Search

တရားဟောချက်များ

বিষয় ১২: প্রেরিতের বিশ্বাসসূত্রের বিশ্বাস

[11-11] আমাদের পাপের ভয় দেখিয়ে যারা আমাদের সর্বনাশ করতে চায় (যোহন ১৩:১-১১)

আমাদের পাপের ভয় দেখিয়ে যারা আমাদের সর্বনাশ করতে চায়
(যোহন ১৩:১-১১)
“নিস্তারপর্ব্বের পূর্ব্বে যীশু, এই জগৎ হইতে পিতার কাছে আপনার প্রস্থান করিবার সময় উপস্থিত জানিয়া, জগতে অবস্থিত আপনার নিজেস্ব যে লোকদিগকে প্রেম করিতেন, তাহাদিগকে শেষ পর্য্যন্ত প্রেম করিলেন। আর রাত্রিভোজের সময়ে-দিয়াবল তাঁহাকে সমৰ্পণ করিবার সঙ্কল্প শিমোনের পুত্র ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদার হৃদয়ে স্থাপন করিলে পর তিনি জানিলেন, যে, পিতা সমস্তই তাঁহার হস্তে প্রদান করিয়াছেন ও তিনি ঈশ্বরের নিকট হইতে আসিয়াছেন, আর ঈশ্বরের নিকটে যাইতেছেন; জানিয়া তিনি ভোজ হইতে উঠিলেন, এবং উপরের বস্ত্র খুলিয়া রাখিলেন, আর একখানি গামছা লইয়া কটি বন্ধন করিলেন। পরে তিনি পাত্রে জল ঢালিলেন ও শিষ্যদের পা ধুইয়া দিতি লাগিলেন, এবং যে গামছা দ্বারা কটি বন্ধন করিয়াছিলেন তাহা দিয়া মুছাইয়া দিতে লাগিলেন। এইরূপে তিনি শিমোন পিতরের নিকট আসিলেন। পিতর তাঁহাকে বলিলেন, প্রভু, আপনি কি আমার পা ধুইয়া দিবেন? যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, আমি যাহা করিতেছি, তাহা তুমি এক্ষণে জান না, কিন্তু ইহার পরে বুঝিবে। পিতর তাঁহাকে বলিলেন, আপনি কখনও আমার পা ধুইয়া দিবেন না। যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, যদি তোমাকে ধৌত না করি, তবে আমার সহিত তোমার কোন অংশ নাই। শিমোন পিতর বলিলেন, প্রভু, কেবল পা নয়, আমার হাত ও মাথাও ধুইয়া দিউন। যীশু তাঁহাকে বলিলেন, যে স্নান করিয়াছে, পা ধোয়া ভিন্ন আর কিছুতে তাহার প্রয়োজন নাই, সে ত সর্ব্বঙ্গে শুচি; আর তোমরা শুচি, কিন্তু সকলে নহ। কেননা যে ব্যক্তি তাঁহাকে সমর্পণ করিবে, তাহাকে তিনি জানিতেন; এই জন্য বলিলেন, তোমরা সকলে শুচি নহ।”
 
যারা নূতন জন্মপ্রাপ্ত নয়, সেই সকল ভ্রান্ত শিক্ষকদের কাছে বাইবেলের সমুদয় বাক্যই রহস্যাবৃত্ত। তারা মানবীয় চিন্তা চেতনা দিয়ে ঈশ্বরের বাক্যকে ব্যাখ্যা করার ব্যার্থ চেষ্টা করে। তাই তারা নিজেরাও দৃঢ়চেতা হতে পারে না। ফলে যারা যীশুতে বিশ্বাস করে, তারা তাদের পরিত্রাণের অনিশ্চয়তায় ভোগে।
কেন এমন হয়? এর কারণ হল, তারা বলে যে তারা যীশুতে বিশ্বাস করে, অথচ জল ও আত্মার সুসমাচার সমন্ধে তাদের পরিষ্কার ভাবে ধারণা নাই। এই ধরণের খ্রীষ্টিয়ানগণ মনে করে, যেহেতু তারা যীশুতে বিশ্বাস করে তাই তারা কখনোই পতিত হবে না। কিন্তু তাদেরকে এটা অবশ্যই উপলব্দি করা দরকার যে, যখন বাইবেল অনুসারে দেখা হয় তখন এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে তাদের জন্য একটা সংকল্পিত বিষয় রয়েছে আর তা হল; যদি তারা জল ও আত্মায় নূতন জন্ম গ্রহণ না করে, তাহলে তারা পতিত হবে।
