Search

တရားဟောချက်များ

বিষয় ১১: আবাস

[12-2] সাহসী বিশ্বাসে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করুন (প্রকাশিত বাক্য ১২:১-১৭)

সাহসী বিশ্বাসে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করুন

< প্রকাশিত বাক্য ১২:১-১৭ >

১২ অধ্যায়ে আমরা দেখতে পাই যে, কিভাবে শেষ কালে ঈশ্বরের মন্ডলী ক্লেশের সম্মুখীন হবে৷ ১ পদ বলে, “আর স্বর্গমধ্যে এক মহৎ চিহ্ন দেখা গেল। একটী স্ত্রীলোক ছিল, সূর্য্য তাহার পরিচ্ছদ, ও চন্দ্র তাহার পদের নীচে, এবং তাহার মস্তকের উপরে দ্বাদশ তারার এক মুকুট।” “একটী স্ত্রীলোক ছিল, সূর্য্য তাহার পরিচ্ছদ” এখানে পৃথিবীতে ঈশ্বরের মন্ডলীকে নির্দেশ করেছে, এবং “চন্দ্র তাহার পদের নীচে” বাক্যটির অর্থ হল ঈশ্বরের মন্ডলী এখনও পৃথিবীর শাসনের অধীনে রয়েছে৷ এটা আমাদেরকে বলে যে, এই পৃথিবীতে ঈশ্বরের মন্ডলী এবং তাতে যে সমস্ত সাধুগণ আছে তারা সাক্ষ্যমরের মৃত্যু দ্বারা ঈশ্বরকে গৌরাবন্বিত করবে৷
“তাহার মস্তকের উপরে দ্বাদশ তারার এক মুকুট ” বাক্যাংশটি আমাদেরকে দেখায় যে, শেষ কালে ঈশ্বরের মন্ডলী শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং বিশ্বাসের দ্বারা সাক্ষ্যমর হবে৷ ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে যেভাবে বলে বাস্তবিকই ঈশ্বরের মন্ডলী বিজয়োল্লাস করবে৷ যদিও শয়তান আমাদের বিশ্বাস ধ্বংস করতে আমাদেরকে সমস্ত পন্থায় আমাদেরকে আঘাত করবে এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের জীবন নিতে চাইবে, তথাপি তখনও আমরা আমাদের বিশ্বাস রক্ষা করব এবং ধার্মিকতার সাথে সাক্ষ্যমর হব৷ এটাই বিশ্বাসের বিজয়৷ 
আদি মন্ডলীর সময় অনেক সাধুগণ যারা আমাদের পূর্বে ছিলেন, তারাও সাক্ষ্যমর হবে৷ কিন্তু এই সাক্ষ্যমরের মৃত্যু আমাদের নিজেদের শক্তির দ্বারা আসে না, কিন্তু যে পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে বাস করেন, তাঁর দ্বারাই আসে৷
“একটি স্ত্রীলোক ছিল, সূর্য তাহার পরিচ্ছদ” বাক্যাংশটিতে “স্ত্রীলোকটি” দ্বারা এখানে ঈশ্বরের মন্ডলীকে বোঝানো হয়েছে, আর “সূর্য তাহার পরিচ্ছদ” বাক্যাংশটির অর্থ হল, মন্ডলী ভীষণভাবে নির্যাতিত হবে৷ এমনকি শেষ সময়ের মারী এবং ভয়ানক ক্লেশের মধ্যান্তরে সাধুগণ বিশ্বাসে অটল থাকবে এবং কখনই শয়তানের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না৷ কেন? কারণ তাদের অন্তরের পবিত্র আত্মা তাদেরকে যুদ্ধ করতে শয়তানের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে এবং তাদেরকে বিশ্বাস প্রদান করবে যাতে তারা কখনই কোনো ভীতি বা যন্ত্রণা, এমনকি তাদের জীবনের কাছেও আত্মসমর্পণ না করে৷ 
এছাড়া যারা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করে স্বর্গরাজ্যে তাদের বিশ্বাস স্থাপন করেছে, যে বিশ্বাস তাদেরকে বলে যে, সপ্ততুরীর মারী খুব শীঘ্রই শেষ হবে এবং সপ্তবাটির মহামারী প্রবাহের মাধ্যমে পৃথিবীর সব কিছু মুছে যাবে, তথাপি তারা কখনই শয়তানের শর্তের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না৷
