Search

សេចក្តីអធិប្បាយ

বিষয় ১১: আবাস

[10-1] আপনি কি রূপান্তরের সময় জানেন? (প্রকাশিত বাক্য ১০:১-১১)

আপনি কি রূপান্তরের সময় জানেন?
< প্রকাশিত বাক্য ১০:১-১১ >
“পরে আমি আর এক শক্তিমান্‌ দূতকে স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিতে দেখিলাম। তাঁহার পরিচ্ছদ মেঘ, তাঁহার মস্তকের উপরে মেঘধনুক, তাঁহার মুখ সূর্য্যতুল্য, তাঁহার চরণ অগ্নিস্তম্ভতুল্য, এবং তাঁহার হস্তে খোলা একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক ছিল। তিনি সমুদ্রে দক্ষিণ চরণ ও স্থলে বাম চরণ রাখিলেন; এবং সিংহগর্জ্জনের ন্যায় হুঙ্কারশব্দে চীৎকার করিলেন; আর তিনি চীৎকার করিলে সপ্ত মেঘধ্বনি আপন আপন রব শুনাইল। সেই সপ্ত মেঘধ্বনি কথা কহিলে আমি লিখিতে উদ্যত হইলাম; আর স্বর্গ হইতে এই বাণী শুনিলাম, ঐ সপ্ত মেঘধ্বনি যাহা কহিল, তাহা মুদ্রাঙ্কিত কর, লিখিও না। পরে সেই দূত, যাঁহাকে আমি সমুদ্রের উপরে ও স্থলের উপরে দাঁড়াইতে দেখিয়াছিলাম, তিনি স্বর্গের প্রতি “আপন দক্ষিণ হস্ত উঠাইলেন, আর যিনি যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, যিনি আকাশ ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের এবং পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের সৃষ্টি করিয়াছিলেন, তাঁহার নামে এই শপথ করিলেন” , আর বিলম্ব হইবে না ; কিন্তু সপ্তম দূতের ধ্বনির দিনসমূহে, যখন তিনি তূরী বাজাইতে উদ্যত হইবেন, তখন ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব সমাপ্ত হইবে, যেমন তিনি আপন দাস ভাববাদিগণকে এই মঙ্গলবার্ত্তা জানাইয়াছিলেন। পরে, স্বর্গ হইতে যে বাণী শুনিয়াছিলাম, তাহা আমার সহিত আবার আলাপ করিয়া কহিল, যাও, সমুদ্রের ও স্থলের উপরে দণ্ডায়মান ঐ দূতের হস্ত হইতে সেই খোলা পুস্তকখানি লও। তখন আমি সেই দূতের নিকটে গিয়া তাঁহাকে কহিলাম, ঐ ক্ষুদ্র পুস্তকখানি আমাকে দিউন। তিনি আমাকে কহিলেন, লও, খাইয়া ফেল; ইহা তোমার উদরকে তিক্ত করিয়া তুলিবে, কিন্তু তোমার মুখে মধুর ন্যায় মিষ্ট লাগিবে। তখন আমি দূতের হস্ত হইতে সেই ক্ষুদ্র পুস্তক গ্রহণ করিয়া খাইয়া ফেলিলাম; তাহা মুখে মধুর ন্যায় মিষ্ট লাগিল, কিন্তু খাইয়া ফেলিলে পর আমার উদর তিক্ত বোধ হইল। পরে তাঁহারা আমাকে কহিলেন, অনেক প্রজাবৃন্দের ও জাতির ও ভাষার ও রাজার বিষয়ে তোমাকে আবার ভাববাণী বলিতে হইবে।”
 
 

টীকা

 
এই অধায়ের মূল সারাংশটি পাওয়া যায় ৭ পদে: “কিন্তু সপ্তম দূতের ধ্বনির দিনসমূহে, যখন তিনি তূরী বাজাইতে উদ্যত হইবেন, তখন ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব সমাপ্ত হইবে, যেমন তিনি আপন দাস ভাববাদিগণকে এই মঙ্গলবার্ত্তা জানাইয়াছিলেন। ” অন্যভাবে বলা যায়, এই সময়েই রূপান্তর ঘটবে৷
 