মানুষের চিন্তা করণার্থে এটা ধরে রাখার মত একটি বিশ্বাস যে, যদিও তারা সত্য জানেনা, তথাপি তারা অন্ধের মত যীশুকে বিশ্বাস করে, এ জন্য তারা শেষ পর্যন্ত পতিত হবে না। কেননা তারা শাস্ত্রের বাক্য যথাযথ ভাবে বুঝতে পারে নাই, তারা বুঝতে না পারার জন্য বাক্যগুলোকে ভুলবশত সঠিক ভাবে বিশ্বাস করতে পারে নাই, যার দরুণ তারা সঠিকভাবে উদ্ধার পায় নাই।
 সুতারং, মানুষ যদি বাইবেলের বাক্যকে আক্ষরিক অর্থে ব্যাখ্যা করে এবং তাদের নিজস্ব ধ্যানধারণার মতবাদে অবস্থান করে, তাহলে এই ধরণের লোকেরা হয়তোবা যীশুকে বিশ্বাস করতে পারে, এতে তারা পাপের ক্ষমা পেতে পারে না, এবং স্বভাবতই তাদের পাপের নিমিত্ত তারা নরকে পতিত হবে। আমাদের নিজেদের পথের সমাধানকল্পে বাইবেল এমন কিছু নয়, বরং; আমাদেরকে তাঁর নূতন জন্ম প্রাপ্ত সাধুগণের সত্য বাক্যের মধ্যদিয়ে ঈশ্বর কর্ত্তৃক আমাদের বুঝবার জ্ঞানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাছাড়া আমাদেরকে আরও বুঝতে হবে, ঈশ্বরের সমুদয় বাক্য জল ও আত্মার সুসমাচারের মধ্য দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
যীশু বলেন, “যদি কেহ জল এবং আত্মা হইতে না জন্মে, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে না” (যোহন ৩:৫)। যারা এই অংশটি জানে এবং বিশ্বাস করে তারা বাস্তবিক তাদের সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার পায় এবং স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। যীশু বলেন, জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসের দ্বারা যাদের হৃদয় পরিষ্কৃত হয়েছে, কেবল তারাই স্বর্গে প্রবেশ করতে পরবে। কিন্তু তারা যদি প্রভুর দত্ত্ব জল ও আত্মার সুসমাচার, - যা সমাগম তাম্বুর নীল, বেগুনে ও লালসূতা এবং মিহি মসীনা সূতায় প্রতিয়মান, তা বুঝতে না পেরে এতে বিশ্বাস করে, তাহলে তাদের পাপের নিমিত্ত তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।
 যীশুতে বিশ্বাস করার পরেও আমরা যদি আমাদের পাপের কারণে নরকে যাই, তা কতই না দূঃখের বিষয়? আমি এটা চিন্তা করে খুবই দূঃখ পাই, যে পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা যীশুকে ত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করলেও তাদের অনেকেই প্রশ্ন করলে সঠিক ভাবে উত্তর দিতে পারে না সত্যিই তারা পাপের ক্ষমা পেয়েছে কিনা। এটা বলা ভুল হবেনা যে, সমস্ত পাপী তারা যীশুতে বিশ্বাস করুক বা না করুক তারা অবশ্যই তাদের পাপের জন্য ধ্বংস হবে। যীশুকে বিশ্বাস করার পরও কত লোক ধ্বংস হবে?