যারা জানে এবং বিশ্বাস করে যে, যদি তারা শয়তানের কাছে আত্মসমর্পণ করে, তাহলে তাদের জন্য সুন্দর পৃথিবী প্রতীক্ষা করবে না, তাই তারা কখনই শয়তানের কাছে নত হবে না৷ শয়তানের যে মারী খ্রীষ্টারী এবং তার অনুসারীদের উপর প্রবাহিত হবে তা তাদেরকে বিরামহীন এবং নির্মমভাবে গ্রাস করবে৷ যে সমস্ত সাধুগণ এই মারীর বিষয়ে অবগত রয়েছে, পবিত্র আত্মা তাদের অন্তরে কাজ করার কারণে তাদের মধ্যে ১০০ ভাগই কখনই ভীতির কারণে তাদের বিশ্বাস ছুড়ে ফেলে দেবে না৷ যে পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে বাস করেন তিনিই আমাদেরকে শয়তানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে, তাকে জয় করতে এবং সাক্ষ্যমর হতে শক্তি দেবেন৷
যখন চতুর্থ তুরীর মারী পার হয়ে যাবে এবং পঞ্চম ও ষষ্ঠ তুরীর মারী আসবে, তখন “সাক্ষ্যমরের মৃত্যু” আমাদের নিকটে আসবে৷ একমাত্র যারা জল ও আত্মা দ্বারা নুতন জন্ম প্রাপ্ত হয়েছে, তারাই তাদের বিশ্বাস রক্ষা করবে এবং সাক্ষ্যমর হবে৷ যখন সপ্ততুরীর মহামারী নেমে আসবে, তখন ঈশ্বর কর্তৃক খ্রীষ্টারীকে পৃথিবীর উপরে ক্ষণকালের জন্য ক্ষমতা প্রদান করা হবে৷ 
খ্রীষ্টারীর ক্ষমতা সল্প সময়ের জন্য এটা জেনে সে এবং তার অনুসারীরা তাদেরকে নির্যাতন করবে, যারা যীশু খ্রীষ্টকে তাদের প্রভু হিসাবে সেবা করে, যাতে সে যত লোককে সম্ভব তার সাথে নরকে নিয়ে যেতে পারে৷ কিন্তু যারা যীশুতে তাঁর বাপ্তিস্মের মধ্যে দিয়ে সমস্ত পাপ পার করেছে, তারা খ্রীষ্টারীর নির্যাতনের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না, বরং তারা যীশু প্রদত্ত সুসমাচারে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রক্ষা করবে এবং সাক্ষ্যমর হবে৷
এরূপে সাক্ষ্যমরত্ব হল বিশ্বাসের চিহ্ন৷ যাদের এই চিহ্ন থাকবে, তাদের জন্য প্রভুর প্রস্তুতকৃত সহস্রাব্দের রাজ্য এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী রয়েছে৷ এটা সমস্ত পৃথিবীতে ইতস্তত ছড়ানো যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদের প্রত্যেকের জন্য প্রযোজ্য৷ বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, প্রায় সব নুতন জন্ম প্রাপ্ত সাধুগণ এই শেষ কালের সময় সাক্ষ্যমর হবে৷
কিন্তু যারা সাক্ষ্যমরত্ব এড়িয়ে যাওয়ার নিমিত্ত জল ও আত্মার সুসমাচারে তাদের বিশ্বাস পরিত্যাগ করবে, খ্রীষ্টারীর পক্ষে দাঁড়াবে এবং তাকে প্রভু হিসাবে সেবা ও আরাধনা করবে, তারা সপ্তবাটির মহামারী এবং স্বয়ং খ্রীষ্টারীর হাতে মারা পড়বে৷ তাদের মৃত্যু কখনই সাক্ষ্যমরের মৃত্যু হিসাবে গণিত হবে না বরং তা প্রকৃতপক্ষে মূল্যহীন হতাশাব্যঞ্জক মৃত্যু হবে৷ শয়তান এবং খ্রীষ্টারী যখন নরকে নিক্ষিপ্ত হবে, এই লোকগুলি তখন একসঙ্গে সেখানে পতিত হবে৷
সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে এড়াতে যীশুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা এবং মহাক্লেশের যন্ত্রণা অল্প পরিমান লাঘব করতে চেষ্টা করা বোকামির কাজ৷ যখন সপ্ততুরীর মহামারী শেষ হবে এবং যারা তাদের বিশ্বাস রক্ষা করবে তারা সাক্ষ্যমর হবে, তখন সপ্তবাটির মহামারী শীঘ্রই সমগ্র পৃথিবীকে ধ্বংস করবে, এবং বেঁচে যাওয়া কিছু লোক এই পৃথিবীতে থেকে যাবে৷ যেটা স্পষ্ট তা হল, যারা পাপের মুক্তি লাভ করেছে তারা অবশ্যম্ভাবীভাবে সাক্ষ্যমর হবে, আর আমরা যেন সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর মুহুর্তে আমাদের প্রভুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করি, শেষ সময় পর্যন্ত সঠিক জ্ঞান রেখে আমরা অবশ্যই এখন আমাদের বিশ্বাসকে প্রস্তুত করব এবং বাক্যের উপর সঠিক ধারণা রাখব৷
আমরা আমাদের পাপের মোচন লাভ করেছি, আর যখন আমরা সাক্ষ্যমর হব ঈশ্বর আমাদেরকে যেভাবে শক্তিমান করবেন তাতে এখন আমাদের আনন্দ হবে যা ইতিপূর্বে আমাদের ছিলনা৷ আসুন, আমাদের হৃদয়ে এই বিশ্বাস স্পষ্টভাবে স্থাপন করি, যেন আপনার এবং আমার অদৃষ্টে সাক্ষ্যমরের মৃত্যু প্রভুর পক্ষে হয়৷ যখন সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর সময় পার হয়ে যাবে, ঈশ্বর অবশ্যম্ভাবীভাবে আমাদেরকে পুনরুত্থান এবং রূপান্তর প্রদান করবেন, সহস্রাব্দের রাজ্যে গৌরাবন্বিত করতে অনুমোদন করবেন, আমাদেরকে তিনি তাঁর নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী প্রদান করবেন এবং আমাদেরকে রাজত্ব করাবেন এবং যদি আমরা দৃঢ়ভাবে এগুলো বিশ্বাস করি, আমাদের কষ্টগুলি আনন্দে পরিণত হবে এবং অনন্ত ঐশ্বর্য্যে জীবনযাপন করতে আমাদেরকে অনুমোদন করবেন৷
প্রেরিত পৌল বলেছেন, “কারণ আমার মীমাংসা এই, আমাদের প্রতি যে প্রতাপ প্রকাশিত হইবে, তাহার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।” (রোমীয় ৮:১৮)৷ সুসমাচার প্রচারের কালে পৌল মহাদুঃখভোগ করেছিলেন, বিভিন্ন সময়ে প্রহারিত হয়ে মৃতপ্রায় হয়েছিলেন৷ কিন্তু এই দুঃখভোগ যে ঈশ্বরের গৌরবের নিমিত্ত, এটা বিশ্বাস করার দ্বারা পৌলের যাতনাগুলি ভীষণ আনন্দে পরিণত হয়েছিল৷ আর ইতিহাসের তথ্য এবং প্রাচীন লোকগাঁথা অনুসারে পৌল সহ সমস্ত প্রেরিত সাক্ষ্যমর হয়েছিলেন৷ পিতরকে ভ্যাটিকান সিটিতে উল্টোভাবে ক্রুশারোপিত করা হয়েছিল৷ আর এমনকি পলিকার্প সহ আদি মন্ডলীর নেতারা এবং আরো অনেক সাধুগণকে খুঁটিতে বেঁধে পুড়িয়ে মারার সময়ওতারা ঈশ্বরের প্রশংসা গান করেছেন৷ ঈশ্বর যদি তাঁর সাধুগণকে বলবান না করতেন, তাহলে এরূপ সম্পাদন করা সম্ভব হত না৷
এমনকি এই সময়েও এরূপ বিশ্বাসী সাধুগণ রয়েছেন যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে৷ অরিজেন একজন ধর্মতত্ত্ববিদ ছিলেন যিনি আজকের খ্রীষ্টিয়ানদের কাছে একজন উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন, তিনি এমন একজন লোক ছিলেন যিনি সরাসরি প্রেরিতদের নিকট থেকে সুসমাচার শুনেছিলেন৷ তার সাক্ষ্যমরত্বের সময় আসলেও তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন, যদিও তার সহবিশ্বাসীরা সাক্ষ্যমর হয়েছিলেন৷ যীশু তার জন্য যা কিছু করেছেন এটা যদি সে অস্বীকার না করত, তাহলে এটা সম্ভব হত না৷ কিন্তু তার বিশ্বাসঘাতকতা স্বত্তেও আজকের ধর্মতত্ত্ববিদেরা তাকে সমস্ত খ্যাতিমান ধর্মতত্ত্ববিদদের মধ্যে উচ্চস্থান দিয়েছেন৷
