টনী খাঁটি সোনার তৈরী ছিল, তাই পবিত্র স্থানের ভিতরটা সব সময় উজ্বল সোনালী আভায় পরিপূর্ণ থাকত৷
পবিত্র স্থানের ভিতরের অংশের উজ্বল সোনালী আভা এই শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের পরিত্রাণ প্রাপ্ত সন্তানগণ মন্ডলীর ভিতরে বিশ্বাসে জীবনযাপন করবে৷ যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসী, সেই সব সাধুরা পবিত্র স্থানের অভ্যন্তরের স্বর্ণ নির্মিত অংশটির মত৷ এই পবিত্র স্থানে বাসকারী অর্থাৎ মন্ডলীতে অবস্থানরত বিশ্বাসীদের জীবন আশীর্বাদ যুক্ত তারা সবসময় ঈশ্বরের বাক্যের পরিচর্যা, প্রার্থনা ও তাঁর প্রশংসায় রত থাকে, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে অনুগ্রহের বস্ত্রে আবৃত হয়ে উপস্থিত হয়৷ পবিত্র স্থানের অভ্যন্তরে এটাই বিশ্বাসের জীবন৷ আপনি অবশ্যই এই সত্য হৃদয়ে ধারণ করেন যে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক গণিত হয়েছে, তারাই কেবল পবিত্র স্থানের বিশ্বাসের মূল্যবান জীবনযাপন করতে পারে৷