মথি ৭ অধ্যায়ে বলা হয়েছে যে, যদিও অনেকে প্রভুতে বিশ্বাস করে ভাববানী বলবে, ভূত ছাড়াবে, তাঁর নামে অনেক আশ্চর্য আশ্চর্য কাজ করবে, তার পরও তিনি তাদের দূর করে দিবেন। যীশু বলেন যে, এসব লোকদের তিনি বলবেন, “আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্মচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও” (মথি ৭:২৩ পদ)। আমাদের প্রভু বলেন যে, তাঁর নামে ডাকলেই সকলে স্বর্গে যেতে পারবেন। একই ভাবে প্রভু তাদেরকেও তিরস্কার করবেন, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারকে ভুল বুঝবে। 
তবে ও অনেকেই বুঝতে পারবে না যে তারা যীশুকে ভুল ভাবে বিশ্বাস করছে, এই অবস্থা আমাদের প্রভু যীশুকে গভীর ভাবে কষ্ট দেয়। এরকম অনেক মানুষ আছে, যাদেরকে সত্যি প্রভু তিরস্কার করেছেন, তাদের ভুল বিশ্বাসের জন্য, কারণ তারা নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনছে।
এই জন্য বর্তমান কালের নামধারী খ্রীষ্টিয়ানদের জন্য আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত। তারা কোন রকমে যীশুকে বিশ্বাস করে, কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচারের সত্য প্রকৃত রূপে বুঝতে পারে না, এ কারনে এটা আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ন ও জরুরী বিষয় যেন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করি।
এটা আমাদের জন্য জানা ও বিশ্বাস করা খুব গুরুত্ব পূর্ণ, জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করা। তাহলে, আমরা কিভাব জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করতে পারি? অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচার শুনে বিশ্বাস করতে হবে। এই সুসমাচারের বাক্য শুনতে এবং বিশ্বাস করতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে এবং সত্য সুসমাচারে বিশ্বাস করতে হবে এবং ঈশ্বরের পবিত্র সন্তান হতে হবে, এটা এজন্য করা হয় যেন আমরা বিশ্বাস দ্বারা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারি, বিশ্বাসে পাপের ক্ষমা পেতে পারি, বিশ্বাসে তাঁর সন্তান হতে পারি।
এই কারণে খ্রীষ্ট ধর্মে বিশ্বাসের দ্বারা পরিত্রাণের কথা বলা হয়েছে। জগতের ধর্ম দ্বারা মানুষের কাজ কে পুরস্কার দেয়। কিন্তু আসল সত্য এই যে পরিত্রাণ হল ঈশ্বরের অনুগ্রহের দান, মানুষের কর্মের ফল নয়, কেউ যেন অহংকার নাকরে, (ইফিষীয় ২:৮-৯ পদ)। সত্যিকারের খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস পরিত্রাণের স্বর্গে যাওয়ার এক মাত্র পথই হল জল ও আত্মার সুসমাচার জানা ও তাতে বিশ্বাস করা।
আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় যোহন ১৩ অধ্যায়ে যে জল ও আত্মার সুসমাচার। যীশু জানতে পারলেন যে তাঁর ক্রুশে মৃত্যু বরণ করার সময় হয়েছে, তখন তিনি শিষ্যের পা ধুয়ে দিতে চাইলেন। এটা ছিল নিস্তার পর্বের ভোজের পূর্বে নিস্তার পর্বের ভোজ যিহুদীদের কাছে খুবই গুরুত্ব পূর্ন। এটা সেদিন যেদিন ইস্রায়েল জাতি মিশর দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছিল এবং দাস প্রথা থেকে মুক্ত হয়েছিল। এটা তাদের জন্য মহা আনন্দের দিন ছিল। সুতরাং ইস্রায়েল জাতি পুরাতন নিয়মের নিস্তার পর্বের কথা স্মরণ করছিল। এবং সকলে এক সাথে যে নিস্তার পর্ব স্মরন করছিল।
