Search

សេចក្តីអធិប្បាយ

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[7-5] মাংস পাপব্যবস্থার দাসত্ব করে (রোমীয় ৭:২৪-২৫)

< রোমীয় ৭:২৪-২৫>
“ দুভার্গ মনুষ্য আমি! এই মৃত্যুর দেহ হইতে কে আমাকে নিস্তার করিবে? আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি। অতএব আমি আপনি মন দিয়া ঈশ্বরের ব্যবস্থার দাসত্ব করি, কিন্তু মাংস দিয়া পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করি।”
 
 

এটাই নিয়ম যে, মাংস পাপের দাসত্ব করে

 
 আপনার বিশ্বাসের জীবন কেমন? “আত্মা ইচ্ছুক বটে, কিন্তু মাংস দূর্বল” (মথি ২৬:৪১)। আপনিও কি এমন নন?
 বাইবেল আমাদের আরো বলে যে, “অতএব আমি আপনি মন দিয়া ঈশ্বরের ব্যবস্থার দাসত্ব করি, কিন্তু মাংস দিয়া পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করি।” এই ব্যবস্থাগুলোই আমাদের উপর কর্তৃত্ব করে। ঈশ্বর এবং সত্যকে প্রেম করার উদ্দেশে আমাদের হৃদয় সৃষ্টি হয়েছে; কিন্তু পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করাই মাংসের স্বভাব। ঈশ্বরের বাক্য আমাদের বলে যে, হৃদয় সুসমাচার ও তাঁর ধার্মিকতার সেবা করে, মাংস পাপের দাসত্ব করে। 
 আপনি কি জানেন পাপ ব্যবস্থা কি? আমরা বিশ্বস্ত জীবন-যাপন করতে চাই। আমরা ঈশ্বরের সন্তানেরা সিংহের মত সাহসী হই যখন আমাদের মাংস পাপের দাসত্ব থেকে মুক্ত থাকে। কিন্তু মাংস যখন পাপের দাসত্ব করে এবং পাপে লিপ্ত হয়, তখন আমাদের কোন ক্ষমতা থাকে না। আমরা ভাবতে পারি, আর পাপ না করে আমরা সুখী ও সাহসী হব, কিন্তু বাস্তবে, পাপ না করার আত্মবিশ্বাস আমরা হারিয়ে ফেলি। এই কারনে বিশ্বাসীদের এবং ঈশ্বরের সন্তানদের হৃদয় সংকুচিত হয়ে পড়ে।
 “♪ আমার পাপ চলে গেছে। কালভেরী স্রোতে ধুয়ে গেছে ! ♪” পরিত্রাণ পাবার পরে আমরা এইভাবে প্রশংসা করলেও, ভবিষ্যতের মাংসিক জীবন-যাপনের কথা চিন্তা করলে আমরা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। আমাদের মাংসিক দূর্বলতার কথা ভেবে আমরা শেষ পর্যন্ত এই রকম চিন্তা করি, “ভবিষ্যতে আর এমন চলব না, আর পাপ করব না” যখন আবার প্রভুতে নির্ভর করি, যখন আবার ধার্মিকতায় দৃঢ় হই, যখন ঈশ্বরের সাথে প্রতিজ্ঞা করে বলি, “প্রভু তোমাকে ধন্যবাদ জানাই, হাল্লিলূয়া! মৃত্যুদিন পর্যন্ত আমি তোমার অনুসরণ করব।” আমরা তখন দৃঢ়তার সাথে উত্তেজিত হয়ে প্রভুর সেবা করি, কিন্তু তা স্থায়ী হয় না, কারণ যখন আমরা আবার পাপ করি, তখন শীঘ্রই আমরা হতাশ হয়ে যাই। বস্তুতঃ সমস্ত সাধু এবং এবং ঈশ্বরের সেবকেরা এই প্রকার, তাহলে আমরা এই ঘটনার দ্বারাই সংযত হয়ে যাই যে, মাংস শুধু পাপের দাসত্ব করে।
 আমি জানি প্রভু কখনই চান না যে, আমরা মাংসে দুর্বল হই। এটাও একটা কারণ, পৌল কেন মাংস ও আত্মাকে পৃথক করেছেন, “অতএব আমি আপনি মন দিয়া ঈশ্বরের ব্যবস্থার দাসত্ব করি, কিন্তু মাংস দিয়া পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করি।” আমাদের মাংসের কোন উন্নতি হবে না। মাংস শুধু পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করে। পৌল বলেন যে, এটাই ব্যবস্থা। মাংস তৈরী হয়েছে শুধু পাপের সেবা এবং দাসত্ব করার জন্য। আপনি কি ইহা বোঝেন? ইহাই ব্যবস্থা। কে ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে পারে? না পারেন আপনি, না পারি আমি। তাহলে আমরা হৃদয় দিয়ে কার সেবা করব? আমাদের ঈশ্বরের সেবা করা উচিত। আমাদের সর্বন্তকরণে ঈশ্বরের সত্য, আত্মা এবং তাঁর ধার্মিকতাকে প্রেম করা উচিত।
 
 

