Search

សេចក្តីអធិប្បាយ

বিষয় ১১: আবাস

[5-2] মেষশাবক, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন (প্রকাশিত বাক্য ৫:১-১৪)

মেষশাবক, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন
< প্রকাশিত বাক্য ৫:১-১৪>
 
আমরা প্রকাশিত বাক্যের ৫ অধ্যায় পড়লাম৷ এখানে, ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে বলে যে, প্রভুই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি শেষ কালে মানবজাতির উদ্ধারকারী এবং বিচারক উভয়ই৷ যে প্রভুতে আমরা বিশ্বাস করি, তিনি কে? বাক্য আমাদের বলে যে, যারা তাঁকে বিশ্বাস করে, তিনি তাদের মুক্তিদাতা, সমস্ত মানবজাতির বিচারক এবং রাজাদের রাজা৷
কখনও কখনও আমরা যীশুকে একজন সীমাবদ্ধ প্রভুর মত মনে করি৷ কিন্তু আমাদের প্রভু সমস্ত সৃষ্টির বিচারকর্তা৷
জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারের মধ্য দিয়ে প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ, বিচার এবং ধ্বংস থেকে মুক্ত করেছেন৷ অতএব প্রভু আমাদের সত্যিকারের মুক্তিদাতা এবং ঈশ্বর হয়েছেন৷ একই সাথে, আমাদের প্রভু সমস্ত মানবজাতির রাজা এবং বিচারক৷ আসুন, আমরা যাকে বিশ্বাস করি ও যার উপর নির্ভর করি, সেই প্রভুর উদ্দেশ্যে আমাদের কৃতজ্ঞতাপূর্ণ চিত্তে আমরা আজ জেগে উঠি৷
১ পদে আমরা দেখতে পাই যে, তিনি সিংহাসনে বসে ছিলেন এবং তাঁর দক্ষিণ হস্তে একখানি পুস্তক, এবং ঐ মেষশাবক ছিলেন যীশু খ্রীষ্ট, ইহাই,- এই পুস্তকে সংক্ষিপ্তসারে গৃহীত হয়েছে৷ শেষ পদে আমরা আরো দেখতে পাই যে, প্রভু এই সিংহাসনে বসে আছেন৷ এই বাক্য আমাদেরকে বলে যে, শীঘ্রই প্রভু, বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের এবং এই সমস্ত মানবজাতির উভয়েরই সমভাবে বিচারক হবেন৷ অতএব আমরা জানতে এবং বিশ্বাস করতে পারি যীশুই ঈশ্বর, যিনি সকলের বিচারক হয়েছেন৷
আমরা যারা নুতন জন্মপ্রাপ্ত, আমাদের জন্য আমাদের প্রভু, তাঁর পুরস্কার এবং শান্তি সীমিত করবেন না, কিন্তু বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত কিছু এবং সমস্ত মানবজাতির সত্যিকারের বিচারক এবং রাজাদের রাজা৷ কখনও কখনও লোকেরা বলে যে, এখন আমরা একুশ শতকে প্রবেশ করেছি৷ প্রভুর আগমনের জন্য এটাই প্রকৃত সময় হতে পারে৷ যখন আমরা বলি যে, প্রভুর আগমন সন্নিকট, এর অর্থ হচ্ছে, পৃথিবী ধংস হওয়ার সময় সন্নিকট৷
এই বাক্যের মধ্য দিয়ে এখানে আমরা দেখতে পাই যে, সব কিছুর বিচার করার ক্ষমতা প্রভুর রয়েছে৷ আমাদের প্রভু মাংসিক দেহে পৃথিবীতে এসেছিলেন, এবং ৩০ বছর বয়সে বাপ্তিস্ম গ্রহণের মুহুর্তেই মানবজাতির সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন৷ আর মানবজাতির সমস্ত পাপের জন্য বিচারিত হয়ে ক্রুশীয় মৃত্যবরণ করেছিলেন৷
স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রত্যেক প্রাণীবর্গের এবং প্রত্যেক মানুষের সমাদর ও ভজনা একমাত্র পিতা ঈশ্বরই গ্রহণ করতে পারেন৷ কিন্তু পিতা ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্পূর্ণরূপে পূরণের জন্য, দক্ষিণে উপবিষ্ট যীশু খ্রীষ্টকে পিতার সাথে একই সাথে সমাদর ও ভজনা দত্ত হয়েছে৷ অতএব, খ্রীষ্ট সমস্ত বিচার ব্যবস্থা উত্তরাধিকার সূত্রেই পিতার থেকে পেয়েছেন৷
প্রত্যেক মনুষ্যের সঠিক বিচারের ভার যীশু খ্রীষ্টকে দেওয়া হয়েছে এবং একমাত্র তাঁর দ্বারাই প্রত্যেক মনুষ্য বিচারিত হয়েছে এবং উদ্ধার পেয়েছে৷ প্রভু যে আমাদেরকে সত্যিই উদ্ধার করেছেন; এটা জানা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়৷ শেষদিন পর্যন্ত বিশ্বাসে বলবান থাকার জন্য আমাদের অবশ্যই এই জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে৷ প্রভুর মধ্যে কি প্রকার ক্ষমতা আছে, শুধুমাত্র এই পরিস্কার ধারনায় যখন আমরা প্রভুকে বিশ্বাস করি, তখন এই জ্ঞান আমাদের জন্য মহাশক্তিতে পরিণত হয়৷
একমাত্র প্রভু, যিনি আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন, আমাদের প্রত্যেকের ভালো ও মন্দের বিচার করার ক্ষমতা তাঁরই আছে৷ আমাদের অবশ্যই উপলব্ধি এবং বিশ্বাস করতে হবে যে, এই প্রভুই, পিতা ঈশ্বরের অনুরূপ ভজনা পাওয়ার যোগ্য৷ অনুচ্ছেদটি আমাদের বলে যে, আমাদের প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছেন, হত হয়েছেন এবং তাঁর রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ, ভাষা, জাতি ও লোকবৃন্দকে ঈশ্বরের নিমিত্ত ক্রয় করেছেন; এবং আমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে তাদেরকে রাজা ও যাজক করেছেন; আর তারা পৃথিবীর উপর রাজত্ব করবে৷