প্রভুর ভোজের সময়, যীশুর শিষ্যেরা তাঁর সাথে একত্র হয়েছিল এবং ঐ সময় তাদেরকে কিছু গুরুত্ব পূর্ন কথা বললেন। যীশু ক্রুশে মৃত্যু বরণ করার পূর্বে নিজ হাতে শিষ্যদের পা ধুয়ে দিয়েছিলেন, এর দ্বারা তিনি বুঝাতে চাইলেন যে তিনি তাদের হৃদয়ের আসল পাপ ধুয়ে দিয়েছিলেন। নিস্তার পর্বের অনুষ্ঠান দ্বারা যীশু জানতেন যে তিনি শত্রুদের দ্বারা বন্দী হবেন নিস্তার পর্বের মেষ সাবক হিসাবে। তাকে ক্রুশে মরতে হবে আবার জীবিত হতে হবে। সুতরাং যীশু তার শিষ্যদেরকে এই শিক্ষা দিতে চাইলেন যে বলির মেষ সাবক হিসাবে তিনি তাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়েছেন। অন্যকথায়, পা ধোয়ানোর দ্বারা তিনি শিষ্যদের বুঝালেন যে তাকে ক্রুশে মরতে হবে।
 
 

যীশু কেন পিতরের পা ধুয়ে দিলেন, তার কারণ

 
যীশু যখন শিষ্যদের পা ধুয়ে দিতে চেয়েছিলেন এবং পিতর পা ধুতে অস্বীকার করেছিলেন, তখন যীশু বলেছিলেন, “যদি তোমাকে ধৌত না করি, তবে আমার সহিত তোমার কোন অংশ নাই” (যোহন ১৩:৮ পদ)। এ কথাটি কতটা গভীর এবং ভয়ানক? যা হোক, আসলে যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে শিখাতে চেয়েছিলেন যে তিনি তাদের আসল পাপ ধুয়ে দিবেন, এবং তাঁর নিজের জন্য এবং শিষ্যদের জন্য বিষয়টি খুব গুরুত্ব পূর্ন ছিল যেন তিনি মৃত্যুর পূর্বে তাদের পা ধুয়ে দেন।
 তাই যীশু খাবার, কাপড় এক পাশে রাখলেন, একটা গামছা নিলেন এবং একটি পাত্রে জল নিলেন, তারপর শিষ্যদের পা ধুতে শুরু করলেন। যখন শিমোন পিতরের কাছে এলেন, পিতর রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি যীশুকে বললেন, “প্রভু, আপনি কি আমার পা ধুয়ে দিবেন?” যীশু তার পা ধুতে চাইলে পিতর খুব অবাক হলেন। কারণ, তিনি যীশুকে বিশ্বাস করেছিলেন, ঈশ্বরের পুত্র হিসাবে তাঁর সেবা করেছিলেন, তাই এরকম উল্টা পরিস্থিতিতে তিনি ঘাবড়ে গেলেন। মানতে পারছিলেন না। তাই পিতর যীশুকে প্রশ্ন করেছিলেন যে কেন তিনি তাঁর পা ধয়ে দিবেন, তিনি ভাবছিলেন যে, পা যদি ধুতে হয় তবে তিনিই যীশুর পা ধুয়ে দিবেন, এবং প্রভু যে তার পা ধুয়ে দিবেন সেটা সাঠক নয়, ভদ্রতাও নয়। তাই সত্যিই পিতর কষ্ট পেলেন, বললেন, “প্রভু, আপনি কি আমার পা ধুয়ে দিবেন?” এই বলে তিনি অস্বীকার করলেন।
তখন ৭ পদে যীশু বললেন, “আমি যাহা করিতেছি, তাহা তুমি এখন বুঝিবে না, কিন্তু পরে বুঝিবে।”তার মানে, “আমি এখন যা করছি, তুমি এখন বুঝবে না। কিন্তু আমি যখন ক্রুশে মুরবো এবং মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে স্বর্গে যাব তখন তুমি বুঝতে পারবে কেন আমি তোমার পা ধুয়ে দিলাম।” তখন যীশু জোর দিয়ে বললেন, “আমি যদি তোমার পাপ না ধুয়ে দিই, তবে তোমার সহিত আমার কোন অংশ নেই।” যীশু যদি পিতরের পা ধুয়ে না দিতেন, তবে পিতরের এবং যীশুর মধ্যে কোন সম্পর্ক থাকত না। অংশ নাই মানে, সম্পর্ক নাই। তাই তখন যীশুর কাছে পা এগিয়ে না দিয়ে পিতরের কোন উপায় ছিল না। তখন যীশু পাত্রে পা ধুলেন এবং গামছা দিয়ে মুছে দিলেন।
প্রভু যখন পিতরকে বললেন, “আমি যদি তোমার পা ধুয়ে না দেই, তবে তোমার সহিত আমার কোন সম্পর্ক নাই।” পিতর একথায় কষ্ট পেলেন, বললেন, “শুধু পা নয় আমার আরও কিছু ধুয়ে দিন, যেন আমি আপনার অংশ থাকতে পারি। আমার হাত, আমার মাথা, ও আমার সারা শরীর ধুয়ে দিন।” একথা শুনে যীশু বললেন, “যে স্নান করেছে, তার শুধু পা ধোয়ার দরকার। সে সম্পূর্ন রূপে পরিস্কার আছে। তুমি পরিস্কার আছে, কিন্তু তোমাদের সকলে নয়।”
