Search

សេចក្តីអធិប្បាយ

বিষয় ১১: আবাস

[3-5] লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলীর প্রতি পত্র (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪-২২)

লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলীর প্রতি পত্র
< প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪-২২ >
“ আর লায়দিকেয়াস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ;— যিনি আমেন, যিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় সাক্ষী, যিনি ঈশ্বরের সৃষ্টির আদি, তিনি এই কথা কহেন; আমি জানি তোমার কার্য্য সকল, তুমি না শীতল না তপ্ত; তুমি হয় শীতল হইলে, নয় তপ্ত হইলে ভাল হইত। এইরূপে তুমি কদুষ্ণ, না তপ্ত না শীতল, এই জন্য আমি নিজ মুখ হইতে তোমাকে বমন করিতে উদ্যত হইয়াছি। তুমি কহিতেছ, আমি ধনবান্‌, ধন সঞ্চয় করিয়াছি, আমার কিছুরই অভাব নাই; কিন্তু জান না যে, তুমিই দুর্ভাগ্য, কৃপাপাত্র, দরিদ্র, অন্ধ ও উলঙ্গ। আমি তোমাকে এক পরামর্শ দিই; তুমি আমার কাছে এই সকল দ্রব্য ক্রয় কর—অগ্নি দ্বারা পরিষ্কৃত স্বর্ণ, যেন ধনবান্‌ হও; শুক্ল বস্ত্র, যেন বস্ত্র পরিহিত হও, আর তোমার উলঙ্গতার লজ্জা প্রকাশিত না হয়; চক্ষুতে লেপনীয় অঞ্জন, যেন দেখিতে পাও। আমি যত লোককে ভালবাসি, সেই সকলকে অনুযোগ করি ও শাসন করি; অতএব উদ্যোগী হও, ও মন ফিরাও। দেখ, আমি দ্বারে দাঁড়াইয়া আছি, ও আঘাত করিতেছি; কেহ যদি আমার রব শুনে ও দ্বার খুলিয়া দেয়, তবে আমি তাহার কাছে প্রবেশ করিব, ও তাহার সহিত ভোজন করিব, এবং সেও আমার সহিত ভোজন করিবে। যে জয় করে, তাহাকে আমার সহিত আমার সিংহাসনে বসিতে দিব, যেমন আমি আপনি জয় করিয়াছি, এবং আমার পিতার সহিত তাঁহার সিংহাসনে বসিয়াছি। যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন।”
 
 

টীকা

 
পদ ১৪: “আর লায়দিকেয়াস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ;— যিনি আমেন, যিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় সাক্ষী, যিনি ঈশ্বরের সৃষ্টির আদি, তিনি এই কথা কহেন,” 
আমাদের প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং পিতা ঈশ্বরের ইচ্ছা সিদ্ধ করতে মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হলেন৷ অন্যকথায়, তিনি ঈশ্বরের যে কোনো আদেশ “আমেন” বলার মাধ্যমে পালন করেন৷ আমাদের প্রভু পিতা ঈশ্বরের স্বর্গরাজ্যের বিশ্বস্ত দাস এবং একজন সত্য সাক্ষী যিনি ঈশ্বরের সন্তান এবং ত্রাণকর্তা হয়ে নিজেই পরীক্ষিত হয়েছিলেন৷ আমার প্রভুই সৃষ্টির প্রারম্ভের ঈশ্বর৷ 
 
পদ ১৫: “আমি জানি তোমার কার্য্য সকল, তুমি না শীতল না তপ্ত; তুমি হয় শীতল হইলে, নয় তপ্ত হইলে ভাল হইত।”
 ঈশ্বর লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলীর দাসদের তাদের ঐকান্তিকতাহীনতার জন্য তীব্র তিরস্কার করেছিলেন৷ এই দাসেরা ঈশ্বরের ক্রোধের যোগ্য ছিল৷ যদি ঈশ্বরের সম্মুখে কারো বিশ্বাস ঐকান্তিকতাহীন হয়, তাহলে সে অবশ্যই (নারী/পুরুষ) কারো বিশ্বাসকে উষ্ণ বা শীতল করার দ্বারা পরিস্কার করতে পারে৷ ঈশ্বর যে বিশ্বাস আমাদের নিকট প্রত্যাশা করেন, সেটা নির্দিষ্টভাবে শীতল বা উষ্ণ হতে হবে৷ এই পরিস্কার বিশ্বাস হল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের একটি সঠিক অর্জন৷
যখন ঈশ্বরে বিশ্বাসের ব্যাপার আসে, দুই ধরণের বিশ্বাস আছে৷ অন্য দিকে আমরা আছি, যারা জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করি এবং অন্য সুসমাচার নয় কিন্ত এই সুসমাচার৷ অন্যদিকে আমরা যারা জল ও আত্মার সুসমাচার হতে বিভক্ত, অন্য সুসমাচারে বিশ্বাস করি৷ এবং এই পরের উল্লিখিত বিশ্বাস ঐকান্তিকতাহীন৷
তারা ভাবে যে যীশুকে বিশ্বাস করাই যথেষ্ট, এবং এই মিথ্যা ও সত্য সুসমাচারের উপলব্ধি করার প্রয়োজন নেই৷ এমনকি তাদের কেউ কেউ ভাবে শুধু যীশুই ত্রাণকর্তা নয়৷ কিন্তু এই পরিত্রাণ পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মেও পাওয়া যায়৷ তাদের বিশ্বাসের মত, লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলী কদুষ্ণ ছিল কারণ তারা মিথ্যা এবং সত্য সুসমাচারের পরিস্কার পার্থক্য করতে পারে নি, তারা বুঝতে পারে নি যে জল ও আত্মার সুসমাচার ছাড়া অন্য কোনো সুসমাচার নেই৷ একারণেই এই দাসেরা ঈশ্বরকে দুঃখিত করেছিল এবং তাঁর ক্রোধ সঞ্চয় করেছিল৷
 