মাংস থেকে অধিক গ্রহণ করো না

 
 মাংস ঈশ্বরের ধার্মিকতায় কাম, আরাম, শান্তি, আনন্দ এবং এর শ্লাঘা বিস্তার করে, না। মাংস সব কিছুই তার ইচ্ছামত করতে চায়। 
 মাংস থেকে অধিক গ্রহণ করিও না, বলা হয়েছে, “শোন মাংস আমি চাই তুমি একটা ভাল কাজ কর।” মাংস ভাল কিছু করে আপনার এই ধারনা ত্যাগ করুন। এটা ভাববেন না যে, মাংস ঈশ্বর এবং তাঁর ধার্মিকতাকে প্রেম করে অথবা ঈশ্বরের ধার্মিকতার সেবা এবং তাঁর পক্ষে কষ্ট স্বীকার করতে চায়।
 মাংস থেকে যারা ভাল কিছু আশা করতে চায় তারা বোকা। তাহলে আমাদের কি করা উচিত? সব কিছুই প্রভুর ব্যবস্থানুসারে করা। আমরা কি ঈশ্বরের ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারি, এমন কি যদিও আমরা তা জানি? অবশ্যই আমরা তা করতে পারি না, যেহেতু এটা ঈশ্বরের ব্যবস্থা।
 ঈশ্বরের ব্যবস্থা যা মাংসকে দিয়ে পাপের দাসত্ব করায়। যদি আমরা বিষন্ন হই এবং আমাদের মুখ কালো হয়, তার কারণ হল আমরা মাংসের দাসত্ব করছি। আমাদের মাংস সর্বদা ভাল থাকতে চায়। আসুন আমরা নিজেদের জন্য না চাই বরং মাংসকে পরিত্যাগ করি। আমি চাই আপনি হৃদয়ে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে জীবন-যাপন করুন। মাংসের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পাপ করা থেকে নিষ্কৃতি পায় না, কারণ মাংস শুধু পাপের দাসত্ব করে। আমারা নিজেরা কখনো পাপ এড়াতে পারি না। আপনি হয়তো ভাবেন, “মাংস হয়তো ধীরে ধীরে ভাল হয়ে যাবে।” কিন্তু এটা কখনো হবার নয়। অথবা যখন আপনি অসচেতনভাবে পাপ করেন, আপনি হয়তো ভাবেন, “এটা পরিবেশের কারণে।” না! ইহা মোটেই এমন হতে পারে না- মাংসকে প্রত্যেক কাজের শুরুতে পাপের দাসত্ব করতে বোঝানো হয়েছে।
 মাংস কখনোই কোন ভাল কিছু করতে পারে না। মাংস মৃত্যু পর্যন্ত পাপ করে। “মাংস কি কখনো ভাল হবে?” এটা কখনো আশা করবেন না, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ হাতশ হবেন। এমন কোন বিষয় আপনি বারংবার মনে করেন না এবং নিজে বলেন না, “আমি এরূপ করব না”, মাংস সাহায্য নয় কিন্তু পাপ করতে পারে, এমনকি আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধেও। পাপ করবেন না এই প্রতিজ্ঞা করে আমাদের মধ্যে এমন কে আছে? আমরা সবাই! কিন্তু এটা ঈশ্বরের ব্যবস্থা, যে জন্য মাংস শুধু পাপের দাসত্বই করে।
 ক্যাথলিক যাজক এবং পুরুষদের মত মহিলা সন্যাসী এবং প্রত্যেক ধর্মের দরবেশরা পবিত্রভাবে জীবন-যাপন করার চেষ্টা করে। কিন্তু ক্রটি ব্যতিত জীবন-যাপন মাংসের পক্ষে অসম্ভব। তারা ভন্ডের মত জীবন-যাপন করে। আমাদের মাংসের দ্বারা ভাল কিছু করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। মাংস পাপ ব্যবসথার দাসত্ব করে। এটাই ব্যবস্থা যে ঈশ্বর প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঠিক যেমন একটি ঘুর্ঘুরে পোকা আনন্দে আকাশে ওড়ে কিন্তু উল্লুক উড়তে পারে না, এটাই ব্যবস্থা। ঠিক যেমন উল্লুক ময়লা মাটি খেতে পছন্দ করে, মানুষের মাংস পাপ করতে পছন্দ করে। আপনি কি সৎভাবে বলতে পারেন যে, আপনি আশা করেন যে, মাংসের মধ্যে ভাল কিছু আছে? অবশ্যই না। এই জন্য প্রেরিত পৌল বলেছেন, “আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা আমি ঈশবের ধন্যবাদ করি। অতএব আমি আপনি মন দিয়া ঈশ্বরের ব্যবস্থার দাসত্ব করি, কিন্তু মাংস দিয়া পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করি।” (রোমীয় ৭:২৫)
 আমাদের মাংস মৃত্যু পর্যন্ত পাপ করে। মাংস সাহায্য নয় কিন্তু পাপ করতে পারে। একটা দীর্ঘ সময় প্রশিক্ষণের পরে মাংস কি আর পাপ না করে থাকতে পারে? না! মাংসের উন্নতি হতে পারে না। তখন মাংসের পক্ষে কি ইচ্ছামত পাপ করাটা কি স্বাভাবিক হয়? না! আমি এখানে যা বলছি ইহা তাহা নয়। আমি বলতে চাচ্ছি যে, মাংস কোন সাহায্য নয় কিন্তু পাপ করে। আমাদের পাপ গুলো আমাদের ইচ্ছা এবং ক্ষমতার উপর নির্ভর করে না। আমরা সাহায্য নয় কিন্তু পাপ করি, এমন কি যদি আমরা পাপ করতে না চাই এবং কঠোরভাবে পাপ না করতে চেষ্টা করি, তাতে আমরা আরো বেশী পাপ করে ফেলি।
 “কিন্তু আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অন্য প্রকার ব্যবস্থা দেখিতে পাইতেছি, তাহা আমার মনের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং পাপের যে ব্যবস্থা আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আছে, আমাকে তাহার বন্দি দাস করে। দুর্ভাগ্য মনুষ্য আমি! এই মৃত্যুর দেহ হইতে কে আমাকে নিস্তার করিবে?” মাংসের পক্ষে ভাল কিছু করা অসম্ভব, কারণ, মাংস আমাদেরকে পাপ ব্যবস্থায় বন্দি করে ফেলে।
 লোকেরা এই সত্য বলতে ঘৃনা করে এবং তারা এর জন্য লজ্জা পায়। তারা বলে, “আপনি কিভাবে এটা খোলাখুলিভাবে বলছেন?” কিন্তু এটা কি পৌল নিজে ছিলেন না, যিনি নিজের গায়ে টেনে নিয়ে এটা বলেছিলেন? মাংস পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করে। মৃত্যু পর্যন্ত আমরা আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাপের দাসত্ব করি। আমরা শুধু পাপ করার জন্য জন্মগ্রহন করি নাই। এটা অনস্বীকার্য যে, মাংস পাপ করার একটা যন্ত্র।
 