 যীশু এমন এমন কথা বলতেন যে লোকেরা তা শুনে প্রথমে দিধান্বিত হত এবং ঘাবড়ে যেত। যীশু যা বলতে চাচ্ছেন সে কথা বুঝতে না পেরে ভুল বুঝত, ভুল ভাবে বিশ্বাস করত এবং উদ্ভব কান্ড ঘটত। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে পাপের ক্ষমা পাইনি, যীশু পিতরকে এখানে কি বলেছিলেন, সে অর্থ তারা বুঝতে পারবেনা। কেন? কারণ, যাদের হৃদয়ে পবিত্র আত্মা নাই, তারা ঈশ্বরের বাক্যের অর্থ বুঝতে পারে না।
 বাইবেলের অর্থ যে কেউ বুঝতে পারে না, জগতের অনেক জ্ঞান বুদ্ধি থাকলেও বুঝতে পারে না। মানুষ জগতের জ্ঞানের যখন ঈশ্বরের বাক্য বুঝতে চেষ্টা করে, তখন শুধু মাত্র আক্ষরিক অর্থ বুঝে, যতক্ষন তারা জল ও আত্মার সত্য বুঝতে না পারে, তারা সঠিক অর্থ বুঝতে পারে না এবং যত কান্ন কাটি করুক, তাদের আসল পাপের ক্ষমা পায় না।
প্রভু বলেন, “যে স্নান করিয়াছে, পা ধোয়া ভিন্ন আর কিছুতে তাহার প্রয়োজন নাই, সে ত সর্ব্বঙ্গে শুচি; আর তোমরা শুচি, কিন্তু সকলে নহ। (যোহন ১৩:১০ পদ)। আজ কালকার খ্রীষ্টিয়ানদের পক্ষে এই অংশ বুঝতে পার পারা কঠিন বিষয়, তারা নিজেরাই বুঝতে পারে না যে তারা তাদের পাপের ক্ষমা পেয়েছে কিনা। আসলে তারা মনে করে যে এ অংশটা দ্বারা অনুতাপের প্রার্থনার কথা বলা হয়েছে, এইটা খ্রীষ্টিয়নদের গোঁড়া মতবাদ।
তারা এই অংশটাকে এরকম বলে, “একবার যদি যীশুকে ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করি, তাহলে আদি পাপ সহ সমস্ত পাপ ক্ষমা পাব”। কিন্তু, যেহেতু আমরা পাপ না করে পারি না, এভাবে প্রতিদিন পাপী হচ্ছে, এই প্রতিদিন ঈশ্বরের কাছে পাপের ক্ষমা চাইতে হবে, তাহলে আদি পাপ ক্ষমা পাবে। এরূপ করে, আমরা আমাদের পাপ পরিস্কৃত করছি এবং পুনরায় তার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখছি।
বোকা! আপনি কি আপনার আদি পাপ অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা পরিস্কৃত করতে পারেন? আপনি যে পাপ গুলো স্বীকার করতে ভুলে গেছেন সেগুলো থেকে পরিস্কৃত হবার জন্য আপনি কেমন প্রার্থনা করেন? তাহলে এই পাপ গুলোর ক্ষমা কিভাবে পাবেন? 
গির্জা ঈশ্বরের দেহ বস্তুতঃ তারা সেখানে একত্রে মিলিত হয় যারা প্রভু প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে। সুতরাং যীশু যখন বলেছিলেন যে, শরীর সম্পূর্ন রূপে পরিস্কার কিন্তু সব শিষ্যরা পরিস্কৃত নয়, যিহুদা যিনি তাঁকে বিশ্বাস করতেন না এটা উল্লেখ করার জন্য তিনি উদাহরণ রূপে এটা বলেছিলেন এর কারণ হল তিনি জানতে পেরেছিলেন যে যিহুদা তাঁকে বিশ্বাস করে না তাই তিনি বলেছিলেন, “তোমরা সবাই নও।”
 আমাদের বিশ্বাস করতে হবে বাইবেলের অপরিহার্য্য সত্য যীশু জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা আমাদেরকে একেবারে সমস্ত পাপ থেকে ধৌত করেছিলেন। তাই যদি আমরা বাক্যের সঠিক সত্যতা বুঝতে ব্যর্থ এবং নিজেদের মত করে ঈশ্বরের বাক্য বুঝতে চেষ্টা করি তাহলে আমরা ভীষন এক ভ্রান্তকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ব।
এমন কি এখনো অনেক লোক ভ্রান্তি কর অবস্থার মধ্যে পড়ে আছে, তারা যখন যীশুকে সঠিক রূপে বিশ্বাস করতে পারে না তখন তারা তাদের সব কিছু ত্যাগ করে এবং এমনকি তারা শহীদ হয়, কিন্তু শেষে তারা চরম ভাবে তাদের পাপের নিমিত্ত ধ্বংস হয়ে যাবে।
 
 