পদ ১৬: “এইরূপে তুমি কদুষ্ণ, না তপ্ত না শীতল, এই জন্য আমি নিজ মুখ হইতে তোমাকে বমন করিতে উদ্যত হইয়াছি।”
আমাদের প্রভু ঈশ্বর তাঁর দাসদের নিকট থেকে পরিস্কার বিশ্বাস প্রত্যাশা করেন৷ আমাদের এটা অনুধাবন করতে হবে যে, ঈশ্বর শীতল বা তপ্ত বিশ্বাস গ্রাহ্য করেন না৷ অতএব, আমরা যখন প্রভুকে বিশ্বাস করি, আমাদের অবশ্যই পরিষ্কারভাবে এবং দ্বার্থ্যহীনভাবে ঈশ্বরের বাক্য বোঝার দ্বারা হৃদয়কে স্থাপন করতে হবে এবং এতে বিশ্বাসের মাধ্যমে তার ইচ্ছা দৃঢ় হতে হবে৷ যারা এরূপ, তারা অবশ্যই নূতন জন্ম প্রাপ্ত হবে এবং পরিষ্কারভাবে জল ও আত্মার বাইবেলীয় সুসমাচারের পক্ষে দাঁড়াতে পারবে এবং আপোষহীন ভাবে তাদের মুখোমুখি হবে যারা অন্য সুসমাচার প্রচার করে যা এই সত্য সুসমাচার থেকে ভিন্ন৷ ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, ধার্মিক যদি পরিস্কার বিশ্বাসের পক্ষে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে তিনি তাদেরকে বমন করে বাইরে ফেলে দেবেন৷ তাহলে আপনার বিশ্বাস কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?
 
পদ ১৭: “ তুমি কহিতেছ, আমি ধনবান্‌, ধন সঞ্চয় করিয়াছি, আমার কিছুরই অভাব নাই; কিন্তু জান না যে, তুমিই দুর্ভাগ্য, কৃপাপাত্র, দরিদ্র, অন্ধ ও উলঙ্গ।”
 প্রভুর উপরে যাদের বিশ্বাস ঐকান্তিকতাহীন, তাদের বিশ্বাসকে ন্যায্য করতে তারা বিশ্বাসের দারিদ্রতায় অন্যমনস্ক থাকে৷ কারণ লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলীর দাসগণও তার ঐকান্তিকতাহীন বিশ্বাস ধারণ করেছিল, তিনি নিজেও অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে, তিনি আসলে কত দুর্ভাগ্য৷ অতএব, নির্দিষ্ট এবং পরিস্কার বিশ্বাস থাকতে তার সত্যের জন্য পরীক্ষা এবং যাতনার সম্মুখীন হওয়ার প্রয়োজন ছিল৷ এবং মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসের যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়েছিল৷ শুধুমাত্র তখনই তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, তিনি কত বিশ্বাসহীন, দরিদ্র এবং উলঙ্গ৷ আমাদের প্রত্যেকের ঈশ্বরের সম্মুখে পরিস্কার বিশ্বাস থাকতে হবে৷
 