 
ঈশ্বর আমাদিগকে তাঁর যথার্থ সেবা করতে সক্ষম করেছেন
 
 অতি প্রিয় সাধুগণ, আপনার কি মনে করেন? আপনারা কি মনে করেন যদি চেষ্টা করতে থাকেন তাহলে মাংসের দ্বারা প্রভুর সেবা করতে পারেন? এটা কি সম্ভব? না!
 কে আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন? যীশু করেছেন। যীশু খ্রীষ্ট কি আমাদের মাংসের সমস্ত পাপ মুক্ত করেছিলেন, যা পাপব্যবস্থার দাসত্ব করে? যীশু খ্রীষ্ট কি প্রকৃতই আমাদের মুক্ত করেছেন? তাহলে কে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করায় এবং পাপ করায়, তা কি শুধু মাংসের পাপ থেকে হয়? প্রভু কি প্রকৃতই আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন? পাপ না করা অসম্ভব এবং আপনার পক্ষে পাপ ক্ষমা পাওয়াও অসম্ভব এবং মাংসের দ্বারা ঈশ্বরের দন্ড থেকেও মুক্ত হওয়া অসম্ভব। কিন্তু প্রভু এটা সম্ভব করেছেন। প্রভু আমাদেরকে ধার্মিক গনিত করেছেন, এবং যদিও আমরা অবিরত পাপ করতে থাকি, তিনি আমাদের সমস্ত পাপ হতে মুক্ত করেছেন।
 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাদেরকে মুক্ত করেছেন। প্রভুটি কে যিনি আমাদেরকে মুক্ত করেছেন? ইহা যীশু খ্রীষ্ট। তাহলে যীশু কে? তিনি ঈশ্বরের পুত্র এবং সমস্ত বিশ্বাসীর প্রভু। তিনি প্রভু, যিনি আমাদেরকে মুক্ত করেছেন। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাদেরকে পাপ থেকে শুচি করেছেন। যীশু খ্রীষ্ট আমাদেরকে তাঁর সেবা করতে সক্ষম করেছেন।
 প্রভু আমাদেরকে পাপ ব্যতিত বাঁচতে সক্ষম করেছেন। সর্বশক্তিমান প্রভু যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। যদিও মাংস মৃত্যু পর্যন্ত পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করে তথাপি আমাদের প্রভু সম্পূর্ণভাবে আমাদের মুক্ত এবং ধার্মিক করেছেন। এই জন্যই প্রেরিত পৌল প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেন। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পাঠানোর জন্য আমরাও ঈশ্বরের যথার্থ ধন্যবাদ করি না।
আমরা অবশ্যই জানি প্রভুর পরিত্রাণ কত অদ্ভুত, ইহা কত মহৎ এবং অনগ্রহপূর্ণ। প্রভুর সর্বময় ক্ষমতার জন্য আমরা তাঁর ধন্যবাদ না থাকতে পারি না, যা আমাদের পাপময় মাংসকে রক্ষা করেছে, যা মৃত্যু পর্যন্ত পাপ না করে থাকতে পারেনা। প্রভু তাঁর ক্ষমতার দ্বারা আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোকে বিশ্বাসে তাঁর সেবা করার উপকরণ বানিয়েছেন। প্রভু সম্পূর্ণরূপে আমাদিগকে মুক্ত করেছেন, যাতে আমরা আর পাপের দাসত্ব না করি।
প্রভু কি আমাদের সম্পূর্ণ মুক্ত করেন নাই? অবশ্যই তিনি করেছেন! তিনি সম্পূর্ণ এবং যথাযথভাবে আমাদিগকে মুক্ত করেছেন। তিনি যথাযথভাবে আমাদিগকে তাঁর সেবা করার সামর্থ দিয়েছেন। কে এই মহৎ কাজটি সাধন করেছে? আমাদের প্রভু করেছেন! যারা আসলে পাপ না করে থাকতে পারে না, কে তাদেরকে ফিরিয়ে এনে ধার্মিক এবং ঈশ্বরের সেবক তৈরী করলেন, আমাদের প্রভুই করেছেন। আমরা যারা সারা জীবন ধরে পাপ করি,তাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি আমাদের পরিবর্তিত করেছেন যাতে আমরা আরও তাঁর সেবা করতে পারি। 
 
 