অন্যান্য সাধুগণ যখন সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছিল তখন অরিজেন কেন তা এড়িয়ে গেলেন? এর কারণ এই নয় যে, অরিজেনের ইচ্ছাশক্তি দুর্বল ও বাকিদের ইচ্ছাশক্তি প্রবল ছিল৷ সাধুগণ যে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর সময় ঈশ্বরের প্রশংসা করেছিল, তার কারণ ছিল পৌল তাদেরকে যা বলেছিলেন তারা তা বিশ্বাস করেছিল৷ - তা হল, “আমাদের প্রতি যে প্রতাপ প্রকাশিত হইবে, তাহার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।” অন্যকথায়, তারা তাদের বর্তমান দুঃখভোগ সহ্য করতে পেরেছিল, কারণ তারা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত বাক্যে বিশ্বাস করেছিল, তা হল, তিনি তাদেরকে পুনরুত্থিত এবং রূপান্তরিত করবেন এবং তিনি তাদেরকে সহস্রাব্দের রাজ্য প্রদান করবেন৷
আমাদেরকে অবশ্যই স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে যে, আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু আসবে৷ যারা এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রেখে বিশ্বাসে জীবনযাপন করে, তারা অন্যদের থেকে ভিন্ন৷ যারা বিশ্বাস করে যে, আদি মন্ডলীর সময়ের সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর চিত্র তাদের নিজস্ব চিত্র, তাদের বিশ্বাসের জীবন থাকতে পারে যা শক্তিশালী, মহৎ এবং দৃঢ়, বাইবেলের সমস্ত বাক্য তাহলে তাদের নিজেদের কাহিনী হয়ে যাবে৷ তারা সর্বদা বিশ্বাসে জীবনযাপন করে যাতে তারা সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে – অর্থাৎ, তারা সর্বদা এটা বিশ্বাসে  জীবনযাপন করে যে, তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পর ঈশ্বর তাদেরকে পুনরুত্থান ও রূপান্তর প্রদান করবেন এবং তাদের জন্য পূর্ব নিরূপিত ও প্রস্তুতকৃত নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী প্রদান করবেন৷  
যারা এটা বিশ্বাস করে তারা বিশ্বাসে দৃঢ় জীবনযাপন করতে পারে, যেহেতু তারা জানে যে, বিশ্বাস শেষ সময়ের জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করেছে যখন তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে মরতে পারবে৷ আর এটা একটা মতবাদের সাধারণ বিষয় নয় বরং প্রকৃত বিশ্বাস, যারা এই বাক্য এবং সুসমাচার পূর্ণরূপে বিশ্বাস না করবে, তারাই প্রথমে খ্রীষ্টারীর কাছে আমাদেরকে বিক্রি করে দেবে৷ এ কারণেই যখন আপনি ও আমি উপলব্ধি করব যে, আমরা সাক্ষ্যমর হব, ঈশ্বরের মন্ডলীর যে সমস্ত ভাইবোনদের আমাদের মত একই বিশ্বাস রয়েছে, আমাদের জন্য অনন্তকালের নিমিত্ত তাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে যাওয়া বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে৷ ঈশ্বরের দাস, তাঁর লোক এবং মন্ডলী – এগুলো সবই আমাদের নিকটে মূল্যবান৷
