Search

សេចក្តីអធិប្បាយ

বিষয় ১১: আবাস

[14-2] খ্রীষ্টারীর আবির্ভাবে সাধুগণের প্রতিক্রিয়া কি হবে? (প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-২০)

খ্রীষ্টারীর আবির্ভাবে সাধুগণের প্রতিক্রিয়া কি হবে?
< প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-২০>
 
অদূর ভবিষ্যতে যখন খ্রীষ্টারী আবির্ভূত হবে, তখন তাকে জয় করতে সাধুগণ অবশ্যই তাদের বিশ্বাসকে রক্ষা করতে প্রভুতে সাক্ষ্যমর হওয়ার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করবে৷ এইরূপ করতে তাদেরকে অবশ্যই এই পৃথিবীর উপরে আনীত খ্রীষ্টারীর দুস্কর্মের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে হবে৷ একমাত্র তখনই সাধুগণ তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে এবং বিশ্বাসের সাথে তাকে জয় করতে পারে৷ শয়তান লোকদেরকে তার নাম বা সংখ্যার ছাব গ্রহণ করানোর দ্বারা খ্রীষ্টিয়ানদের বিশ্বাস ধ্বংস করতে চেষ্টা করবে৷
সে খ্রীষ্টিয়ানদের বিশ্বাস ধ্বংস করতে চেষ্টা করে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর এবং ধার্মিকদের বিশ্বাস নষ্ট করার দ্বারা সে লোকদেরকে জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্যে দিয়ে তাদের পাপের মোচন হতে প্রতিরোধের চেষ্টা করে৷ খ্রীষ্টারী লোকদেরকে তার সেবকে পরিণত করবে এবং তাদেরকে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে৷ এই সমস্ত কাজের জন্য খ্রীষ্টারী এবং তার যে সমস্ত অনুসারীরা পৃথিবীতে রয়ে যাবে, তারা মহামারী ও মহাদন্ড প্রাপ্ত হবে৷
ঈশ্বর ধার্মিকগণের শত্রুদের উপর যে সপ্তবাটির মহামারী ঢেলে দেবেন, সে সম্পর্কে ধার্মিকগণকে অবশ্যই একটি স্পষ্ট ধারণা থাকার মধ্য দিয়ে তাদের বিশ্বাসের জীবনযাপন করতে হবে৷ দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৩৫ পদে ঈশ্বর যেমন বলেন, “প্রতিশোধ ও প্রতিফল দান আমারই কর্ম”৷ তিনি তাদের উপরে তাঁর সন্তানগণের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবেন৷ এইরূপে আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস রক্ষা করতে হবে এবং বিজয়ের জীবনযাপন করতে হবে, তা না হলে আমরা আমাদের ক্রোধ ও এর ফলহীন কাজের দ্বারা ঢাকা পড়ে যাব৷ সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরে যারা এই পৃথিবীতে রয়ে যাবে, ঈশ্বর তাদের সকলকেই ধ্বংস করবেন, এই ঘটনায় বিশ্বাস করে সাধুগণকে অবশ্যই খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে৷
 
 