প্রভু আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন

 
 আমাদের অবশ্যই এটা ভাবতে হবে যে, আমরা মানুষ। আমি চিন্তা করি, আমি সাধারণ একজন মানুষ কিন্তু প্রভুর পরিত্রাণ কত অদ্ভুত। আমার কি জানা ছিল না যে, মাংস শুধু পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করে, এর দ্বারা আমি সর্বদাই হতাশ হই। সম্ভবত আমি বিশ্বাসী জীবন ত্যাগ করেছি আর তার কারণ হল পাপ, এমনকি ইতিমধ্যে যদিও আমি আমার পাপের ক্ষমা পেয়ে গেছি।
 “আমি পাপ করার পরেও, পরিত্রাণ পাবার পূর্বে আমি দাঁড়াতে পারতাম। কিন্তু এখনও যদি আমি পাপ করতে থাকি, তাহলে আমার মুক্তি পাওয়া এবং না পাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। নূতন জন্ম নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কি ছিল?” আপনার চিন্তা করা উচিত যে, আপনি পূর্বের তুলনায় ভাল আছেন। আপনার মাংস যেটা করাতো সেটা অবশ্যই আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন, এখন আপনি মুক্ত, পূর্বের থেকে ভাল আছেন। যাদের নূতন জন্ম হয়নি তারা বুঝতে পারবে না আমি কি বলছি।
আমরা যখন জানি ও বিশ্বাস করি যে, আমাদের মাংসে সমস্ত পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে, শুধু তখন আমরা যীশুর ধন্যবাদ করতে পারি। আমি প্রভুর ধন্যবাদ দিই, যিনি আমার সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, যা মৃত্যু পর্যন্ত আমি করতাম।
কোরিয়ান গান বইয়ের পূর্বের সংস্করণে একটা গান আছে, “♪হাল্লিলূয়া! তাঁর প্রশংসা করি! আমার পূর্বের সব পাপ ক্ষমা হয়েছে! এবং আমি প্রভু যীশুর সাথে চলি, যেখানে আমি যাই সেটা স্বর্গরাজ্য।♪” এর অর্থ কি? যদি প্রভু আমাদের পূর্বের পাপ তুলে নেন তাহলে আমরা পরবর্তীতে কি করব? আমাদের মাংসের দ্বারা আর পাপ করা উচিত নয়, যখন আমরা পাপ করি, আমাদের পুঙ্খনুপুঙ্খভাবে ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করা উচিত এবং যে কোন উপায়ে ভালভাবে জীবন-যাপন করা উচিত। কিন্তু এটা শুধু শয়তানের ভয় দেখানোর কৌশল।
এই কৌশল থেকে মধুর আর কিছুই নয়। শয়তান আমাদেরকে ভুলায়, বলে, “তোমার পূর্বের সমস্ত পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে। সুতরাং যদি তুমি যীশুর পথে চল, এবং যদি আর পাপ না কর, তুমি স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু তুমি যদি ভবিষ্যতে পাপ কর, তাহলে ক্ষমার জন্য অনুতাপের প্রার্থনা করতে হবে যাতে তুমি স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পার। তুমি কি বুঝেছ?” অধিকাংশ লোক যখন বাইবেল পড়ে তখন এটাই বোঝে। তাহারা কেঁদে গায়, “হাল্লিলূয়া! তাঁর প্রশংসা করি! ♪আমার পূর্বের সব পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে। এবং আমি প্রভু যীশুর সাথে চলি এবং আমি যেখানে যাই সেটা স্বর্গরাজ্য।♪”
কিন্তু তারা পাপ করা থেকে বিরত হয় না। ইহাই মাংসে ঈশ্বরের ব্যবস্থা। মাংস উপকারে আসে না কিন্তু বারংবার পাপ করতে পারে। সুতরাং তারা ভাবে তাদের ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। তাই প্রতিদিনের পাপ ক্ষমার জন্য পরিশ্রমের সাথে অনুতাপের প্রার্থনা করে। প্রার্থনা পরে তারা গান করে, “♪হাল্লিলূয়া! তাঁর প্রশংসা করি। ♪আমার পূর্বের সব পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে। এবং আমি প্রভু যীশুর সাথে চলি এবং আমি যেখানে যাই সেটা স্বর্গরাজ্য।♪” কিন্তু এটা কি দুই অথবা তিন দিনের বেশী স্থায়ী হয়? তারা আবার এক ঘণ্টার মধ্যে পাপ করে, সারা দিনে নয়। দ্রুত ক্ষমার জন্য তারা প্রার্থনা করতে পারে কিন্তু মাংসে থাকা অবস্থায় তারা ঈশ্বরের এই অপরিবর্তনীয় ব্যবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পারে না। 
 গানের কথাগুলি কি সত্য? আপনার পূর্বের পাপগুলি কি ক্ষমা হয়ে গেছে? আমাদের প্রভু যীশু পূর্বের নয়, আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। এখন আমরা তাঁর প্রশংসা করতে পারি, “♪হাল্লিলূয়া! তাঁর প্রশংসা করি! ♪আমার পূর্বের সব পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে! এবং আমি প্রভু যীশুর সাথে চলি এবং আমি যেখানে যাই সেটা স্বর্গরাজ্য।♪”
যারা মুক্ত হয়েছে, তারা আবার পাপ করার পরে তালগোল পাকাইয়া ফেলে, যখন তারা ঈশ্বরের ব্যবস্থা জানে না যে, তাদের মাংস মৃত্যু পর্যন্ত পাপ করে। তারা সহজে তাদের মনের শান্তি হারিয়ে ফেলে, যখন তারা তাদের মনের দুষ্টতা খুঁজে পায়, ঠিক নূতন জন্ম না পাওয়া মানুষের মত। যখন তারা পাপ না করে তখনই শুধু তারা শান্তিপূর্ণ থাকে। এটাই খ্রীষ্টিয়ানের জীবনের বাহ্যিক চেহারা, যারা এখনও পাপের ক্ষমা লাভ করেনি। তারা মুখে ঠিক এভাবে গান করে, “♪আমার সব পাপ চলে গেছে। ♪তোমারও সব পাপ চলে গেছে। আমাদেরও সব পাপ চলে গেছে!♪” কিন্তু যদি তারা আবারও পাপ করে, তারা ভাবে, তাদের আবার ক্ষমা চাইতে হবে। তারা বার বার পাপ করে, নরম সুরে গায়, “♪আমার পাপ চলে গেছে, ♪তোমার পাপও চলে গেছে....” এবং সময় চলে গেলে নিজেরাই হতাশ হয়ে পড়ে।
 আমাদের প্রভু প্রকৃতই আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। আমাদের প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করেছেন, যেন আমরা যে কোন সময় এবং যে কোন স্থানে তাঁর ধন্যবাদ ও প্রশংসা করতে পারি। আমরা তাঁর মাধ্যমে শান্তি পেতে পারি এবং অনুগ্রহের জন্য সব সময় যেন যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারি।
 
 

যদি আমরা বুঝি যে, মাংস শুধু পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করে, তাহলে বিশ্বাসের দ্বারা আমরা পাপ থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারি

 
আমাদের বিশ্বাসের জীবন এত কঠিন কেন? বিশ্বাসের কঠিন জীবনে আপনি জড়িয়ে গেছেন, কারণ আপনি কি সত্য জানেন না যে, মাংস শুধু পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করে? এই সত্য জানার মধ্য দিয়ে আমাদের অবশ্যই আত্মিকভাবে জীবন যাপন করতে হবে। 
যখন আমরা ধৈর্য্যের সাথে তাঁর বাক্য শুনি, এবং একে অন্যের সাথে সহভাগিতা করি, তখন আমরা তাঁর সত্য জানতে পারি এবং পরিবর্তিত হই। “অতএব যে যিহূদীরা তাঁকে বিশ্বাস করিল, তাহাদিগকে যীশু কহিলেন, তোমরা যদি আমার বাক্যে স্থির থাক, তাহা হইলে সত্যই তোমরা আমার শিষ্য; আর তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে” (যোহন ৮:৩১-৩২)। আমি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি। প্রভু প্রকৃতই আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন, যাতে সর্বদা আমরা ঈশ্বরের ধন্যবাদ দিতে পারি। আপনি কি এটা বিশ্বাস করেন? প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদিগকে মুক্ত করেছেন।
নিজস্ব চিন্তায় কখনও আচ্ছন্ন হবেন না, সেগুলো কোন ক্রমেই আপনাকে পরিচালিত করবে না। আমরা প্রভুকে অনুসরণ করতে পারি, তাঁকে ধন্যবাদ দিতে পারি এবং যখন আমরা পাপের যোঁয়ালীতে আবদ্ধ নয়, তখন আমরা বিশ্বাসে জীবন-যাপন করতে পারি। যদি আমাদের বিশ্বাস আমাদের কর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়, এবং যদি আমরা জানি যে, আমরা আবার পাপ করব, তাহলে আমরা সর্বদা আনন্দ করতে এবং প্রভুকে অনুসরণ করতে পারব না। প্রভুর পরিত্রাণ যদি এতটুকু অসম্পূর্ণ হত, তাহলে আমরা সম্পূর্ণ নিশ্চিতভাবে প্রভুকে অনুসরণ করতে পারতাম না।
 আমরা প্রভুর ধন্যবাদ করি, কারণ তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। আমরা পরাক্রমের সাথে তাঁর প্রশংসা এবং তাঁকে অনুসরণ করি। আমি যদি নিজে আমার পাপ সমস্যার সমাধান না করি, তাহলে কিভাবে আমরা অন্যের পাপের সমাধান করব? কিভাবে আমি অন্যের কাছে সুসমাচার প্রচার করব? একজন ডুবন্ত মানুষ কিভাবে আরেকজন ডুবন্ত মানুষকে রক্ষা করে? যদি আমরা স্বীকার করি যে, আমাদের মাংস পাপ ছাড়া ভাল কিছু করতে পারে না, তাহলেই আমরা পাপ থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারি। আমরা যদি এই সত্যে বিশ্বাস না করি, তাহলে আমরা যাকে বলে “খ্রীষ্ট ধর্ম্ম”- এর মিথ্যা মতবাদে আসক্ত হয়ে পড়ব।
 একটা মজার গল্প আছে, আপনারা হয়তো জানেন। একদা একজন যুবক ক্যাথলিক যাজক দুইজন মহিলা যাজকের সাথে দূরবতী গ্রামে একজন মৃত ব্যক্তি দেখার জন্য একটি ঘোড়ার গাড়িতে উঠলেন। ঘোড়া চালানোর জন্য তিনি সেই দুই জনের মাঝখানে বসলেন। সুন্দরী যুবতী মহিলা যাজকটি তার ডান পাশে এবং কুৎসিত বৃদ্ধা মহিলা যাজকটি তার বাম পাশে বসল। শহরের সমতল এবং চওড় রাস্তায় তাদের কোন সমস্যা হচ্ছিল না, কিন্তু ক্রমশঃ যখন তারা পাহাড়ের সরু এবং অসমতল রাস্তায় এলো, গাড়িটি তখন ঝাকুনি লেগে দুলে দুলে উঠতে লাগল। অনুমান করুন তো ক্যাথলিক যাজকটি মনে মনে কি ভাবছিল। গাড়িটি যখন তার ডান দিকে ঝুকে যাচ্ছিল, তখন তিনি প্রার্থনা করেন, “ওহ প্রভু! দয়া করে তোমার ইচ্ছায় আরো বেশী এমনটি কর!” কিন্তু গাড়িটি যখন বিপরীত দিকে ঝুকে যাচ্ছিল, তখন তিনি হতাশ হয়ে প্রার্থনা করেন, “ওহ প্রভু আমাকে যন্ত্রনার মধ্যে ফেল না।”
 আমরা প্রত্যেকেই তার মত। আমাদের মাংস পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করে, কিন্তু অবশ্যই ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে তাঁর ইচ্ছা জানতে হবে এবং তাঁকে অনুসরণ করতে হবে, কারণ আমরা আমাদের নিজেদের থেকে কিছুই আশা করতে পারি না। আমরা মৃত এবং আমাদের মাংসের উন্নতির কোন সম্ভাবনা নেই।
 