যীশু কেন আমাদের পা ধুয়ে দিয়েছিলেন তার কারণ

 
 যীশু যদি পিতরের পা ধৌত করে থাকে তবে যীশুর সাথে পিতরের আর কি করার ছিল? যেহেতু যীশু পিতরের সারা জীবনের পাপ মোচন করেছিল তাই তিনি তার সত্যিকারের ত্রাণকর্তা হলেন। যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে মানব জাতীর পাপ তুলে নিয়েছিলেন, ক্রুশে মৃত্যু বরণ করলেন, মৃত্যু থেকে জীবিত হলেন এবং এভাবে তিনি চিরতরে পিতরের এবং তাঁর সব শিষ্যদের পাপ ধৌত করেছিলেন। যীশুর সাথে এই সত্যের ছাপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু শিষ্যরা ভেবেছিলেন তাদের পা ধোয়ানটা শুধূমাত্র একটা নীতির ব্যাপার ছিল যেহেতু তারা যীশুর তাদের পা ধোয়ানোর কারণটা জানতে পেরেছিল না।
 তাদের বুঝতে হত যে শুধুমাত্র তাদের বর্তমান পাপ নয় তারা। ভবিষ্যতে যে পাপ করবে তা তাদের আত্মিক ভাবে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে ছিল। তাই তাদের বুঝতে হত যে তারা ভবিষ্যতে যে পাপ করবে তা ইতি মধ্যেই বিশ্বাসে যীশুর উপর অর্পিত হয়েছিল। কেননা এরূপ ঘটা না পর্যন্ত পিতরের যীশুর সাথে কোন অংশ ছিল না, পিতরের এই মহৎ শিক্ষা বোঝা উচিৎ ছিল যে যীশু তার এবং অন্যান্য শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন। যীশু পিতরকে তার বাপ্তিস্মের সত্যটা বুঝিয়ে ছিলেন, তিনি প্রতিটি পাপ ধৌত করেছিলেন, যা পিতর তার অপূর্ণাঙ্গতা ও দূর্বলতা থেকে করেছিল। এই কারনে যীশুর পিতরের পাপ ধুয়ে দিতে হয়েছিল এবং পিতরের যীশুর দ্বারা পা ধুয়ে নিতে হয়েছিল। পিতরের যীশুর সঙ্গে একটা অংশ ছিল যে তিনি বিশ্বাস করেন যে সে তার জীবনে অপূর্ণাঙ্গতা ও দূর্বলতার জন্য যে পাপ করেছিল যে গুলি একেবারে ধৌত হয়ে গিয়েছিল যখন যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন তখন।
ঈশ্বরের বাক্য শ্রবণ করে আমরা জল ও আত্মার সত্যতা বুঝতে পারি। জল ও আত্মার বাক্য জেনে ও বিশ্বাস করে আমাদেরে সমস্ত পাপ মোচন করেছে, আমরা আমাদের আদি পাপ থেকেও পরিস্কৃত হতে পারি। যীশু বলেছিলেন, “যে স্নান করেছে, তার শুধুমাত্র পা ধোয়া প্রয়োজন।” কেননা যীশু ইতি মধ্যে আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন এবং আমাদের পরিস্কৃত করেছেন। যারা এটাতে বিশ্বাস করে তারা হল তাদের একজন যাদের পাপ মোচন হয়েছে।
 বস্তুতঃ যীশু যর্দ্দন নদীতে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে আমারে সকল পাপ ধৌত করে ও তুলে নিয়েছিলেন, এবং ক্রুশে গিয়ে, ক্রুশবিদ্ধ হয়ে, রক্ত সেচন করে, মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং পুনরায় জীবিত হলেন, এভাবে তিনি আমাদের অনন্ত ত্রাণকর্তা হলেন। বাপ্তাইজিত হয়ে এবং ক্রুশীয় রক্ত দিয়ে প্রভু আমাদের যথার্থ ত্রাণকর্তা হলেন। এই রূপে জল ও আত্মার সুসমাচারের মাধ্যমে যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তিনি তাদের চিরতরে বিশ্বাসে সমস্ত পাপ ধৌত করে দিয়েছিলেন।
 যারা এই সত্য জানে এবং বিশ্বাস করে তারা সঠিক রূপে তাদের আদি পাপও মোচন করতে পারবে। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে; এটা সত্য যে যীশুর ধার্মিকতার কাজের দ্বারাই সমগ্র মানবজাতি তাদের সমস্ত পাপ থেকে ধৌত হয়েছেন। আমাদের সবাইকে যা করতে হবে তা হল ঝল ও আত্মার সুসমাচারে সত্যকারের বিশ্বাস করে অনুগ্রহের পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে হবে। এটাই কি বিষয় নয়? এই সত্য বিশ্বাস করে যারা ইতিমধ্যে স্নান করেছে আমরা তারা হয়েছি।
