Search

আবাসতাম্বুর অধ্যয়ন

দর্শনরুটির মেজ

দর্শনরুটির মেজ
 
আবাস তাম্বুর অভ্যন্তরে একটি উপাদান থাকত যা দর্শন রুটির মেজ৷ এটি শিটিম কাঠের দ্বারা তৈরী এবং খাঁটি সোনা দিয়ে মোড়ানো৷ পরিমাপে দৈর্ঘ্যে দুই হস্ত (৯০ সেমি:৩ ফিট), উচ্চতায় দেড় হাত (৬৭ সেমি: ২.২ ফিট) এবং প্রস্থে এক হাত (৪৫ সেমি; ১.৫ ফিট)৷ দর্শন রুটির মেজে সর্বদা ১২ টুকরো রুটি থাকত এবং কেবল যাজকেরাই এই রুটি খেতে পারত (লেবীয় ২৪:৫-৯)৷
দর্শন রুটির মেজের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ছিল: এর চতুর্দিকে চার অঙ্গুলি পরিমান পার্শ্বকাষ্ঠ ছিল; এই পার্শ্ব কাষ্ঠের চারিদিক স্বর্ণের নিকাল দ্বারা মোড়ানো ছিল; এর চার কোনায় স্বর্ণের চারটি কড়া থাকত; আর কড়াগুলি স্বর্ণ দ্বারা মোড়ানো শিটিম কাষ্ঠের বহনদন্ডের সাথে যুক্ত ছিল যা এই মেজ বহনের নিমিত্ত ব্যবহৃত হত৷ মেজের উপরিস্থ পাত্র, থাল, চমস, ঢালার জন্য সেকপাত্র ও শ্রুব সবই স্বর্ণের ছিল৷
যাত্রাপুস্তক ৩৭:১১-১২ পদে লিখিত আছে, “আর তাহা নির্ম্মল স্বর্ণে মুড়িলেন, ও তাহার চারি দিকে স্বর্ণের নিকাল গড়িয়া দিলেন। আর তিনি তাহার নিমিত্তে চারিদিকে চারি অঙ্গুলি পরিমিত এক পার্শ্বকাষ্ঠ করিলেন, ও পার্শ্বকাষ্ঠের চারিদিকে স্বর্ণের নিকাল গড়িয়া দিলেন।” ঈশ্বরের মন্দিরের পবিত্র স্থানে দর্শন রুটির মেজ ছিল, যা অঙ্গুলির ন্যায় উচ্চ ছিল এবং এই পার্শ্ব কাষ্ঠের চারিদিক স্বর্ণ দ্বারা মোড়ানো ছিল৷ ঈশ্বর কেন মোশিকে এই ধরনের পার্শ্ব কাষ্ঠ রাখতে আজ্ঞা দিলেন ? মেজের উপর থেকে যেন রুটি পড়ে না যায় সেজন্য এই অঙ্গুলি পরিমিত পার্শ্বকাষ্ঠ বাইরের দিকে ১০ সেমি (৩.৯ ইঞ্চি) বর্ধিত ছিল৷ 
যেহেতু দর্শন রুটির মেজে যে রুটি থাকত তা কেবল যাজকেরাই খেতে পারত, সুতরাং আমরা অবশ্যই তাদের মতো হয়ে উঠি যারা আত্মিকভাবে এই রুটি ভোজন করে৷ যারা যীশুর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করেছে কেবল তারাই পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং অনন্ত জীবন গ্রহণ করেছে৷ অন্য ভাবে বলতে গেলে, কেবল যারা জল ও আত্মার সুসমাচারকে তাদের পরিত্রাণ রূপে বিশ্বাস করে তারাই কেবল এই রুটি খেতে পারে৷