 
আমরা প্রভুর অনুসরণ করি, কারণ তিনি আমাদের সম্পূর্নরূপে মুক্ত করেছেন
 
যদি আমরা আমাদের ভাল কাজের দ্বারা স্বর্গরাজ্যে যেতে পারতাম, তাহলে আমরা কত গুরুত্ব অনুভব করতাম অথবা আমরা কতটুকু ভাল কাজ বা পাপ করতাম তার উপরে যদি পরিত্ৰাণ নির্ভর করত? ঈশ্বর আমাদিগকে বলেন, “তুমি সারা জীবন ধরে পাপ করেছ, কিন্তু আমি তোমার সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছি, যা তুমি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত করতে। আমি তোমাকে ধার্মিক গণিত করেছি এবং আমি তোমাকে ধার্মিক ব্যক্তি করেছি, যার কোন পাপ নেই। আমি তোমাকে সম্পূর্নরূপে পাপ থেকে মুক্ত করেছি। তুমি কি আমার ধন্যবাদ কর?” তোমার উত্তর কি? “হ্যাঁ, আমার প্রভু আমরা তোমার ধন্যবাদ করি।” তিনি আবার জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কি আমাকে অনুসরণ কর?” আমরা কিভাবে উত্তর দেই ? “হ্যাঁ, আমরা অনুসরণ করি।”
 আপনি কি ঈশ্বরকে অনুসরণ করতে চান? অবশ্যই আমরা প্রভুকে অনুসরণ করতে চাই, কারণ তিনি আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। প্রভু কি শুধু ৯০% পাপ তুলে নিয়েছেন, তাহলে আপনি তাঁকে অনুসরণ করতে সক্ষম নন। আপনি হয়তো ঈশ্বরকে বলেন, “আমার বাকী ১০% পাপও তোমার তুলে নেওয়া উচিত! আমি নিজে কিভাবে আমার সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারি? যখন আমারই অপবিত্রতা পরিস্কার করতে হবে, তখন আমি কিভাবে তোমার অনুসরণ করি?” তখন এই পাপগুলোর কারণে আমরা ঈশ্বরকে অনুসরণ করা বাদ দেই।
 যাহোক, আমরা এখন স্বেচ্ছায় প্রভুকে অনুসরণ করতে চাই, কারণ তিনি সম্পূর্ণভাবে আমাদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। “হ্যাঁ, তুমি সম্পূর্ণভাবে আমাকে মুক্ত করেছ। আমি এখন থেকেই তোমাকে অনুসরণ করতে চাই! প্রভু, তুমি ধন্য! আমি তোমার প্রশংসা করি। আমি তোমার গৌরব করি। আমি তোমাকে ভালবাসি।” প্রভুর সেবা করার জন্য আমাদের নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। কারণ আমরা তাঁকে ভালবাসি এবং তাঁকে অনুসরণ করতে চাই। আমরা আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে প্রভুকে অনুসরণ করতে চাই, কারণ তিনি আমাদেরকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন এবং আমরা তাঁর প্রেমের স্পর্শের মধ্যে আছি।
গির্জাতে গেলেও ঐ একই রকম অবস্থা হয়। যদি ইচ্ছা থাকে, তবে রবিবারে গির্জায় যাওয়া খুবই সোজা; অন্য কারণের জন্য আমরা যতটুকু অনুভব করি, এ ব্যাপারে যদি আমরা ততটা উপলব্ধি না করি, তাহলে সপ্তায় একদিন গির্জায় যাওয়াটা কাছে দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজের মত হয়। কয়েক বছর গির্জায় যাওয়ার পরেও প্রত্যেক সভাতে আপনি যদি এই যন্ত্রনাদায়ক কথাগুলি শোনেন,-“ভদ্র মহিলা এবং ভদ্র মহোদয়গণ, গত সপ্তাহে আপনারা যে পাপ করেছেন, তার জন্য অনুতাপ করুন।” যাদের ইচ্ছাশক্তি দৃঢ়, তারা হয়তো এক বা দুই শতক টিকে থাকতে পারে, কিন্তু এক সময় তারা সরে পড়বে। অনেক ভ্রান্ত ভাববাদীরা তাদের সদস্যদের পাপের জন্য অনুতাপ করতে জোর করে, এ জন্যে অনেক লোক এক সময় গির্জায় যাওয়াই বাদ দিয়ে দেয়, কারণ তারা মনে করে যে, যীশুকে বিশ্বাস করা খুবই দুঃসাধ্য এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
আমরা প্রভুকে অনুসরণ করি তাঁর প্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে। আমরা প্রভুর প্রশংসা ছাড়া কিছু করতে পারি না, তাই গান গাই, “আমি যীশুকে ভালবাসি! আমি পৃথিবীর অন্য কিছুর দ্বারা যীশুর বিনিময় করতে চাই না।” আমরা যীশুকে অনুসরণ করি, কারণ আমরা প্রকৃতই তাঁকে ভালবাসি।
তাঁর পরিত্রাণ কত অদ্ভুত। প্রভু বিন্দুমাত্র পাপ ব্যাতিতই আমাদেরকে তাঁর সেবা করতে সক্ষম করেছেন। “তবে কি বলিব? মাংসের সম্বন্ধে আমাদের আদিপিতা যে অব্রাহাম যদি কার্য্য হেতু ধার্মিক গণিত হইয়া থাকেন, তবে শ্লাঘার বিষয় আছে; কিন্তু ঈশ্বরের কাছে নাই” (রোমীয় ৮:১-২)। প্রভু আমাদের আশীর্বাদ করেছেন সর্বদা তাঁর ধন্যবাদ ও প্রশংসা করতে। তিনি চান যেন আমরা সর্বদা আনন্দ করি এবং তাঁকে অনুসরণ করি। তিনি আমাদিগকে মুক্ত করেছেন। আপনি কি এটা বিশ্বাস করেন? 
নিজের দূর্বলতা দ্বার আক্রান্ত হবেন না। যাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রনহীন, প্রভু তাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। তিনি দূর্বলচিত্ত ও চরিত্রহীন লোকদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। এখন, এগুলি কি আপনাকে প্রভুর অনুসারী করে তোলে না? এই জন্যেই আমরা প্রভুকে ভালবাসি। আমাদের প্রভু তাঁকে অনুসরণ করতে আমাদের জোর করেননি। ঈশ্বর আমাদেরকে আশীর্বাদ করেছেন। তিনি আমাদের পিতা এবং আমরা তাঁর সন্তান হয়েছি এবং ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর অনুসরণ করতে বলেন। তিনি তাঁর দাসদের তার সেবা করতে বলেছেন।
ঈশ্বরের দ্বারা যারা মুক্ত হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে তাঁর দাস। ঈশ্বর তাঁর প্রত্যের কার্য্যকারীকে আশীর্বাদ করেন এবং তাদেরকে তাঁর সেবা করতে বলেন। প্রভু আমাদের কর্ম অনুসন্ধান করে না। প্রভু আমাদের বলেন, “আমি সমস্ত পাপ থেকে তোমাদের মুক্ত করেছি। তোমাদের মেজাজ অসহ্য। তোমাদের মধ্যে নোংরামী আছে। তোমরা বর্ণনাতীত। তোমরা নির্বোধ। তোমাদের পূর্ব পুরুষদের পাপের জন্য তোমাদের অভিশপ্ত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেই সমস্ত বিষয়ের দিকে লক্ষ না করে আমি তোমাদেরকে মুক্ত করেছি। যদিও তোমাদের সমস্ত পাপ আমি তুলে নিয়েছি, তথাপি তোমরা প্রশমিত হওনা, কিন্তু সারা জীবন পাপ কর। তোমাদের পাপ মুছে ফেলতে আমি তোমাদের জন্য দঃখভোগ করেছি এবং আবার পুনরুত্থিত হয়েছি। এ সমস্ত করেছি কারণ আমি তোমাদেরকে ভালবাসি। তোমরা কি আমাকে ভালবাস?” আমাদের উত্তর কি হবে? “হ্যাঁ, প্রভু, আমি তোমাকে ভালবাসি। তুমি জান যে, আমি তোমাকে ভালবাসি। ধন্য প্রভু।”
“প্রভু বলেন, আমার পশ্চাৎ আইস আমি তোমাকে মনুষ্যধারী করব” “সত্য সত্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে আমাকে বিশ্বাস করে, আমি যে কাজ করি, সেও সেই কাজ করবে, এবং এগুলোর চেয়েও মহৎ কাজ করবে, কেননা আমি আমার পিতার নিকটে যাচ্ছি,” আপনি কি এগুলো বিশ্বাস করেন? আমরা কত দূর্বল প্রকৃতির মানুষ! আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে কত পাপ করি? পাপ না করার ভান করি না।
 আমাদের জীবন-যাপনে আমরা অগণিতবার পাপ করি। যদিও আমার পাপ আকাশের তারার ন্যায়, তথাপি প্রভু অনন্তকালের জন্য আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। প্রভু যথেষ্ট এবং পরিপূর্ণভাবে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন।
 