এই অনুচ্ছেদটি আমাদের আরও বলে যে, আর সেখানে স্বর্গীয় দুতগণের রব শোনা গেল, তাদের সংখ্যা অযুত গুন অযুত ও সহস্র গুন সহস্র, তারা উচ্চঃস্বরে প্রভুর প্রশংসা ও ভজনা করছে৷ “ মেষশাবক, যিনি হত হইয়াছিলেন, তিনিই পরাক্রম ও ধন ও জ্ঞান ও শক্তি ও সমাদর ও গৌরব ও ধন্যবাদ, এই সকল গ্রহণ করিবার যোগ্য।” যোহন প্রতিনিয়ত যা দেখেছিলেন এবং শুনেছিলেন ১৩ পদে সে বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন, “পরে স্বর্গে ও পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচে ও সমুদ্রের উপরে যে সকল সৃষ্ট বস্তু, এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তেরই এই বাণী শুনিলাম, ‘যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার প্রতি ও মেষশাবকের প্রতি ধন্যবাদ ও সমাদর ও গৌরব ও কর্ত্তৃত্ব যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে বর্ত্তুক। ” তখন কার প্রত্যেক প্রাণী সমস্ত গৌরব প্রদান করবে? মেষশাবক, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, আর সমস্ত ধন্যবাদ, সমাদর, গৌরব, এবং কর্তৃত্ব যুগপর্যায়ে যুগে যুগে তাঁকেই প্রদান করা হয়েছে৷
মানুষের সমস্ত গৌরব, প্রশংসা এবং ভজনা একমাত্র যীশু খ্রীষ্টের পিতা, ঈশ্বরের৷ এই কারণে এখন পিতার অনুরূপ যীশু খ্রীষ্টকেও একই সমান কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীতে আগমনের মধ্য দিয়ে এবং মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধারের নিমিত্ত তিনি বিচারিত এবং হত হয়েছেন, প্রায়শ্চিত্তের এই পরিত্রাণের জন্য পিতার সাথে একইভাবে সমস্ত গৌরব এবং আমাদের যোগ্য উত্তরাধিকারী হওয়ায় সমস্ত ভজনা তাঁকে দেওয়া হয়েছে৷
কেবল এই বিষয় চিন্তা করতে হবে যে, প্রভু যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, যিনি প্রভু এবং সমস্ত কিছুর বিচারক এবং আমাদের উদ্ধারকর্তা, আমাদের জন্য মহা গৌরব আনয়ন করেছেন, তা আমাদের হৃদয় পূর্ণ করে৷ এটা ঠিক- প্রভু রাজাদের রাজা এবং সৃষ্টির স্রষ্টা, যার দ্বারা বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত কিছুই সৃষ্টি হয়েছে৷
যেহেতু আমাদের প্রভু সমস্ত সৃষ্টির স্রষ্টা, যিনি এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং তাঁর জল ও রক্ত দ্বারা আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন, তাই প্রত্যেক মনুষ্য এবং এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত কিছুই তাঁর সিংহাসনের সম্মুখে অবনত, এবং সমস্ত আরাধনা, প্রশংসা, গৌরব এবং সম্মান তাঁকেই দেওয়া হয়েছে এবং তিনিই সমস্ত কিছুর যোগ্য৷ এই জ্ঞানের দ্বারা আমাদের হৃদয় আরো বেশী উত্সাহিত হয়েছে এবং আমাদের বিশ্বাস আরো বেশী বলবান হয়েছে যে, একমাত্র প্রভুই সমস্ত কিছুর বিচারক হিসাবে ঈশ্বরের গৌরবের সিংহাসনে বসে আছেন৷ 
কোনো কোনো লোক যীশুকে চারজন মহা বিজ্ঞ ব্যক্তির মধ্যে একজন মনে করেন, কিন্তু প্রভু মানবীয় কেউ নন৷ প্রভু আমাদের ঈশ্বর, যিনি, সৃষ্টি করেছেন, প্রস্তুত করেছেন এবং আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন৷ অতএব, আমাদের সৃষ্ট কোনো মানবিক বিষয়ের সঙ্গে আমরা প্রভুর তুলনা করতে পারি না৷ সক্রেটিস, কি কনফুসিয়াস কি বুদ্ধ, এমনকি মানবিক কোনো কিছুর সঙ্গে আমাদের প্রভুর তুলনা করতে পারি না৷ যীশু আমাদের উদ্ধারের জন্য একজন মানুষ হিসাবে মাত্র ৩৩ বছর জীবনযাপন করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁর প্রকৃতি একেবারে ঈশ্বরের মত৷ কিন্তু মানবীয়ভাবে জন্মপ্রাপ্তের মানবীয় ভাব থাকে, এত ভালো বৈশিষ্টের হতে পারে না, যীশু পিতা ঈশ্বরের পুত্র হওয়ায় তিনিই ঈশ্বর৷ 
অতএব, যীশু নিজেই ঈশ্বর, এবং আমাদের সৃষ্টির স্রষ্টা৷ কিন্তু আমাদের উদ্ধারের নিমিত্ত প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছেন৷ আমাদের উদ্ধার করার কারণেই, তিনি আমাদের সমস্ত গৌরব গ্রহণের যোগ্য হয়েছেন, এবং আমাদের হৃদয়ে অবশ্যই এই দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে যে, যীশু সৃষ্ট নন, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা৷ আমরা কৃতজ্ঞ এবং আনন্দিত!
 