পদ ১: “পরে আমি আর এক শক্তিমান্‌ দূতকে স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিতে দেখিলাম। তাঁহার পরিচ্ছদ মেঘ, তাঁহার মস্তকের উপরে মেঘধনুক, তাঁহার মুখ সূর্য্যতুল্য, তাঁহার চরণ অগ্নিস্তম্ভতুল্য,”
১০ অধ্যায়ে যে শক্তিশালী দূতের কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তিনি ঈশ্বরের নির্বাহক, যিনি তাঁর কাজ ও আগমনের সাক্ষ্য বহন করেন৷ এই দূতের উপস্থিতি প্রকাশ করে যে, ঈশ্বরের মহিমা ও পরাক্রম কত মহৎ৷ এটি আরো প্রকাশ করে যে, ঈশ্বর পৃথিবীস্থ সমুদ্রসমূহ ধ্বংসপ্রাপ্ত করবেন এবং সাধুগণকে পুনরুত্থিত ও রূপান্তরিত করে স্বর্গে নীত করবেন৷ 
 
পদ ২-৩: “এবং তাঁহার হস্তে খোলা একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক ছিল। তিনি সমুদ্রে দক্ষিণ চরণ ও স্থলে বাম চরণ রাখিলেন; এবং সিংহগর্জ্জনের ন্যায় হুঙ্কারশব্দে চীৎকার করিলেন; আর তিনি চীৎকার করিলে সপ্ত মেঘধ্বনি আপন আপন রব শুনাইল।”
ঈশ্বর তাঁর সংকল্প অনুসারে সবকিছু করবেন৷ যখন শেষ দিন আসবে, তিনি স্থল ও সমুদ্র উভয়ই ধ্বংস করবেন৷ অন্যকথায়, আমাদের প্রভু প্রথম সমুদ্র ও প্রথম ভূমি ধ্বংস করবেন৷
এই অনুচ্ছেদটি ঈশ্বর যা সংকল্প করেছেন তা পরিপূর্ণ করতে এবং তাঁর কার্য সম্পাদন করতে ঈশ্বরের অদম্য ইচ্ছাকে প্রকাশ করে৷ বাইবেলে সাত সংখ্যাটি সম্পাদনের অর্থ বহন করে৷ ঈশ্বর যখন তাঁর কার্য সম্পন্ন করবেন তখন তিনি এই সংখ্যা ব্যবহার করবেন এবং বিশ্রাম নেবেন৷ যেভাবে এই অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে বলে যে, শেষ কালে ঈশ্বর অনেকেক তাদের ধ্বংস থেকে রক্ষা করবেন, কিন্তু অপর দিকে, তিনি অবশ্যই এই পৃথিবী ধ্বংস করবেন৷
 
পদ ৪: “সেই সপ্ত মেঘধ্বনি কথা কহিলে আমি লিখিতে উদ্যত হইলাম; আর স্বর্গ হইতে এই বাণী শুনিলাম, ঐ সপ্ত মেঘধ্বনি যাহা কহিল, তাহা মুদ্রাঙ্কিত কর, লিখিও না।”
সপ্ত মেঘধ্বনি দ্বারা ঈশ্বর যা প্রকাশ করেছিলেন, সেই বিষয়টি এবং ধার্মিকদের রূপান্তরের বিষয়টি ঈশ্বর, যোহনকে পাপীদের নিকট প্রকাশ করতে নিষেধ করেছিলেন৷ কারণ, যেহেতু তারা ঈশ্বরের শত্রু এবং ঈশ্বরের সন্তানগণকে ঘৃনা ও নির্যাতন করে তাই ঈশ্বর কোনো কোনো বিষয় অবিশ্বাসীদের কাছে গোপন রাখতে চান৷
তাছাড়া নোহের সময়, ঈশ্বর যখন জলপ্লাবনের দ্বারা এই পৃথিবী ধ্বংস করেছিলেন, কেবলমাত্র নোহের কাছেই তিনি এই আগাম জলপ্লাবনের বিষয়ে প্রকাশ করেছিলেন৷ এমনকি এখনও ঈশ্বর সমগ্র পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করছেন এবং যারা এই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তিনি তাদেরকে স্বর্গরাজ্য দেবেন৷ কিন্তু যাদের সত্য বিশ্বাস রয়েছে, তাদের ছাড়া তিনি অন্য কারো কাছে কখন রূপান্তর আসবে তা প্রকাশ করেন নি৷ কারণ ধার্মিকদের জন্য, ঈশ্বর তাঁর রাজ্যে একটি নুতন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের সঙ্গে তিনি সেখানে থাকবেন বলে আকাঙ্খা করেছেন৷
 