 
ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর ধার্মিকতায় আবৃত করার মাধ্যমে তাঁর কার্য্যকারী করেছেন
 
যখন কোন সময় আমরা নিজেদেরকে পর্যবেক্ষণ করি, তখন আমরা আর ঈশ্বরকে অনুসরণ করতে পারিনা। নূতন জন্মের পর মনে আমাদের হৃদয় মাঝে মাঝে রৌদ্রজ্জ্বল দিনের মত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, কিন্তু অন্য সময় সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে থাকে। কিন্তু নূতন জন্মের পরে আমরা যখন প্রভুকে অনুসরণ করি, তখন সময়মত অন্ধাকারের মাঝ আমরা নিজেদেরকে খুঁজে পাই। যদি আমরা চার ঋতুর দিকে তাকাই, তাহলে আমরা পরিবর্তিত হয়ে যাই। নোহ যখন তার জাহাজ থেকে বেরিয়ে আসলেন, তখন ঈশ্বর তাকে আটটি ঋতু দিয়েছিলেন। ঈশ্বর বললেন, “যাবৎ পৃথিবী থাকিবে, তাবৎ শস্য বপনের ও শস্য ছেদনের সময়, শীত ও উত্তাপ, এবং গ্রীষ্মাকাল ও হেমন্তকাল, এবং দিবা ও রাত্রি, এই সকলের নিবৃত্তি হইবে ন” (আদি ৮:২২)।
আমাদের বিশ্বাসের হ্রাস এবং বৃদ্ধির শেষ নেই। আমরা কিছুদিন সানন্দে যীশুর প্রশংসা করি, কিন্তু যখন সমস্যার সম্মুখীন হই, তখন আমরা রাগান্বিত হয়ে ঘুরে বসি।
“তৎপরে তিনি বলেন, “এবং তোমাদের পাপ ও অধৰ্ম্ম সকল আর কখনও স্মরণে আনিব না।” ভাল, যে স্থলে এই সকলের মোচন হয়, সেই স্থলে পাপার্থক নৈবেদ্য আর হয় না।” প্রভু যা বলেছেন তাহা এই (ইব্রীয় ১০:১৭-১৮)।
মাংস কোন উপকার করে না, কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পাপ করতে পারে। এটাই মাংসের ব্যবস্থা। মাংস পাপ ব্যবস্থার দাসত্ব করে। এর অর্থ হল, মাংস শুধু পাপ করতে পারে। কিন্তু যারা শুধু পাপ করতে পারে, ঈশ্বর তাদেরকে তাঁর দাস করেছেন। ঈশ্বর কিভাবে আমাদেরকে তাঁর দাস করেছেন? যাদের মধ্যে পাপ আছে, সত্যই তিনি তাদের দাস করেন না।
এই গত দিন পর্যন্ত যে পাপ আপনার মাংস করেছে, সেই সমস্ত পাপ ঈশ্বর তুলে নিয়ে আপনাকে তার দাস করেছেন এবং আপনাকে যথার্থ খাঁটি করতে তিনি পাপের মূল্য পরিশোধ করেছেন। তিনি আপনাকে পবিত্র করেছেন এবং তাঁর পবিত্রতার পুরস্কার দিতে আপনাকে আহবান করেছেন। তিনি আমাদের তাঁর দাস করেছেন। যদিও আমরা দূর্বল, এখন আমাদের শক্তি আছে। “আপনি হয়তো বলতে পারেন, কি শক্তি।” আমাদের ধার্মিকতার শক্তি আছে। প্রভুর ধার্মিকতা রাখার জন্য আমাদের যথার্থ শক্তি রয়েছে। অন্য কথায় আমরা যথার্থরূপে তৈরী হয়েছি। যদিও মাংসে আমরা দূর্বল, আত্মায় আমরা শক্তিশালী।
 
 
কে প্রভুর সেবা করতে পারে?
 
“দুঃখিতের ন্যায়, কিন্তু সর্বদা আনন্দিত; দীনহীনের ন্যায়, কিন্ত অনেকের ধনদাতা; আমাদের জন্য কিছুই নাই, অথচ আমরা সর্বাধিকারী’ (২করিন্থীয় ৬:১০)। যদিও আমাদেরকে পাপে পূর্ণ দেখায়, তথাপি আমাদের কোন পাপ নেই। যদিও আমরা পাপ করি, আমাদের কোন পাপ নেই। এ কারণে আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারের দ্বারা অনেক লোককে সাহায্য করতে পারি। ইহাই খ্রীষ্টের সহস্য এবং স্বর্গরাজ্যের গোপনীয়তা।
আমি প্রভুর প্রশংসা করি, যিনি সম্পূর্নভাবে আমাদেরকে মুক্ত করেছেন। কে প্রভুর সেবা করতে পারে? যারা সারা জীবন ধরে পাপ না করার চেষ্টা করে প্রভুর সেবা করতে চায় অথবা যারা বিশ্বাস করে যে, প্রভু তাঁর সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, তারা পারে? উল্লেখিত পরবর্তী প্রকারের লোকেরাই প্রভুর সেবা করতে পারে এবং তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারে। শুধু যারা বিশ্বাস করে যে, প্রভু প্রকৃতই তাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়েছেন, তারা প্রভুর সেবা করতে পারে। তারা একান্তভাবে প্রভুর উপর তাদের সমস্ত অধিকার অর্পণ করে। তারা তাঁর কার্য্যকারী হওয়ার জন্য গর্বিত, তারা প্রভুর জন্য কিছু করতে সক্ষম।
 কিছু লোক আছে, যাদের নিজেদের অসম্পূর্ণ ধার্মিকতা থাকার কারণে ভীত হয়, সুতরাং রাগের মুহূর্ত আসলেও তারা রাগ করে না। তাদের আত্মধার্মিকতা চুর্ণ হয়ে যায়। যেমন আমরা ময়লার ঝুড়িতে ময়লা ফেলি, তেমনি আমাদের ধার্মিকতাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমাদের ধার্মিকতা চুর্ণ হয়ে যাবে। আমরা অবশ্যই চুর্ন ও বিচ্ছিন্ন হয়ে ময়লার ঝুড়িতে পতিত হব। আমরা প্রভুকে ধন্যবাদ দিতে পারি এবং যখন আমাদের নিজস্ব ধার্মিকতাকে ছুড়ে ফেলে দিই, তখন শুধু তাঁর ধার্মিকতাকে উন্নীত করি।
কিছু লোক গান গেয়ে প্রভুর ধন্যবাদ করতে পারে, “তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারা প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গনে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাহার নামের ধন্যবাদ কর” (গীতসংহিতা ১০০:৪)। যাদের নিজস্ব ধার্মিকতা আছে, যদিও তারা মুক্ত হতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা প্রভুকে ভালবাসতে বা তাঁর সেবা করতে পারে না। যদিও তারা জানে সারা জীবন তাদের মাংস পাপের দাসত্ব করে এবং তারা বিশ্বাস করে যে, প্রভু তাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, তারা ধৈৰ্য্যসহকারে প্রভুকে ভালবাসতে ও তাঁর সেবা করতে চায়। তাদের অন্তরে প্রভুকে ভালবাসার অদম্য ইচ্ছা থাকে।
আপনার কি সেই হৃদয় আছে, যা প্রভুকে ভালবাসতে এবং সেবা করতে চায়? আপনার কি সেই হৃদয় আছে, যা তাঁর ধন্যবাদ করে?
 