সত্যের বাক্য কখনই ভোলার নয়

 
যারা পাপের ক্ষমা লাভ করেছে, তাদেরকে অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে যে, কেবলমাত্র সমস্ত পাপহীন সাধুগণই খ্রীষ্টারী কর্ত্তৃক সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরে দ্রুত পুনরুত্থিত এবং রূপান্তরিত হবে৷ যখন খ্রীষ্টারীর আবির্ভাব এবং সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর দিন আসবে, আমাদেরকে অবশ্যই ভুলে গেলে চলবে না যে, ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাই পূর্ণ হবে৷
১৪ অধ্যায় ১৪ পদ থেকে ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, সাধুগণের নিমিত্ত অবশ্যম্ভাবীভাবে রূপান্তর আসবে এবং এই রূপান্তরের সময়টা ঠিক তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরেই আসবে৷
আমরা অবশ্যই ভুলব না যে, শয়তানের লোকদেরকে তার ছাব গ্রহণ করানোর পরেই আমাদের পুনরুত্থান ও রূপান্তর আসবে৷ যে ধার্মিকেরা খ্রীষ্টারী কর্ত্তৃক সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করবে, তাদের নিমিত্ত তাদের প্রথম পুনরুত্থান ও রূপান্তর প্রতীক্ষা করবে৷ যেহেতু ধার্মিকেরা শয়তানের ছাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে, তাই এই সময়ে তারা তাদের বিশ্বাস রক্ষা করতে পবিত্র সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবে৷ এইভাবেই সাক্ষ্যমর ধার্মিকেরা এই পৃথিবীতে তাদের শ্রম অনুসারে তাদের পুরস্কার পাবে এবং ঈশ্বরের গৌরব তাদের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে৷
যখন আপনি দেখবেন যে, খুব নিকটের আপনার সঙ্গী সাধুগণ ও দাসগণ তাদের বিশ্বাস রক্ষা করতে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করেছে, তখন আপনি শোকার্ত বা ক্রোধান্বিত হবেন না৷ বরং যেহেতু সাক্ষ্যমরেরা প্রভু কর্ত্তৃক পবিত্র দেহে পুনরুত্থিত এবং রূপান্তরিত হবে, তাই সাধুগণকে তাদের বিশ্বাস রক্ষার্থে সাক্ষ্যমরের মৃত্যু অনুমোদন করার জন্য তাদেরকে অবশ্যই ঈশ্বরের ধন্যবাদ ও গৌরব প্রদান করতে হবে৷
 
 

যারা ঈশ্বরের বিপক্ষে দাঁড়ায় তাদের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত সপ্তবাটির মহামারী কি?

 
১৯ পদে বলা হয়েছে, “তাহাতে ঐ দূত পৃথিবীতে আপন কাস্ত্যা লাগাইয়া পৃথিবীর দ্রাক্ষা-গুচ্ছ ছেদন করিলেন, আর ঈশ্বরের রোষের মহাকুণ্ডে নিক্ষেপ করিলেন।” যারা ঈশ্বরের প্রেমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং যেহেতু এই পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় প্রভু কর্ত্তৃক প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচার তাদের হৃদয়ে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, তাই সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরে তারা ঈশ্বর হতে তাঁর ভয়াবহ মারী গ্রহণ করতে নির্ধারিত হবে৷ যীশু খ্রীষ্ট, যিনি তাদের পাপ থেকে রক্ষা করতে জল ও রক্তের মাধ্যমে এসেছিলেন, এবং সেই লোকদেরকে, যারা তাঁর পরিত্রাণে বিশ্বাস না করার দ্বারা ঈশ্বরের শত্রু হয়েছে৷ তারা শুধু ঈশ্বর কর্ত্তৃক প্রবাহিত সপ্তবাটির মহামারী গ্রহণ করবে না, কিন্তু তারা অবশ্যই অনন্ত নরকের ভয়াবহ মারীর শাস্তি গ্রহণ করবে৷
এই সপ্তবাটির মারীই ঈশ্বর তাদের উপর আনয়ন করবেন, যারা প্রভু কর্ত্তৃক রূপান্তরিত হবে না৷ সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরে যারা শয়তানের দাস হয়ে এবং ঈশ্বরের গৌরবের বিরুদ্ধে ঈশ্বর নিন্দক হিসাবে এই পৃথিবীতে রয়ে যাবে, এবং যারা রূপান্তরে অংশগ্রহণ না করবে ঈশ্বর তাদের জন্য যে সপ্তবাটির মারী প্রস্তুত করেছেন তা তিনি নির্দয়ভাবে তাদের উপরে ঢেলে দেবেন৷
তাহলে কেন ঈশ্বর ধার্মিকগণকে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করাবেন? যেহেতু যারা নুতন জন্ম পায় নি, তাদের এই পৃথিবীতে ধার্মিকগণকে থাকতে হবে, তাই তিনি তাদের সময়ে সপ্তবাটির মহামারী ঢালতে পারবেন না৷ আর যেহেতু ঈশ্বর ধার্মিকগণকে প্রেম করেন, তাই তিনি তাদেরকে সাক্ষ্যমর হতে দিতে পারেন৷ একারণেই সপ্তবাটির মহামারী ঢেলে দেওয়ার পূর্বে ঈশ্বর ধার্মিকগণকে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুবরণ করাবেন৷ আর ধার্মিকদের পুনরুত্থান ও রূপান্তরের পরে তিনি মুক্তভাবে পৃথিবীর উপরে সপ্তবাটির মহামারী ঢেলে দেবেন৷ ঈশ্বর এই পৃথিবীর উপরে মানবজাতির যে শেষ মারী আনয়ন করবেন, তা এই সপ্তবাটির মহামারী৷ 
 