আদি মন্ডলীর সময়ে সাধুগণের বিশ্বাস এখন আমরা যারা শেষ সময়ে বেঁচে আছি আমাদের চেয়ে বেশি আন্তরিক এবং স্পষ্ট ছিল৷ তারা সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পরবর্তীতে পুনরুত্থান ও রূপান্তর এবং সহস্রাব্দের রাজ্য এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীতে বিশ্বাস করত৷ এ কারণেই বিশ্বাসে তারা জীবনযাপন করে যেন প্রভুর আগমন আসন্ন হলে যাতে তারা মহাক্লেশের সময় প্রকৃতভাবে বাঁচতে পারে৷ সুতরাং আমরা যারা আসন্ন মহাক্লেশের যুগে বাস করছি, যখন আমরা তাদের সম্পর্কে পড়ি, তাদের কাহিনীগুলো আমাদের কাছে বাস্তব এবং প্রানবন্ত লাগে, যেহেতু তারা ঈশ্বরের বাক্যে, মহাক্লেশে, তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পুনরুত্থান ও রূপান্তর জানতেন এবং বিশ্বাস করতেন৷
কেননা আমরা প্রকৃতপক্ষে শেষ সময়কে আমাদের চোখের সামনে রেখে জীবনযাপন করছি, আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের হৃদয়ে দৃঢ়ভাবে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর বিশ্বাস প্রস্তুত করতে হবে৷ যারা খ্রীষ্টের জল ও রক্তে বিশ্বাস করে, শয়তান তাদের বিশ্বাসকে দমন করার চেষ্টা করতে তাদের সাথে চ্যালেঞ্জ করবে৷ শয়তানের এই চ্যালেঞ্জে আত্মসমর্পণ না করতে আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের হৃদয়ে জল ও আত্মার সুসমাচার বাঁধতে হবে, নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর নিমিত্ত আমাদেরকে প্রত্যাশার সাথে আরেকটি বার এর উপলব্ধি পরীক্ষা করতে হবে, এবং নিশ্চিত হতে হবে যে, আমাদের এই বিশ্বাস আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এক মুহুর্তের জন্যও হারিয়ে যাবে না৷
আদি মন্ডলীর সময়ে সাধুগণ কেন দুর্দান্তভাবে তাদের বিশ্বাস রক্ষা করত, কারণ তারা মহাক্লেশের উপরে শাস্ত্রের বাক্য এবং তাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পুনরুত্থান ও রূপান্তর সম্পর্কে জানে এবং বিশ্বাস করে৷ আপনি এবং আমিও সাক্ষ্যমর হব৷ আমি মরব সুতরাং আপনিও মরবেন – আমরা আমাদের বিশ্বাস রক্ষার্থে মরব৷ সম্ভবত আমাকেই প্রথম খোঁজা হবে এবং মারা হবে৷ এটা একটা ভয়ঙ্কর দৃশ্যের আবির্ভাব হবে, কিন্তু শেষ সময়ে ভীত হওয়ার কিছুই নেই, সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে এড়িয়ে যাওয়ার যুক্তির পক্ষ সমর্থন করা আমাদের বিশ্বাসঘাতকতা হবে, এইরূপ কোনকিছু আমরা সত্যিই করব না৷