 
প্রভু আমাদিগকে পাপ ব্যাতিত জীবন-যাপন করতে সক্ষম
করেছেন
 
আমরা যারা প্রভুর দাস, যারা বছরে মিলিয়ন ডলার আয় করে, তাদের চেয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে বাস করি। আমরা গ্রীষ্মকালে তরমুজ খাই এবং যখন ঋতু আসে তখন পীচ এবং আঙ্গুর খাই। আমরা যা ইচ্ছা তাই খেতে পারি। আমরা দরিদ্র নই। পাপ মোচনের পরেও কি আপনি দরিদ্রভাবে জীবন-যাপন করেছেন? আপনার স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করতে হবে।
আমরা যদি প্রভুর সাথে চলি, তাহলে আমরা প্রাচুর্য্যে জীবন- যাপন করতে পারি। যে কেউ প্রভুর সাথে চলে, তার অভাব হয় না। আপনি ইহা বিশ্বাস করেন? পার্থিব্য পরিমাপের ভিত্তিতে আমরা ধনী নই, আমরা প্রাচুর্য্য ছাড়াই জীবন-যাপন করি। আপনি কি এটা বিশ্বাস করেন? আপনার কি প্রভুতে সাক্ষাতের পর অজানা ইচ্ছা এবং অভাব আছে? আমাদের কোন অভাব নেই। আমরা অতীতে যেমন ছিলাম, বর্তমানে তার থেকে অনেক ধনী জীবন-যাপন করি। একজনের জন্য আমি অতীতের চেয়ে ভাল ঘুমোতে এবং জীবন-যাপন করতে পারছি।
প্রভু সম্পূর্ণরূপে আমাদের মুক্ত করেছেন। এই আশীর্বাদ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রভু আমাদিগকে পরিপূর্ণভাবে মুক্ত করেছেন এবং আপনাকে ও আমাকে তাঁর মাধ্যমে ধন্যবাদ দিতে সক্ষম করেছেন। তাঁর দয়া কত মহৎ!
পৌল তার মাংসকে দেখে বলেছিলেন, “হায় দূভাগ্য মনুষ্য আমি! কে আমাকে এই মৃত্যুর দেহ হইতে উদ্ধার করবে?” আমরা জীবন-যাপনে পাপ করি। আমরা মাংস যে সমস্ত পাপ করি, কে আমাদেরকে সেই পাপ থেকে মুক্ত করেছেন? প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাদের মুক্ত করেছেন। পৌল যেমন করেছিলেন, আমিও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি। ধন্যবাদ আমার প্রভু। আমাদের পাপ তুলে নেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
ঈশ্বরের ধার্মিকতা ধারণ করার পরে, প্রেরিত পৌল তার নিজের ধার্মিকতায় চলতেন না। তিনি বহুবার স্বীকার করেছেন যে, তার মাংস মাংস পাপের দাসত্বে বিক্রিত। কিছু লোকের অভিযোগ হচ্ছে, ৭ অধ্যায় লিখেছেন এবং পরিত্রাণ পাবার পরে ৮ অধ্যায় লিখেছেন। এটা আসলে ঠিক নয়।
যারা পরিত্রাণ পেয়েছে এবং যারা পরিত্রাণ পায়নি, এই উভয়ের জন্য ঈশ্বরের বাক্য প্রযোজ্য। ইহা সবার জন্য প্রযোজ্য। অনেক ধর্মতত্ত্ববিদরা ঈশ্বরের বাক্য না জেনে ৭ এবং ৮ অধ্যায় পৃথক করে, এবং যারা পরিত্রাণ পায়নি তাদের ৭ অধ্যায় এবং যারা পরিত্রাণ পেয়েছে তাদেরকে ৮ অধ্যায় পরিবেশন করে। তারা খামখেয়ালীভাবে ঈশ্বরের বাক্যের অনুচ্ছেদ করে, এমনকি তারা জানেও না যে, কিভাবে অনুচ্ছেদ করতে হয়। এই ক্ষেত্রে তারা অনেক দক্ষ প্রবঞ্চক।
প্রভু সম্পূর্ণরূপে এবং সত্যিকারভাবে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন। আমি চাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন এবং ধন্যবাদ দিতে থাকুন। আমি চাই আপনি আপনার মুখের মলিনতা দূর করে ফেলুন। প্রভু আপনার হৃদয়ের সমস্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন পাপ তুলে নিয়েছেন। আমি প্রভুর ধন্যবাদ দেই, যিনি আমাদের মাংসের সমস্ত পাপ হইতে আমাদেরকে মুক্ত করেছেন।