 
সহস্রাব্দের রাজ্য এবং সাধুগণের অধিকার
 
প্রভু যখন সাধুগণের সঙ্গে পুনরায় একত্রে এই পৃথিবীতে নেমে আসবেন, তখন সহস্রাব্দের রাজ্য আরম্ভ হবে৷ মথি ৫:৫ পদ আমাদেরকে বলে, “ ধন্য যাহারা মৃদুশীল, কারণ তাহারা দেশের অধিকারী হইবে৷” প্রভু যখন তাঁর সাধুগণের সাথে এই পৃথিবীতে পুনরাগমন করবেন, তখন “ ধার্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে৷” গীতসংহিতা ৩৭: ২৯ পদের বাক্যের সম্পূর্ণ পূর্ণতা সাধিত হবে৷
প্রভু যখন এভাবে তাঁর সমস্ত সাধুগণের সঙ্গে এই পৃথিবীতে নেমে আসবেন, তিনি তখন তাদেরকে এই পৃথিবীকে তাদের নিজেদের মত করে নেওয়ার অধিকার প্রদান করবেন৷ এই সময়ে তিনি তাদেরকে দশ নগরের উপরে এবং আরো অন্য পাঁচ নগরের উপরে কর্তৃত্ব করতে ক্ষমতা প্রদান করবেন৷ প্রভু যখন আবার আসবেন, তিনি তখন এই পৃথিবী এবং এর প্রতিটি জিনিস নুতনীকরণ করবেন এবং তখন থেকেই সাধুগণকে পৃথিবীর উপরে সহস্র বত্সর রাজত্ব করতে দেবেন৷
তাহলে এই যুগে ধার্মিকেরা অবশ্যই কি প্রত্যাশায় জীবনযাপন করবে? যেদিন এই পৃথিবীতে খ্রীষ্টের রাজ্য নির্মান হবে, সেই দিনের প্রত্যাশায় অবশ্যই ধার্মিকদেরকে জীবনযাপন করতে হবে৷ যখন এই পৃথিবীতে প্রভুর রাজ্য আসবে, তখন তাঁর রাজত্বের শেষ পর্যন্ত শান্তি, আনন্দ এবং অনুগ্রহ প্রবাহিত হবে৷ তাঁর রাজত্বের অধীনে বাস করা কালীন আমাদের কোনো কিছুরই অভাব হবে না, কিন্তু শুধু তাঁর প্রাচুর্য্য এবং পূর্ণাঙ্গতার উপচয়ের মধ্যে বাস করব৷
যখন এই পৃথিবীতে প্রভুর বাক্য আসবে, তখন ধার্মিকদের সমস্ত প্রত্যাশা এবং স্বপ্নপূরণ হবে৷ সহস্র বত্সর এই পৃথিবীতে বাস করার পরে ধার্মিকেরা তখন অনন্ত স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করবে, কিন্তু বিপরীতে যারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, তারা গন্ধক ও অগ্নির অনন্ত হ্রদে নিক্ষিপ্ত হবে, অনন্তকাল যাতনা ভোগ করবে এবং দিনে ও রাতে কোনো বিশ্রাম থাকবে না৷
    অতএব, ধার্মিকগণকে অবশ্যই প্রভুর দিনের প্রত্যাশায় অপেক্ষায় থাকতে হবে৷ সমস্ত ধার্মিকগণকে অবশ্যই ভুলে গেলে চলবে না যে, সাক্ষ্যমরত্ব, পুনরুত্থান, রূপান্তর এবং অনন্তজীবন তাদের অধিকার৷ এ যাবৎ আপনি যা শুনে আসছেন এবং দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আসছেন, তাতে প্রত্যাশা রাখুন এবং এই সত্যের বাক্যকে পালন করুন৷
প্রভুর দিন ফিরে আসা পর্যন্ত ধার্মিকেরা জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচারে জীবন ধারণ করবে এবং স্বর্গরাজ্যে তাদের প্রত্যাশা রাখবে৷ ধার্মিকগণের অনন্তকাল ঈশ্বরের রাজ্যে বাস করার এবং এই জগতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করার অধিকার রয়েছে৷ 
 
 
এই অন্ধকার যুগে বাসকারী সাধারণের অবশ্যকীয় করণীয় কি?
 