যীশু বলেছিলেন যারা স্নান করেছে তাদের শুধুমাত্র পা ধোয়া প্রয়োজন, কেননা যদিও আমরা আমাদের অংশে প্রতিদিন পাপ করি যীশু ইতি মধ্যেই তা বাপ্তাইজিত হয়ে তুলে নিয়েছিলেন এবং আমাদের সম্পূর্ণ রূপে পাপ মুক্ত করেছিলেন। যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে আমাদের সারা জীবনের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন এবং আমরা প্রতিদিন এটা দৃড়ভাবে বলতে পারি যে, আমরা আমাদের আদি পাপের সমাধান করতে পেরেছি।
এই অংশটি আমাদের এটাই বলছে। বাস্তবতা হল এটাই যে যারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে তারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেই গ্রহণ করেছে আর তা হল, যীশু বাপ্তিস্মে যা তিনি যোহনের মাধ্যমে গ্রহণ করেছিলেন তা দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছিলেন, জগতের সমস্ত পাপ কাঁধে তুলে নিয়ে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, এবং মৃত্যু থেকে আবার জীবিত হয়েছিলেন যারা মাংসিক পাপে এখনও জীবন ধারা করছে তাদের নিমিত্ত। যাহোক, ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, যীশুতে বিশ্বাস করার পর আমরা যে আদি পাপ করি তা তিনি সব তুলে নিয়েছিলেন।
যুগে যুগে সময় অতিক্রম করছে ঈশ্বর একদা মানব জাতির সমস্ত পাপ মোচন করে কাজ সম্পাদন করেছেন। এই রূপে, যীশু যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করার পর আমাদের সারা জীবনের পাপ তুলে নিয়েছিলেন, এগুলো বহর করে ক্রুশে মৃত্যু বরণ করেছিলেন, পুনরায় জীবিত হয়েছিলেন, আর এভাবে তিনে আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছিলেন। তথাপি, এরূপ করার পর আমরা কিরূপ বিশ্বাস করি? এই সত্য বিশ্বাস করার সত্ত্বেও আমরা এখনও প্রতিদিন পাপের কারণে সমস্যায় এবং অপূর্ণঙ্গতায় জীবন যাপন করছি।
একারণে প্রতিদিন আমাদের বিশ্বাসে পুনরায় দৃঢ় হতে হবে এই সত্য বিশ্বাস করে যে, আমরা যখন এই পৃথিবীতে বিচরন করছি, সারা জীবনে যত পাপ করেছি যীশু সেই সমস্তই তুলে নিয়েছিলেন বাপ্তাইজিত হয়ে যীশু একেবারে জগতের পাপ ধৌত করেছিলেন কিন্তু এই সত্যে আমাদের সময়ের পর সময় এবং দিনের পর দিন বিশ্বাসে দৃঢ় থাকতে হবে।
 পিতর যেমন বিশ্বাসে যীশুর সহিত এক ছিলেন, যীশু তার পা ধুয়ে দিয়েছিলেন, তাকে আমাদের তাঁর পরিত্রাণের জন্য রেখেছিলেন, তেমনি আমাদেরও প্রতিদিন সত্যে দৃঢ় থাকতে হবে যে, ইতি মধ্যে তিনি বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেও ক্রুশীয় রক্ত দ্বারা আমাদের পাপ সকল মুছে দিয়েছেন। কিন্তু যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে না কোন দিনও তাদের কোন পাপ ধৌত করতে পারে না। যারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করে না তাদের যীশু সাথে কোন অংশ নেই। যদিও তারা প্রতিদিন অবিরাম ভাবে তাদের পাপ ধৌত করার চেষ্টা করে, কিন্তু তাদের পাপ ধৌত হয় না, তারা যে পাপ অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা ধৌত করার চেষ্টা করে সেগুলো এরূপ হাল্কা পাপ নয়। প্রতিটি পাপেই ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর বিচারাজ্ঞার অনুসরণ করে।