 

আমাদের প্রভু, ঈশ্বরের সংকল্প সাধন করতে পারেন

 
সপ্ত মুদ্রায় মুদ্রাঙ্কিত পুস্তকটি একমাত্র আমাদের প্রভুই খুলতে পারেন, অন্য কেউ নয়৷ সপ্ত মুদ্রায় মুদ্রাঙ্কিত এই পুস্তকটি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত পুস্তক৷ যীশু খ্রীষ্টে আমাদেরকে সংযুক্ত করার নিমিত্তই ঈশ্বর এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন৷ এমনকি সৃষ্টির পূর্বেই ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে তাঁর সন্তান করার সংকল্প করে রেখেছিলেন৷ ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য এবং তাঁর সংকল্প অনুসারে আমাদের উদ্ধার ও মনুষ্যের বিচারের নিমিত্ত আমাদের প্রভু মুদ্রাঙ্কিত এই পুস্তকটি গ্রহণ করেছেন৷
ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে বলে, “কিন্তু স্বর্গে কি পৃথিবীতে কি পৃথিবীর নীচে সেই পুস্তক খুলিতে অথবা তাহার প্রতি দৃষ্টি করিতে কাহারও সাধ্য হইল না। ” সেখানে এমন কেউ ছিল না, অন্যকথায়, যিনি ঈশ্বরের সংকল্প সাধনে অবশ্যম্ভাবী সমর্থ৷ একমাত্র যীশু খ্রীষ্টই এটা করতে পারেন৷ কেন? কারণ ঈশ্বর তাঁর পুত্রের মধ্যে দিয়েই সমস্ত সংকল্প করেছেন৷
এর অর্থ হচ্ছে, পিতা ঈশ্বরের সংকল্প অনুসারে, সপ্ত মুদ্রায় মুদ্রাঙ্কিত পুস্তকটি খুলে বিচার করার ক্ষমতা প্রভুরই আছে৷ এই ক্ষমতাবলে, যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ নিজের উপর বহন করেছেন এবং এই পাপের জন্য আমাদের স্থলে বিচারিত হয়ে ক্রুশে মৃত্যুবরণের নিমিত্ত তিনি ত্রিত্ব ঈশ্বরের প্রত্যেকটি সংকল্প সিদ্ধ করেছেন৷ ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রভু আমাদেরকে তাঁর যাজক হিসাবে মনোনীত করার জন্য, তাঁর নিজের মূল্যবান জীবন দান করার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করেছেন৷
যীশু খ্রীষ্টের পরিত্রাণে যারা বিশ্বাস করে, তিনি তাদেরকে তাঁর সাথে রাজত্ব করার জন্য মনোনীত করেছেন৷ ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে বলে যে, “আমরা এই পৃথিবীর উপর রাজত্ব করব”, সত্যই প্রভু যখন এই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, তিনি পুনরায় সমস্ত কিছু জয় করবেন এবং এটা অনুধাবন করার জন্য পৃথিবীর উপরে সহস্রাব্দের রাজত্ব আনয়ন করবেন৷