এটা সম্পূর্ণ স্পষ্ট যে, এই যুগ অন্ধকারের যুগ এবং এতে বাস করা অধিক কঠিন হয়ে পড়েছে৷ এইরূপে আমাদের অবশ্যই পাপীদের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে হবে এবং তাদেরকে শিক্ষা দিতে হবে৷ ধার্মিকগণকে অবশ্যই ঈশ্বরের প্রেম এবং যীশু খ্রীষ্ট প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে আসা তাদের পাপের ক্ষমা সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী প্রচার করতে হবে৷ ধার্মিকেরা বর্তমানে অবশ্যই যেটা করবে এটা তা-ই৷ 
যদি তারা এই বর্তমান সুযোগ হারিয়ে ফেলে, এটা তাদের কাছে আর ফিরে আসবে না৷ কেননা এই পৃথিবীর শেষ বেশী দুরে নয়, আমাদেরকে অবশ্যই ব্যাপকভাবে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে হবে এবং ঈশ্বরের রাজ্যের প্রত্যাশার নিমিত্ত হারানো আত্মাগণকে শিক্ষা দিতে হবে৷ এটাই উত্তম কাজ যা ধার্মিকদের করা উচিত৷
বর্তমানে পৃথিবীতে অনেকে আছে যারা যীশুতে বিশ্বাস করার দাবি করে এবং প্রভুর সেবায় তাদের জীবনযাপন করছে, তথাপি এমনি তারা জল ও আত্মার সুসমাচার জানে না৷ কিন্তু যারা প্রকৃত সত্য ব্যতীত তাদের ধর্মীয় জীবন পরিচালিত করে, তারা সকলে ভাক্ত ভাববাদী৷ এই মিথ্যাবাদীরাই প্রতারণাকারী, যারা কেবল যীশু নামে বিশ্বাসীদের বস্তুগত সম্পত্তি আত্মসাৎ করে৷
অতএব, যারা ভাক্ত ভাববাদী কর্ত্তৃক প্রতারিত হওয়া অবস্থায় বিশ্বাসে জীবনযাপন করার চেষ্টা করে, আমরা তাদেরকে সমবেদনা জানাই৷ তারা জল ও আত্মার সুসমাচার ব্যতীত জীবনযাপন করছে, এই সমস্ত নামধারী খ্রীষ্টিয়ানেরা পাপীই রয়ে যায় এবং ঈশ্বরের ক্রোধের নীচে বাস করতে থাকে, এমনকি তারা যীশুতে বিশ্বাস করারও দাবী করে৷ এই ঘটনা না জেনে তারা সর্বদা পাপে জীবনযাপন করছে যে, যদি তারা কেবল জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তাহলে তাদের হৃদয়ের সমস্ত পাপ স্বাভাবিকভাবে মুছে যাবে এবং তাদেরকে তুষারের ন্যায় শুভ্র করবে, এবং অনুগ্রহদান হিসাবে তাদেরকে পবিত্র আত্মা প্রদান করা হবে৷
কিন্তু বিপরীতে, ঈশ্বরের যে দাসগণ জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করে এবং বিশ্বাস করে, তারা শান্তিতে জীবনযাপন করে৷ ঈশ্বরের দাসগণ এবং তাঁর লোকেরা জল ও আত্মার সুসমাচারে আনন্দ করে৷ তারা সাক্ষ্য দেয়, “যোহন হতে তুলে নেওয়ার দ্বারা এবং এই পাপের জন্য ক্রুশে বিচারিত হওয়ার দ্বারা প্রভু যীশু পৃথিবীর সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন৷ যখন আমি এই প্রায়শ্চিত্তের পরিত্রাণে বিশ্বাস করেছিলাম, আমার সমস্ত পাপ যার ওজনে সে আমাকে নুইয়ে রেখেছিল, তাও মুছে গিয়েছে৷ আমি এখন ধার্মিক হয়েছি৷” 
এই ধরণের সাক্ষ্যের দ্বারা ঈশ্বরের মন্ডলীর সাধুগণ ঈশ্বরকে গৌরব প্রদান করছে৷ যাদের এই বিশ্বাস রয়েছে, তারা সহজেই স্বর্গের নিমিত্ত তাদের চূড়ান্ত প্রত্যাশা রাখতে পারে৷
 