সর্বোপরি আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর মাধ্যমে ঈশ্বর গৌরাবন্বিত হবেন এবং তিনি তা আমাদের অদৃষ্টরূপে স্থির করেছেন৷ সুতরাং এটা এমন জিনিস যে, আমাদেরকে অবশ্যই অন্তত একবার এর মধ্যে দিয়ে গমন করতে হবে৷ যেহেতু আমরা এর মধ্যে দিয়ে যাওয়াকে না পারি এড়াতে না সেখান থেকে পলায়ন করতে পারি, তাই আসুন আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এর দিকে ধাবিত হই এবং দৃঢ় বিশ্বাসে তা অতিক্রম করি৷ আমাদের রাজার ক্ষমতা রয়েছে যা অন্যকারো নেই, আর এটা ছাড়াও আমাদের অনন্ত আশীর্বাদের প্রত্যাশা রয়েছে৷ এরূপে আমরা আমাদেরকে বলবান করতে সর্বদা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারি এমনকি তাঁকে আরো গৌরব প্রদান করতে পারি৷ সাক্ষ্যমরের মৃত্যুকে ভয় ব্যতীত আমরা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আনন্দ লাভ করব৷ এটা ঈশ্বরের এক মহা গৌরব এবং আমাদের জন্য এক মহা অনুগ্রহ৷ 
ঈশ্বর প্রকাশিত বাক্য পুস্তকে লিখেছেন সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যু, পুনরুত্থান এবং রূপান্তর, সহস্রাব্দের রাজ্য এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী সম্পর্কে আমাদেরকে বলার নিমিত্ত৷ এইরূপে প্রকাশিত বাক্য জানা আর এই নশ্বর পৃথিবীতে স্পষ্ট বিশ্বাস থাকা সমান৷ জল ও আত্মার সুসমাচার ব্যতীত নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর পথে ভ্রমন করা যাবে না৷সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে যাওয়া ব্যতিরেকে এই বিশ্বাস দৃঢ় প্রতিপন্ন হবে না৷ অতএব, আমি প্রত্যাশা ও প্রার্থনা করি যে, আপনি এটা বিশ্বাস করে দৃঢ়ভাবে আপনার হৃদয়ে বিশ্বাসে আবদ্ধ হোন যে, যখন সময় আসবে তখন আপনি সুসমাচারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না বরং সাক্ষ্যমর হবেন এবং আপনার বিশ্বাসের দ্বারা সম্মুখে তাকাবেন৷ তাহলে এই মুহূর্ত থেকে আপনার বিশ্বাসের জীবন ভীষণভাবে পরিবর্তিত হয়ে যাবে৷  
শয়তানের ফাঁদে পড়ে আমরা মূল্যহীনভাবে মরব না৷ আমাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মার কাজকে অনুসরণ করে আমরা আমাদের বিশ্বাস রক্ষার্থে মৃত্যুবুরণ করব৷ এটাই উত্তম সাক্ষ্যমরের মৃত্যু৷ নিশ্চয় আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর দিন আসবে৷ আমরা এতে ভয় করব না কারণ আমরা জানি যে, যদিও শয়তান কর্তৃক আমাদের দেহ হত হবে, তথাপি ঈশ্বর শীঘ্রই আমাদের দেহকে জীবিত করবেন, নুতন এবং গৌরাবন্বিত করবেন৷ আমরা আরো জানি যে, আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের জন্য সহস্রাব্দের রাজ্যের রাজত্বের অনুগ্রহএবং স্বর্গে আমাদের অনন্ত রাজত্ব প্রতীক্ষা করছে৷
অনেক আগে রোম সম্রাট নিরো রোম নগরীকে পুনঃনির্মাণের নিমিত্ত নগরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনি খ্রীষ্টিয়ানদের উপর দোষারোপ করতে তাদেরকে এলোপাথাড়িভাবে হত্যা করেছিলেন, এতে রোমান নাগরিকগণ ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে গিয়েছিল৷ অনুরূপভাবে, মহাক্লেশের সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যখন পৃথিবীকে আঘাত করবে, খ্রীষ্টারী তখন আমাদেরকে, সাধুগণকে সমস্ত মারীর কারণে দোষারোপ করবে এবং আমাদেরকে হত্যা করবে৷ 
