Search

আবাসতাম্বুর অধ্যয়ন

ধুপবেদী

ধুপবেদী
 
ধূপবেদীটি শিটিম কাঠ দ্বারা নির্মিত ও চতুষ্কোণ ছিল৷ ধূপবেদীটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে উভয় দিকে (৪৫ সেমি: ১.৫ ফিট), এবং উচ্চতায় ২ হাত ছিল৷পবিত্র স্থানের ভিতর এটি রাখা থাকত৷ সম্পূর্ণ ধূপবেদীটি সোনায় মোড়ানো, এবং চারিদিকে গলিত সোনা থাকত৷ যে হাতলের সাহায্যে ধূপবেদীটিকে বহন করা হত সেটিকে ধরবার জন্য এটির নিকাল করা অংশের তলায় চারটি সোনার কড়া লাগানো থাকত৷ ধূপবেদীতে অভিষেকার্থে পবিত্র তৈল ও সুমিষ্ট ধুপ ছাড়া আর কিছু ব্যবহৃত হত না (যাত্রাপুস্তক ৩০”২২-২৫)৷ 
ধূপবেদীটি যেখানে ছিল সেখানে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হত৷ কিন্তু এই সুগন্ধি ধূপবেদীতে প্রার্থনা করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই আমাদের সেখানে প্রার্থনা করবার যোগ্যতা আছে কিনা তা অনুসন্ধান করে দেখতে হবে৷ কেউ যদি প্রার্থনা করার যোগ্যতা অর্জন করতে চায় তাহলে তাকে প্রথমে তাকে বিশ্বাস করে পাপমুক্ত হতে হবে৷ তা করতে হলে, তাকে প্রথমে হোমবলি ও প্রক্ষালন পাত্রে বিশ্বাস করার দ্বারা সকল পাপ থেকে ধৌত হতে হবে৷
ঈশ্বর পাপীদের প্রার্থনা শোনেন না (যিশাইয় ৫৯:১-৩)৷ কেন ? কারণ ঈশ্বর কেবল তাদেরই গ্রহণ করেন যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদের পাপ ধৌত করে৷ কেননা ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ নীল, বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি সুতার বস্ত্রে যে সত্য প্রতীয়মান হয়, তার দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন৷ অন্য কথায়, ঈশ্বর, কেবলমাত্র ধার্মিকদের প্রার্থনা শ্রবণ করেন (গীত ৩৪:১৫, ১ পিতর ৩:১২)৷