 
প্রথম পুনরুত্থান সাধুগণের নিমিত্ত সংরক্ষিত ঘটনা
 
অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রভু যীশু এই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন৷ ভবিষ্যত বেশী দুরে নয়, কোনো একজন খ্রীষ্টারী আবির্ভূত হবে এবং অনেক লোককে ডান হাতে বা কপালে তার চিহ্নের ছাব দেবে৷ যখন এই সময় আসবে, আপনার উপলব্ধি করা উচিত যে, প্রভুর দ্বিতীয় আগমন, সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পুনরুত্থান এবং রূপান্তর সকলই আপনার নিকটবর্তী৷ যখন এইরূপ দিন ও ঘন্ট উপস্থিত হবে, আপনাকে বুঝতে হবে যে, এটা সাধুগণের পক্ষে একটা আনন্দের দিন, কিন্তু যে পাপীরা নুতন জন্ম পায় নি, তাদের জন্য এটা তাদের পাপের বিচারের দিন৷
সমস্ত সাধুগণ তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরে পুনরুত্থিত হবে এবং তারপরে তারা প্রভুর সঙ্গে মেষশাবকের বিবাহ ভোজে যোগ দেবে৷ এই সময় আপনি ও আমি সাক্ষ্যমর হব, শীঘ্রই আমাদের দেহগুলো পুনরুত্থিত এবং রুপান্তরিত হবে৷ যে সমস্ত সাধুগণ আমাদের পূর্বে চলে গিয়েছেন, তাদের দেহের প্রতি কি ঘটতে পারে সেটা কোনো বিষয় নয়, তাদের দেহ ইতিমধ্যে ধুলোয় পরিণত হয়েছে কিনা, বা তাদের ভেতরে আর কোনো আকৃতি রয়েছে কিনা, এ সমস্ত কঠিন প্রশ্ন কোনো সমস্যা নয়৷ যখন এই সময় আসবে, তখন সাধুগণ বর্তমান দুর্বল দেহে পুনরুত্থিত হবে না, কিন্তু উপযুক্ত শরীরেই হবে৷ এই সময়ে ধার্মিকেরা পবিত্র দেহে পুনরুত্থিত হবে এবং অনন্তকাল প্রভুর সাথে বাস করবে৷ 
এমনকি যখন আমাদের জন্য কঠিন সময় প্রতীক্ষা করবে, যখন খ্রীষ্টারী উত্থিত হবে ও আমাদেরকে নির্যাতিত করবে, তখন আমরা অবশ্যই বর্তমানে ঈশ্বরের যে বাক্য শুনেছি , তাতে বিশ্বাসের দ্বারা যীশুতে আমাদের বিশ্বাস রক্ষা করব৷ আমরা এটাও ভুলে যাব না যে, যেহেতু আপনি এবং আমি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, সেহেতু আমরা সকলে সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, প্রথম পুনরুত্থান এবং তাদের রূপান্তরে অংশগ্রহণ করব৷ 
বর্তমানে আপনি অবশ্যই সত্য বিশ্বাসে আপনার বিশ্বাস থেকে পতিত হবেন না এবং খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং জয়লাভের জীবনযাপন করবেন৷ এই দিন আসা পর্যন্ত, যারা সত্য বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের পূর্বে রক্ষা পেয়েছে, আমাদেরকে অবশ্যই তাদের সাথে একত্রিত হতে হবে এবং বিশ্বাসে প্রভুকে অনুসরণ করতে হবে৷
 