পদ ৫-৬: “পরে সেই দূত, যাঁহাকে আমি সমুদ্রের উপরে ও স্থলের উপরে দাঁড়াইতে দেখিয়াছিলাম, তিনি স্বর্গের প্রতি “আপন দক্ষিণ হস্ত উঠাইলেন, আর যিনি যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, যিনি আকাশ ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের এবং পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের সৃষ্টি করিয়াছিলেন, তাঁহার নামে এই শপথ করিলেন, আর বিলম্ব হইবে না ;”
ঈশ্বরের নাম শপথ করেই সমস্ত কিছু সম্পন্ন হবে, কোনো একজনের নিজের নাম দিব্য করে নেওয়া হবে না, বরং আরো মহত্তর নামের দ্বারাই হবে৷ শেষকালের সাধুগণ এবং যারা ইতিমধ্যে তাঁর পবিত্রগণ হয়েছেন সকলের জন্যেই ঈশ্বর সর্বশেষ জামিনদার৷
এখানে, শক্তিমান দূত, সর্বশক্তিমানের নাম শপথ করেন যে, নিঃসন্দেহে রূপান্তর আসবে৷ এই অঙ্গীকার আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী সৃষ্টি করবেন এবং এই নুতন পৃথিবীতে তিনি তাঁর পবিত্রগনের সাথে থাকবেন৷ এটা আমাদের দেখায় যে, ঈশ্বর তাঁর নুতন পৃথিবী সৃষ্টি করতে বিলম্ব করবেন না, বরং তাঁর পবিত্রগণের জন্য, তিনি খুব শীঘ্রই তা সম্পন্ন করবেন৷ 
 
