Search

សេចក្តីអធិប្បាយ

বিষয় ১১: আবাস

[17-2] তাঁর সংকল্পের প্রতি একগ্র হই (প্রকাশিত বাক্য ১৭:১-১৮)

তাঁর সংকল্পের প্রতি একগ্র হই
< প্রকাশিত বাক্য ১৭:১-১৮ >
 
প্রকাশিত বাক্য ১৭:১-৫ পদ বলে, “পরে ঐ সপ্ত বাটি যাঁহাদের হস্তে ছিল, সেই সপ্ত দূতের মধ্যে এক জন আসিয়া আমার সঙ্গে আলাপ করিয়া কহিলেন, আইস, “বহু জলের উপরে বসিয়া আছে” যে ঐ মহাবেশ্যা, আমি তোমাকে তাহার বিচারসিদ্ধ দণ্ড দেখাই, “যাহার সহিত পৃথিবীর রাজগণ ব্যভিচার করিয়াছে, এবং পৃথিবী-নিবাসীরা যাহার বেশ্যাক্রিয়ার মদিরাতে মত্ত হইয়াছে”। পরে তিনি আত্মাতে আমাকে প্রান্তর মধ্যে লইয়া গেলেন; তাহাতে আমি এক নারীকে দেখিলাম, সে সিন্দূরবর্ণ পশুর উপরে বসিয়া আছে; সেই পশু ধর্ম্মনিন্দার নামে পরিপূর্ণ, এবং তাহার সপ্ত মস্তক ও দশ শৃঙ্গ। আর সেই নারী বেগুনিয়া ও সিন্দূরবর্ণ বস্ত্র পরিহিতা, এবং সুবর্ণে ও মূল্যবান্‌ মণিতে ও মুক্তায় মণ্ডিতা, এবং তাহার হস্তে সুবর্ণময় এক পানপাত্র আছে, ইহা ঘৃণার্হ দ্রব্যে ও তাহার বেশ্যাক্রিয়ার মালিন্যে পরিপূর্ণ। আর তাহার ললাটে এই নাম লিখিত আছে, এক নিগূঢ়তত্ত্ব; “ মহতী বাবিল, পৃথিবীর বেশ্যাগণের ও ঘৃণাস্পদ সকলের জননী৷”
উপরোক্ত অনুচ্ছেদে বেশ্যা বলতে এই পৃথিবীর ধার্মিকগণকে বোঝানো হয়েছে, এবং এটা আমাদেরকে বলে যে, তারা প্রভুর দেওয়া প্রাচুর্য্য ও পৃথিবীর বস্তু দ্বারা ইচ্ছাপূরণ করতে বিলাসিতার সীমা ছাড়িয়ে যাবে৷ তারা নিজেদেরকে সোনার হার, হীরার কানের দুল, এবং সমস্ত প্রকার সুগন্ধি তৈল ও সর্বপ্রকার বিলাসিতার দ্বারা নিজেদেরকে সজ্জিত করবে৷ অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে বলে যে, তাহার হস্তে সুবর্ণময় এক পানপাত্র ছিল এবং এটা ঘৃণার্হ দ্রব্য এবং তাহার বেশ্যাবৃত্তির মালিন্যে পরিপূর্ণ ছিল৷ এটাই ঈশ্বর যোহনকে দেখিয়েছিলেন৷
এই অনুচ্ছেদ আমাদেরকে যা বলছে তা হল, শয়তান পৃথিবীর বিষয়বস্তুতে মত্ত করানোর দ্বারা লোকবৃন্দকে আত্মসমর্পণ করতে তাদের আত্মায় প্ররোচনা দিয়েছে৷ পৃথিবীর সমস্ত রাজগণও শয়তানের দ্বারা পার্থিব বস্তুপুর্ণ মদিরা পান করেছে৷ এইরূপে এই পৃথিবীর প্রত্যেকে পৃথিবীর বেশ্যাক্রিয়ায় পরিপূর্ণ মদিরা পান করেছে৷
লোকেরা যখন পৃথিবীর কালের স্রোতে এবং সুখভোগ এবং এর বস্তুগত লোভে মত্ত তখন শয়তান তার লক্ষ্য অর্জন করতে থাকে৷ সত্য কথা হচ্ছে, তার লক্ষ্য হল ঈশ্বরকে অনুসন্ধান করা হতে লোকদেরকে বিরত রাখা৷ এইরূপ করতে শয়তান তাদের আত্মাগণকে পার্থিব বিষয়বস্তুতে মত্ত করবে৷ আমাদেরকে অবশ্যই এই সত্য বুঝতে হবে৷
এই পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে, এই বিষয়বস্তুগত জিনিসের ফাঁদে পড়বে না৷ প্রত্যেকেই এই জড়বাদে পতিত হয়৷ এই পৃথিবীর ফ্যাশনের দিকে ঝুঁকে পড়ার ফলে সকলে শয়তান কর্ত্তৃক স্বীয় উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহৃত ও পরিচালিত হবে৷ প্রত্যেকে ভাবে যে তার (নারী/পুরুষ) রীতিনীতিই অদ্বিতীয়৷ কেননা এর পেছনে একদল দক্ষ পরিচালক রয়েছে, আর এই পরিচালক শয়তান ভিন্ন অন্য কেউ নয়, একারণে আমরা অবশ্যই এই জড়বাদের নিমজ্জিত হব না কিন্তু পরিবর্তে ঈশ্বরের বাক্য পালনে এবং তাঁর কার্য সাধনে জীবনযাপন করব৷
