কোভিড-১৯ এবং আন্তর্জাতিক ডাক পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে, আমরা সাময়িকভাবে আমাদের ‘বিনামূল্যের মুদ্রিত বইয়ের পরিষেবা’ বন্ধ রেখেছি|
এহেন পরিস্থিতিতে এই মুহুর্তে আমরা আপনাদের কাছে ডাকযোগে বই প্রেরণে অসমর্থ| এই অতিমারীর যেন আশু সমাপন ঘটে এবং ডাক পরিষেবার পুনরাম্ভের জন্য প্রার্থনা করুন৷
স্বর্ণের দীপবৃক্ষটি এক তালন্ত খাঁটি সোনা দিয়ে নির্মিত ছিল৷ এর হাতলটি এক তালন্ত পরিমান বিশুদ্ধ স্বর্ণ পিটিয়ে তৈরী করা হয়েছিল৷ দীপবৃক্ষের দুপাশ থেকে তিনটি শাখা নির্গত হয়েছিল এবং এর হাতল ও ছয়টি শাখার উপরে সাতটি দীপ রাখা ছিল৷ যেহেতু স্বর্ণের দীপবৃক্ষটি এক তালন্ত খাঁটি সোনা দিয়ে নির্মিত ছিল, তাই এটি বেশ দৃষ্টি হরণকারী ও নয়নাভিরাম ছিল৷ স্বর্ণের দীপবৃক্ষটির উপরে, সাতটি তৈলপূর্ণ দীপ থাকত, যেগুলি পবিত্র স্থানকে সর্বদা আলোকিত করে রাখবার জন্য জ্বালানো হত৷ পবিত্র স্থানের ভেতরে স্বর্ণের দীপবৃক্ষ যেমন সর্বদা আলো ছড়ায়,ঠিক তেমন ভাবেই যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে ঈশ্বরের সন্তান হয়েছেন,তারাও জগতকে পরিত্রাণের সেই আলোয় আলোকিত করেছেন যা লোকেদের তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছে৷ অন্য কথায়, কেবলমাত্র তারাই জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে যারা দীপ বৃক্ষের ভুমিকা পালন করতে পারে যা আমাদের পরিত্রাণের আলো দিয়েছে, যাতে অন্যেরাও এই সত্য জানতে এবং পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে পারে৷ দীপ বৃক্ষে ফুল,কলিকা ও বাটি ছিল৷ ঈশ্বর যেমন আদেশ দিয়েছিলেন যে, সাতটি দীপ দীপ বৃক্ষের উপর স্থাপিত হবে, যখন দীপ বৃক্ষ আলো ছড়াতো তখন পবিত্র স্থানে অন্ধকারের লেশমাত্র থাকত না৷ এর অর্থ হলো ধার্মিক যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা তাদের পাপ থেকে পরিস্কৃত হয়েছে, তারা সকলে একত্রিত হয়ে ঈশ্বরের গৃহ নির্মাণ করে ও এই জগতকে আলোকিত করে৷ দীপ বৃক্ষের আলো যা পবিত্র স্থান আলোকিত করত, তা হল জল ও আত্মার সুসমাচার যা এই পৃথিবীর অন্ধকার সরিয়ে দেয়৷