পদ ৭: “কিন্তু সপ্তম দূতের ধ্বনির দিনসমূহে, যখন তিনি তূরী বাজাইতে উদ্যত হইবেন, তখন ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব সমাপ্ত হইবে, যেমন তিনি আপন দাস ভাববাদিগণকে এই মঙ্গলবার্ত্তা জানাইয়াছিলেন। ”
এই পদ আমাদেরকে বলে যে, চূড়ান্ত ক্লেশে যখন শেষ সপ্তম তুরী বাজবে, তখন সকল পবিত্রগণের রূপান্তর আসবে, তখন এই জগতের লোকেরা কি আশ্চর্য জ্ঞান করবে৷
প্রকাশিত বাক্য ১০:৭ আমাদেরকে বলে, “কিন্তু সপ্তম দূতের ধ্বনির দিনসমূহে, যখন তিনি তূরী বাজাইতে উদ্যত হইবেন, তখন ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব সমাপ্ত হইবে, যেমন তিনি আপন দাস ভাববাদিগণকে এই মঙ্গলবার্ত্তা জানাইয়াছিলেন।” এখানে এই অনুচ্ছেদ, “ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব সমাপ্ত হইবে, যেমন তিনি আপন দাস ভাববাদিগণকে এই মঙ্গলবার্ত্তা জানাইয়াছিলেন।” এর অর্থ কি? এর অর্থ যে কেবল জল ও আত্মার সুসমাচারই সত্য সুসমাচার, এবং পবিত্র আত্মা তার (পুরুষ/নারী) হৃদয়ে থাকে, যখন সপ্তমতুরী বাজবে, সাধুগণের রূপান্তর ঠিক সেই ভাবেই অবশ্যই আসবে৷
সপ্ততুরীর ষষ্ঠ তুরী অতিক্রম করার পরে, সাধুগণ সাক্ষ্যমর হবেন, খ্রীষ্টারী পৃথিবীতে প্রকাশিত হবে এবং পৃথিবীতে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে, পশুর ছাব গ্রহণ করার জন্য প্রত্যেকের উপর চাপ সৃষ্টি করবে৷ অল্প পরে, যখন সপ্তম দূত তাঁর তুরী বাজাবে, সাক্ষ্যমর ও যেসব সাধুগণ জীবিত অবস্থায় তাদের বিশ্বাস ধরে রেখেছিল, সকলেই একসাথে পুনরুত্থিত ও রূপান্তরিত হবে৷ তারপরেই মানুষের নিমিত্ত সর্বশেষ মারী সপ্তবাটির মারী আরম্ভ হবে৷ একসাথে সাধুগণ তাদের রূপান্তরের পর পৃথিবীতে থাকবে না, বরং স্বর্গে প্রভুর সাথে থাকবে৷ সাধুগণ অবশ্যই জানে যে যখন সপ্তম দূত শেষ তুরী বাজাবে, তখন তাদের রূপান্তর ঘটবে৷
১ থিষলনীকীয় ৪ অধ্যায়ে প্রেরিত পৌল আমাদেরকে আরো বলেছেন যে, প্রধান দূতের তুরী সহ স্বর্গ হতে প্রভু নেমে আসবেন৷ অনেক খ্রীষ্টিয়ানেরা মনে করে যে, যখন রূপান্তর ঘটবে, তখন প্রভু এই পৃথিবীতে নেমে আসবেন, কিন্তু তা নয়৷ যখন রূপান্তর ঘটবে, আমাদের প্রভু তখন এই পৃথিবীতে নেমে আসবেন না বরং আকাশে থাকবেন৷ অন্যকথায়, সাধুগণকে উর্দ্ধে তুলে নেওয়ার ও তাদেরকে আকাশে গ্রহণের দ্বারা তিনি রূপান্তর সম্পাদন করবেন৷
তাই, যে সমস্ত খ্রীষ্টিয়ানদের ভুল ধারণা রয়েছে যে, যখন প্রকৃত সাধুদের রূপান্তর হবে, তখন প্রভু এই পৃথিবীতে নেমে আসবেন; তাদের এই ভুল চিন্তাকে ঝেড়ে ফেলা উচিত, এবং সত্যকে জানা উচিত এবং এটা মনে রেখে বিশ্বাস করা উচিত যে, সাধুগণের রূপান্তর তখনই আসবে, যখন সপ্তম দূত তার তুরী বাজাবে৷৷ 
“ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব সমাপ্ত হইবে, যেমন তিনি আপন দাস ভাববাদিগণকে এই মঙ্গলবার্ত্তা জানাইয়াছিলেন।” আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব বলতে সাধুগণের রূপান্তরকে বোঝানো হয়েছে- যা সপ্তম তুরীর ধ্বনিসহ আসবে৷ এখন সময় খুব অল্প, ঈশ্বর প্রথম পৃথিবী ধ্বংস করবেন এবং দ্বিতীয় পৃথিবী স্থাপন করবেন৷ এই পৃথিবীতে যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা নুতন জন্ম গ্রহণ করেছে, এবং এছাড়াও সমস্ত প্রতিজ্ঞা বিশ্বস্ততার সাথে সম্পন্ন করেছে, এবং এই কারণে ঈশ্বর তাদের সাথে থাকতে ও বাস করতে চান৷ এটাই ঈশ্বরের ইচ্ছা, সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ডের স্রষ্টা, সাধুগণের নিমিত্ত তিনি নিজেই সবকিছু স্থাপন করেছেন৷
দূত যখন সপ্তম তুরী বাজাবে, তখন সপ্তম তুরীর মারী সম্পন্ন হবে, এবং সপ্তবাটির চূড়ান্ত মারী উপস্থিত হবে৷ বাক্য আমাদেরকে বলে, কিন্তু সপ্তম দূতের ধ্বনির দিনসমূহে, যখন তিনি তূরী বাজাইতে উদ্যত হইবেন, তখন ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব সমাপ্ত হইবে, যেমন তিনি আপন দাস ভাববাদিগণকে এই মঙ্গলবার্ত্তা জানাইয়াছিলেন। ” এখানে ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব হচ্ছে এটাই যে সপ্তম দূতের তুরী বাজানোর সাথে সাথে সাধুগণের রূপান্তর হবে৷
সাধুগণ এখন এই পৃথিবীতে বাস করছেন, কিন্তু তাদের থাকার জন্য এর চেয়েও আরো সুন্দর পৃথিবী রয়েছে, তারা অবশ্যই সাক্ষ্যমর হবেন, পুনরুত্থিত ও রুপান্তরিত হবেন৷ কেবল তখনই তারা প্রভুর সাথে মেষশাবকের বিবাহভোজে নিমন্ত্রিত হবেন এবং সহস্র বছর তাঁর সাথে রাজত্ব করবেন৷ এই সহস্রাব্দের পর খ্রীষ্টারী, শয়তান ও তাদের সমস্ত অনুসারীরা ঈশ্বরের অনন্ত বিচারের সম্মুখীন হবে, এবং তখন থেকেই সাধুগণ তাঁর অনন্ত আশীর্বাদের স্বর্গে, প্রভুর সাথে আশীর্বাদে বাস করবেন৷ এটাই ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব৷ যাদের সত্য বিশ্বাস রয়েছে, তাদের কাছে ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব প্রকাশের জন্য আমরা ঈশ্বরের ধন্যবাদ দিতে পারি৷ ঈশ্বর আমাদের বলেন যে, যখন সপ্তম দূত তুরী বাজাবে, তখন তিনি তাঁর সমস্ত প্রতিজ্ঞা সম্পূর্ণ করবেন৷
 