সুতরাং, অবশ্যই আমরা এখন থেকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব, ঈশ্বর যেন আমাদেরকে সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর বিশ্বাস প্রদান করেন, যেন বিশ্বাসের সাথে আমরা মৃত্যুবরণ করতে পারি৷ যদি আমরা আমাদের বিশ্বাস পরিত্যাগ না করি এবং সাক্ষ্যমর হই তাহলে ঈশ্বরের গৌরব প্রতীয়মান হবে৷ কিন্তু যদি আমরা আমাদের বিশ্বাস পরিত্যাগ করি, খ্রীষ্টারীর নিকটে আত্মসমর্পণ করি এবং তাকে ঈশ্বর বলে স্বীকার করি তাহলে অনন্ত নরকে নিক্ষিপ্ত হব৷ অন্যকথায়, যে বিশ্বাস দ্বারা আমরা খ্রীষ্টারীকে জয় করব, আমরা যদি সেই বিশ্বাসের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তাহলে আমাদের প্রভু আমাদেরকে শক্তি ও ক্ষমতা প্রদান করবেন, কিন্তু যদি আমরা আমাদের হৃদয়কে দৃঢ়ভাবে স্থাপন না করি এবং আমাদের বিশ্বাসকে অস্বীকার করি, তাহলে তিনি আমাদের নিমিত্ত কেবলমাত্র নরকই প্রদান করবেন৷
আসুন কোরিয়ান যুদ্ধ থেকে আপনাদেরকে একটা গল্প বলি৷ উত্তর কোরিয়ার একটি সৈন্যদল দক্ষিন কোরিয়ার একটি গ্রামাঞ্চলের একটি গীর্জাতে এসেছিল, যেখান Chudal Bae নামের একজন ডিকন তাদের প[পরিচর্যা করছিলেন৷গীর্জা সংলগ্ন কবরখানাটি অপরিস্কার দেখে বহিরাগত একজন সৈন্য ডিকনকে সেটা পরিস্কার করতে বলেছিল৷ কিন্তু ডিকন তা করতে অস্বীকার করেছিলেন এই বলে যে, তাকে ঈশ্বরের দিন পবিত্র বলে মানতে হবে৷ সৈন্যটি অধৈর্য্য হয়েছিল, হুমকি দিয়েছিল এই বলে যে, যদি তিনি পরিস্কার না করেন তাহলে সে তাকে সম্পূর্ণ সমাবেশের মধ্যেই সে তাকে হত্যা করবে৷ কিন্তু ডিকন ঐরূপ করতে অস্বীকার করতে থাকলেন, বললেন, তার বিশ্বাস রক্ষা করতে হবে এবং পরিনামে তাকে হত্যা করা হয়েছিল৷ পরবর্তীতে কিছু খ্রীষ্টিয়ান তার মৃত্যুকে সাক্ষ্যমরের মৃত্যু বলেছিল, কিন্তু এটা সাক্ষ্যমরের মৃত্যু নয়৷ কেন? কেননা সাক্ষ্যমরের মৃত্যু হল ধার্মিকতার কাজের জন্য মৃত্যুবরণ করা – অর্থাৎ ঈশ্বরের গৌরব প্রকাশ করা৷ ঈশ্বরের অজুহাতে কারো স্বেচ্ছাচারিতার অধীনে মৃত্যুবরণ করা সাক্ষ্যমরের মৃত্যু থেকে অনেক দুরে৷   
ঈশ্বর আমাদেরকে যে পরিত্রাণের প্রেম প্রদান করেছেন, তা কি আমরা ছুড়ে ফেলে দিতে পারি? আমাদের কলুষতা ও পাপের কারণে যীশু তাঁর বাপ্তিস্ম ও ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর নিজের উপরে তুলে নিয়েছিলেন৷ আমরা যদি আমাদের প্রভুর মৃত্যুর এই প্রেমের প্রতিদান ভক্তিপূর্ণভাবে না দিতে পারি তাহলে মৃত্যুর সাথে বিলীন হয়ে যাওয়া মাংসের নিমিত্ত যে সুসমাচার যে নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী প্রদান করবে, তা আমরা ছুড়ে ফেলে দিই৷ আমরা এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি রক্ষা পাওয়ার অদৃষ্ট নিয়ে, এই পৃথিবীর প্রত্যেকের কাছে পরিত্রাণের সুসমাচার প্রচার করতে এবং মৃত্যুবরণ করতে৷ ভুলে যাবেন না যে, সমস্ত সাধুগণ পাপের ক্ষমা লাভ করেছে তাদের অদৃষ্ট অর্থাৎ আমাদের নিজেদের অদৃষ্ট হল বিশ্বাসে বেঁচে থাকা৷ এবং ঈশ্বর যে গৌরব আমদেরকে প্রদান করেছেন, তার নিমিত্ত বিশ্বাসে শয়তানের সাথে  প্রতিদন্ধিতায় জয়ী হয়ে সাক্ষ্যমর হওয়া৷