পদ ১৮: “আমি তোমাকে এক পরামর্শ দিই; তুমি আমার কাছে এই সকল দ্রব্য ক্রয় কর—অগ্নি দ্বারা পরিষ্কৃত স্বর্ণ, যেন ধনবান্‌ হও; শুক্ল বস্ত্র, যেন বস্ত্র পরিহিত হও, আর তোমার উলঙ্গতার লজ্জা প্রকাশিত না হয়; চক্ষুতে লেপনীয় অঞ্জন, যেন দেখিতে পাও।”
ঈশ্বর লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলীর দূতকে তার বিশ্বাস পরিস্কৃত করতে বলেছেন৷ লায়দিকেয়াস্থ মন্ডলীর দাস অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে তার বিশ্বাসের ভিত্তি পুনঃর্গঠন করবে এবং সম্পূর্ণ ধার্মিকতার পরিচ্ছেদে আবৃত হতে হবে৷ তাকে অবশ্যই নিজেকে দেখতে, ফিরে আসতে এবং পরিষ্কারভাবে তার বিশ্বাসকে পরিস্কৃত করতে হবে৷ তারা অবশ্যই অটল বিশ্বাস থাকতে হবে, এবং তার বিশ্বাসের পরিশোধনের দ্বারা শিক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যাশা সিদ্ধ করতে হবে৷ 
আপনাকে জল ও আত্মার সুসমাচারের জন্য অত্যাচারিত এবং যাতনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে৷ শুধুমাত্র তখনই আপনি বুঝতে পারবেন যে, জল ও আত্মার সুসমাচার সত্য কত মূল্যবান৷ জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে আপনি কখনও ঈশ্বরের ধার্মিকতা রক্ষা করতে আপনার নিজের ধার্মিকতা চূর্ণ করেছেন কি? যারা মানবীয় ধার্মিকতা চূর্ণ করে, তারা জানে যে ঈশ্বরের ধার্মিকতা কত মূল্যবান এবং আশীর্বাদযুক্ত৷ আপনাকে অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, প্রভুতে বিশ্বাস ও নির্ভরতা ব্যতীত আপনার বিশ্বাসের জীবন সাধারণ কৃপার পাত্রতে পরিণত হতে পারে৷ অতএব, অবশ্যই আপনাকে বিশ্বাস থেকে জানতে হবে, যা প্রভু আমাদের সম্মুখে তাঁর অগ্রগামী দাসদের প্রদান করেছেন এবং আপনার বিশ্বাসহীনতার লজ্জা ঢাকতে হবে৷
আমরা অবশ্যই এই বিষয় ভুলবনা যে, সত্য বিশ্বাস অর্জন করতে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়৷ কারণ সত্য বিশ্বাস নিম্নলিখিত আধ্যাত্মিক প্রণালীতে ধাপে ধাপে বিশ্বাসে চলার দ্বারা অর্জিত হয়, প্রভুর রাজ্যের নির্মান করতে এবং বিশ্বাসকে অগ্রসর করতে পৃথিবীস্থ জিনিস হারানোর জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে, এবং প্রভুর জন্য সমস্ত কিছু দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে৷
 
পদ ১৯: “আমি যত লোককে ভালবাসি, সেই সকলকে অনুযোগ করি ও শাসন করি; অতএব উদ্যোগী হও, ও মন ফিরাও।” 
প্রভু যাদেরকে জানেন এবং প্রেম করেন, তাদেরকে অনুযোগ এবং শাসন করেন; যদি তাদের বিশ্বাস শর্তহীন হয়৷ অতএব, যারা তাঁর জন্য কষ্ট করে এবং সত্য বিশ্বাসে তাঁকে অনুসরণ করে, তিনি তাদের ভালবাসেন৷
 
পদ ২০: “দেখ, আমি দ্বারে দাঁড়াইয়া আছি, ও আঘাত করিতেছি; কেহ যদি আমার রব শুনে ও দ্বার খুলিয়া দেয়, তবে আমি তাহার কাছে প্রবেশ করিব, ও তাহার সহিত ভোজন করিব, এবং সেও আমার সহিত ভোজন করিবে।” 
যারা তাদের জীবনের দুঃখ এবং আনন্দ তাঁর সাথে সহভাগিতা করে, তারা ঈশ্বরের দাস গণিত হয়৷ যারা প্রভুর পক্ষে কাজ করে, প্রভুর বাক্যে বিশ্বাসের দ্বারা জীবনযাপন করে, তাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের প্রভু সর্বদা তাঁর কার্য সিদ্ধ করেন৷
 
পদ ২১: “ যে জয় করে, তাহাকে আমার সহিত আমার সিংহাসনে বসিতে দিব, যেমন আমি আপনি জয় করিয়াছি, এবং আমার পিতার সহিত তাঁহার সিংহাসনে বসিয়াছি।”
কেউ সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছে কি নেই, এর উপরে নির্ভর করে সত্য বিশ্বাসের জয় এবং পরাজয়৷ যারা প্রভুর বাক্যে বিশ্বাসের দ্বারা শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তারা জয়ী হবে এবং প্রভুর সাথে গৌরাবন্বিত হবে৷ সাধুগণ এবং ঈশ্বরের দাসগণ সর্বদা শয়তানের বিরুদ্ধে আত্মিক যুদ্ধে লিপ্ত৷ এই যুদ্ধে তারা প্রভুর বাক্যে বিশ্বাসের দ্বারা সর্বদা জয়লাভ করতে পারে৷ যারা শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে তারা প্রভুর সাথে গৌরাবন্বিত হবে৷
 
পদ ২২: “যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন।”
সাধুদের অবশ্যই ঈশ্বরের স্বর শুনতে হবে এবং পবিত্র আত্মার চালনাই পরিচালিত হতে হবে৷ যখন তারা তা করে, তাদের বিশ্বাস পবিত্র আত্মার সাথে চালিত হয় এবং আত্মিক বিজয় সর্বদা তাদেরই৷