 
এমনকি বর্তমানে অনেক মিথ্যাবাদী রয়েছে, যারা লোকেদেরকে প্রতারিত করছে
 
এমনকি বর্তমানে অগনিত লোক শয়তানের সেবকের ন্যায় ভ্রান্ত বিশ্বাস শিক্ষা দিচ্ছে৷ বিশেষতঃ অনেক মিথ্যাবাদী রয়েছে যারা তাদের সভাতে প্রাক-ক্লেশের রুপান্তর শিক্ষা দেয় এবং তা সমর্থন করে, তাদেরকে যুক্তি দেখিয়ে এই প্রত্যয় উত্পন্ন করার চেষ্টা করে যে, সাত বছরের মহাক্লেশের সময়ে তাদের কিছুই করার থাকবে না৷
বিপরীতে বাইবেল আমাদেরকে স্পষ্ট সাক্ষ্য দেয় যে, প্রথম সাড়ে তিন বছরের ক্লেশ পার হয়ে যাওয়ার পরে সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু এবং রূপান্তর আসবে৷ আসুন আমরা এইরূপ মিথ্যাবাদীদের দ্বারা প্রতারিত না হই বরং আসুন জানি এবং বিশ্বাস করি যে, মহাক্লেশের সাত বছরের প্রথম সাড়ে তিন বছর যখন আমাদের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হবে, তখন আমরা সকলে সাক্ষ্যমর হব এবং তারপরেই একই সময়ের মধ্যে পুনরুত্থিত এবং রুপান্তরিত হব৷
যারা শিক্ষা দেয় যে, সাত বছরের মহাক্লেশের সময়ে তাদের কিছুই করার থাকবে না, এই সমস্ত ভাক্ত ভাববাদী হতে আপনাকে অবশ্যই দুরে থাকতে হবে৷ প্রকৃত সাধুগণ বিশ্বাস করেন যে, প্রথম সাড়ে তিন বছর পার হওয়ার পরেই তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পুনরুত্থান এবং রূপান্তর এবং মেষশাবকের বিবাহ ভোজ উপস্থিত হবে৷
 
 
তাহলে আমাদের এখন কেমন জীবনযাপন করা উচিত?
 
এখন থেকেই আপনার উপলব্ধি করা উচিত যে, যদি কেউ প্রভুকে ত্রাণকর্তারূপে বিশ্বাস করে – অর্থাৎ, প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, যোহন কর্ত্তৃক বাপ্তাইজিত হওয়ার দ্বারা জগতের সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন, ক্রুশে রক্ত সেচন করেছিলেন এবং পুনরায় মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন – তাহলে পবিত্র আত্মা দানরূপে এই বিশ্বাসীর হৃদয়ে আসবেন৷
পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের মন্ডলীর মধ্য দিয়ে আপনাকে যা বলেন, তা অবশ্যই আপনাকে কান দিয়ে শুনতে হবে এবং ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাসে আপনার জীবনযাপন করতে হবে৷ সমস্ত সাধুগণ ঈশ্বরের মন্ডলীতে যাতায়াতের মাধ্যমে অবশ্যই বিশ্বাসে জীবনযাপন করবে৷ নিজের থেকে কেউ জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে পারে না, কিম্বা না পালন করতে না পরিচর্যা করতে পারে৷ একারণে যারা ইতিমধ্যে নুতন জন্ম পেয়েছে সেই সমস্ত সাধুগণের নিমিত্ত ঈশ্বরের মন্ডলী এত গুরুত্বপূর্ণ৷
ঈশ্বর এভাবে পৃথিবীতে তাঁর মন্ডলী এবং দাসগণকে স্থাপন করেছেন এবং তাদের মধ্যে দিয়ে তাঁর মেষদেরকে খাওয়াচ্ছেন৷ বিশেষতঃ শেষ সময় যেমনিভাবে আমাদের নিকটবর্তী হচ্ছে, তাতে ঈশ্বরের কাজ আরো বেশী মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ হবে, আর এইরূপে আমার প্রার্থনা ও প্রত্যাশা যে, আপনি পবিত্র আত্মায় পূর্ণতার দ্বারা একটি বিশ্বস্ত জীবনযাপন করুন৷শেষ সময় যেমনিভাবে নিকটবর্তী হচ্ছে, তাতে ধার্মিকদের অবশ্যই প্রার্থনাতে শান্তিতে, সংযত এবং সাহায্যতে একে অপরের সাথে একত্রিত হতে কঠোর প্রচেষ্টা করতে হবে, এবং প্রভুর নিমিত্ত বাঁচতে একটি একক হৃদয়ের উদ্দেশ্যে একীভূত হতে হবে৷ ঈশ্বর সাধুগণের নিমিত্ত সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পুনরুত্থান, রুপান্তর এবং অনন্তজীবন অনুমোদন করেছেন৷আসুন এই প্রকার বিশ্বাসে জীবনযাপন করি যা খ্রীষ্টারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং তাকে জয় করে, এবং তারপরে দৃঢ়তার সাথে ঈশ্বরের সাক্ষাতে দাঁড়াই৷ হাল্লিলুয়া!