আমরা এত বেশী ত্রুটি ও দোষে পরিপূর্ণ যে, আমরা কোনো কিছুর দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব প্রদান করতে পারি না৷ আমাদের ন্যায় এরূপ লোকেদেরকে, আমাদের প্রভুর গৌরব প্রদান করতে ঈশ্বর একটি মহা সুযোগ দিয়েছেন, আর তা হল সাক্ষ্যমরের মৃত্যু৷ এটা অবহেলা করবেন না৷ আসুন আমরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি, আমরা তাঁকে বলি তাহলে তিনি মহাক্লেশের সময়কে কমিয়ে দেবেন, এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবীর জন্য প্রত্যাশা রাখার দ্বারা আমরা আমাদের ক্ষনস্থায়ী দুঃখভোগকে জয় করি, - যা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে৷ আসুন এতে বিশ্বাসের দ্বারা জীবনযাপন করি যে, যারা ঈশ্বরের পক্ষে জীবনযাপন করে, তিনি তাদের উপরে মহা-দুঃখভোগ অনুমোদন করবেন না, বা তাদের জন্য এমন কিছু অনুমোদন করবেন না যা তাদেরকে বিশ্বাসঘাতক তৈরী করে, কিন্তু তিনি তাদেরকে রক্ষা করবেন এমনকি প্রচুর অনুগ্রহ দান করবেন৷  
এটা অনুধাবন করতে হবে যে, আমাদেরকে সাক্ষ্যমর হতে হবে, যন্ত্রণা ভোগ করার, দুঃখভোগের মধ্যে অটল থাকার এবং প্রভুর পক্ষে কষ্ট করার অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন রয়েছে৷ এরূপ বিষয়ের মধ্যে প্রভুর সাথে চলার মাধ্যমে আমরা আমাদের বিশ্বাস আরো বৃদ্ধি করব এবং যখন সময় আসবে, প্রভুর প্রদত্ত শক্তি দ্বারা আমরা আমাদের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর সম্মুখীন হতে সক্ষম হব৷ যদি আমাদের প্রভুর পক্ষে দুঃখভোগের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকে, তাঁকে ভক্তি করার, তাঁর জন্য কষ্ট করার এবং তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করার অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে মহাক্লেশের সময়ে যখন সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর সময় আসবে, তখন ভয় আমাদেরকে আচ্ছন্ন করবে৷ পূর্বে যারা দুঃখভোগ এবং যন্ত্রণা জয় করেছে শুধুমাত্র তারাই আর একবার দুঃখভোগ করতে পারবে৷ 
আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন প্রভুর পক্ষে দুঃখভোগের নিমিত্ত আপনার  বিশ্বাসের জীবন এবং এই জীবনের উপরে যেন আপনার বিজয় হয়, এবং যখন সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর সময় আসবে, যারা তাদের হৃদয়কে চিনতে পারে এবং যারা মুখ স্বীকার করে যে, ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং আশীর্বাদের মধ্যে দিয়ে সমস্ত জিনিসই তাদের নিজস্ব গৌরব, তাহলে আপনি এই বিশ্বস্তদের মধ্যে থাকবেন৷
আপনি যদি আপনার বিশ্বাসের দ্বারা পরাক্রমে স্বর্গরাজ্য গ্রহণ করতে চান, নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী আপনার হবে৷ ঈশ্বরের ইচ্ছা এই, যেন সমস্ত মানুষ পরিত্রাণ পায়, এবং সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে (১ তীমথিয় ২:৪)৷