প্রেরিত যোহনের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর প্রকাশিত বাক্যে আমাদের কাছে যা প্রকাশ করেছেন তা সত্য৷ তাহলে এই বাক্য দ্বারা ঈশ্বর আমাদেরকে কি বলার চেষ্টা করেছেন? আমাদের প্রভু আমাদেরকে বলেছেন যে, আমাদের এই পৃথিবীর সাথে সংযুক্ত হওয়া উচিত নয়, বরং এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত৷ অন্যকথায়, তিনি আমাদেরকে সাধুগণের হৃদয় দিয়ে ঈশ্বরের কথা ভাবতে ও বিশ্বাস করতে বলেছেন৷ 
১ যোহন ২:১৫ পদ বলে, “তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।” যখন আমাদের হৃদয় পার্থিব বিষয়বস্তু ভালবাসে, তখন ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ে বাস করতে পারেন না৷ কিন্তু যখন আমাদের হৃদয় এই সমস্ত জিনিস ঝেড়ে ফেলে দেয় তখন ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ে বাস করেন৷ আমরা অবশ্যই পার্থিব বিষয়বস্তুর প্রতি ঝুঁকে পড়ে আমাদের জীবনযাপন করব না৷ যখন আমাদের হৃদয়ে প্রভুর বাক্যে এবং তাঁর ইচ্ছায় গভীর মনোনিবেশ করি, কেবল তখনই আমরা তাঁর পরিচালনায় চালিত হতে পারি৷
আমরা যেকোনো সময়ে আমাদের মন পরিবর্তন করতে পারি৷ যখন পৃথিবীর বিষয়বস্তু আমাদের হৃদয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে, আমরা সর্বদা সেগুলো তখনই ত্যাগ করার চেষ্টা করব৷ তাহলে আমরা পৃথিবীর সমস্ত ময়লা জিনিস আমাদের হৃদয় থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারি এবং আমাদের হৃদয় শীঘ্রই প্রভুর হৃদয়ের সাথে মিশে যাবে৷ আমাদের প্রভু আমাদের থেকে কি প্রত্যাশা করেন? আর তিনি আমাদের কি করতে বলেন? এইরূপ ঈশ্বরীয় চিন্তাভাবনা আমাদের হৃদয়ে আবির্ভূত হওয়া নিশ্চিত হতে আমাদেরকে অবশ্যই পার্থিব বিষয়বস্তু আমাদের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে হবে৷
ঈশ্বর আমাদের প্রচুর আশীর্বাদ করেছেন, আর বর্তমানে আমরা বুঝি যে, আমাদের জীবনের বাকি দিনগুলোতে আমাদের অবশ্যই সমগ্র পৃথিবীতে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করা উচিত৷ অতএব, আমরা আমাদের অনুসন্ধানকারীদেরকে হতাশ করব না, এবং তাঁর ইচ্ছায় আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব৷ আধ্যাত্মিক কাজের বিষয়ে চিন্তাভাবনার দ্বারা আমরা আমাদের হৃদয়ের পার্থিব বিষয়বস্তু ঝেড়ে ফেলতে পারি৷
আমরা সাধুরা অবশ্যই পার্থিব বিষয়বস্তু পরিত্যাগ করব৷ যতক্ষণ না প্রভু পুনরাগমন করছেন, ততক্ষণ আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাসের সাথে খ্রীষ্টীয় জীবনযাপন করতে হবে৷ আমাদের জীবনকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রভু আমাদের প্রতি বিশ্বাস ভরে যে কাজের ভার অর্পণ করেছেন, তাঁর সাক্ষাতে দাঁড়ানো পর্যন্ত আমাদেরকে অবশ্যই সেই কাজ করে যেতে হবে৷ আর আমাদেরকে অবশ্যই প্রভুকে প্রেম করতে হবে ও বিশ্বাসে জীবনযাপন করতে হবে এবং তিনি আমাদেরকে যে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তাই করতে হবে৷