পদ ৮: “পরে, স্বর্গ হইতে যে বাণী শুনিয়াছিলাম, তাহা আমার সহিত আবার আলাপ করিয়া কহিল, যাও, সমুদ্রের ও স্থলের উপরে দণ্ডায়মান ঐ দূতের হস্ত হইতে সেই খোলা পুস্তকখানি লও।”
ঈশ্বর আমাদের বলেন, শেষদিন আসবার পূর্ব পর্যন্ত তাঁর সাধুগণ ও দাসগণকে অবশ্যই অবিরত জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে হবে৷ সুসমাচার পাপের ক্ষমার সত্য, সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পুনরুত্থান, রূপান্তর ও মেষশাবকের বিবাহভোজ৷ এজন্য সাধুগণ ও ঈশ্বরের দাসগণকে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত এই সুসমাচার প্রচার করতে হবে, মহাক্লেশের আগমনের পূর্বেই তাদেরকে বিশ্বাসে প্রথমেই ঈশ্বরের বাক্য ভোজন করতে হবে৷ আমাদের কাছে ঈশ্বর দুই প্রকার বিশ্বাস দাবি করেন৷ প্রথমটি হচ্ছে বিশ্বাসে নুতন জন্ম লাভ করতে হবে৷ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমাদের সত্য বিশ্বাসে নির্ভর করে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ৷
 
পদ ৯: “তখন আমি সেই দূতের নিকটে গিয়া তাঁহাকে কহিলাম, ঐ ক্ষুদ্র পুস্তকখানি আমাকে দিউন। তিনি আমাকে কহিলেন, লও, খাইয়া ফেল; ইহা তোমার উদরকে তিক্ত করিয়া তুলিবে, কিন্তু তোমার মুখে মধুর ন্যায় মিষ্ট লাগিবে।”
সাধুগণ ও ঈশ্বরের দাসগণকে অবশ্যই প্রথমে ঈশ্বরের বাক্য ভোজন করতে হবে এবং পরে তা অন্যদের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে৷ এই পদ আমাদের শেখায় যে, যারা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করে, তাদের হৃদয় মধুর ন্যায় মিষ্ট হয়, হারানো আত্মাদের কাছে এই বিশ্বস্ত বাক্য প্রচার করা এত সহজ বিষয় নয়, তা সম্ভব কেবল উত্সর্গের দ্বারা৷ এখানে তিনি এটাই আমাদেরকে দেখিয়েছেন৷
 
পদ ১০: “তখন আমি দূতের হস্ত হইতে সেই ক্ষুদ্র পুস্তক গ্রহণ করিয়া খাইয়া ফেলিলাম; তাহা মুখে মধুর ন্যায় মিষ্ট লাগিল, কিন্তু খাইয়া ফেলিলে পর আমার উদর তিক্ত বোধ হইল।”
যোহন যখন বিশ্বাসে ঈশ্বরের বাক্য খেয়ে ফেললেন, তার হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে গেল৷ কিন্তু যারা সত্যে বিশ্বাস করে না, তাদের কাছে এই সত্যের বাক্য সাক্ষ্য দিতে গিয়ে যোহনকে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে৷
 
পদ ১১: “পরে তাঁহারা আমাকে কহিলেন, অনেক প্রজাবৃন্দের ও জাতির ও ভাষার ও রাজার বিষয়ে তোমাকে আবার ভাববাণী বলিতে হইবে।”
সাধুগণকে প্রত্যেকের কাছে অবশ্যই এই বাণী প্রচার করতে হবে যে, জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ আসে৷ সাধুগণকে অবশ্যই এই ভবিষ্যত বাণী করতে আদেশ দিয়েছেন. সত্যের বাক্য প্রচার করতে- এই যে ঈশ্বর কর্তৃক নুতন পৃথিবী শীঘ্রই আসছে, এবং যে কেউ এতে প্রবেশ করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা পরীক্ষাসিদ্ধ হতে হবে৷ এই কার্যের নিমিত্ত, ঈশ্বরের সাধুগণ ও দাসগণকে অবশ্যই পুনরায় সর্বত্র থেকে শুরু করে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করতে হবে, যেন এই পৃথিবীর প্রত্যেকের বিশ্বাস থাকে, যা তাদেরকে আমাদের প্রভুর রাজ্যে প্রবেশ করতে ও সেখানে বাস করার অনুমতি দেবে৷