এরূপে, যারা জল ও আত্মার সুসমাচারের পরিবর্তে নিজেদের অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা পাপ ধৌত করার চেষ্টা করে তারা বুঝতে পারবে যে তাদের এক পয়সার পাপও ধৌত হবে না আমরা কি প্রতিদিন এরূপ অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা আমাদের পাপ ধৌত করি? এমনকি যদি আমরা নিজেরা বিশ্বাস করি যে আমরা আমাদের অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা পাপ ধৌত করছি কিন্তু সত্যিকারে এই পাপ গুলো আমাদের এখনও সারা জীবন থেকে যাবে।
শুধুমাত্র তারাই তাদের পা ধুয়ে জীবন যাপন করতে পারবে যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তাদের সমস্ত শরীর ধৌত করেছে, এবং কেবলমাত্র যারা বিশ্বাসে তাদের প্রতিদিনের পাপ ধৌত করে তারাই অনুগ্রহের কাপড় পরিধান করবে এবং এভাবে তারা চিরদিন পরিস্কৃত থাকবে।
বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে যীশু আমাদের সমস্ত আদি পাপ একেবারে তুলে নিয়েছিলেন। একারণে আমরা বিশ্বাস করি যে, তাঁর বাপ্তিস্মে আমরা আমাদের অপূর্ণঙ্গ জীবনে যেসব পাপ করি যীশু সেগুলোও তুলে নিয়েছেন এবং তিনি সমস্ত পাপের দন্ডাজ্ঞা বহন করেছিলেন। অন্য কথায়, যীশু আমাদের বলেছিলেন, আমাদের নিজেদের দূর্বলতায় আমরা যেন এরূপ কোন বিষয়ে হোঁচট বা পাপে পতিত না হই।
 যীশুর শিষ্যদের পা ধোয়ার পর যা বাকি ছিল তাহল তাঁকে ক্রুশে মরতে হয়েছিল, পুনরায় মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়া এবং স্বর্গারোহন করা। যীশু এখন আর শিষ্যদের পাশে নয় কিন্তু বাইবেলের লিখিত বাক্যানুসারে তিনি এখন পিতা ঈশ্বরের দক্ষিন পাশে। এবং তিনি আবার আসবেন।
কিন্তু যীশু যদি শিষ্যদের এ সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া ব্যতীত ক্রুশে মৃত্যুবরণ করতেন, তাহলে কিভাবে তারা এই পৃথিবীতে থাকত এবং জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করত? যীশুর শিষ্যরা যখন বাস করতেন তখন তারা আদিপাপ করত দূর্বল এবং অপূর্ণাঙ্গ হবার জন্য, এবং তারা জানত না যখন তারা হিংসা, ধনলিপ্সা অথবা ঘৃনা এই সব পাপের জন্য কি করবে, তারা বিশ্বাসে জীবন যাপন করত না। তাহলে কিভাবে তারা অন্যদের কাছে জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করত? তারা এটা করত না। একারণে যীশুকে তাঁর শিষ্যদের নিশ্চিত ভাবে বলতে হয়েছিল যে তিনি ইতি মধ্যে তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছেন আর এজন্য তিনি তাদের পা ধৌত করেছিলেন।
 
 

সমাগম তাম্বুতে যেমন পাপের ক্ষমা প্রতীয়মান ছিল

 
যখন আমরা সমাগম তাম্বুর দরজা খুলি এবং প্রবেশ করি, তখন আমরা প্রথমে যজ্ঞবেদি এবং পিতলের প্রক্ষালন পাত্র দেখতে পাই। সমাগম তাম্বুর প্রথম যে শিক্ষাটি আমাদের জীবনে বিশ্বাসের জন্য সরবারহ করে তা হল যদি আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে পাপ করে থাকি তবে পাপের দন্ডাজ্ঞা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের বিশ্বাস যজ্ঞবেদির দ্বারাও নির্দেশিত হয়, উৎপত্তিগত ভাবে পাপ ও মৃত্যুর দন্ডাজ্ঞা সূচনা করে। ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমরা আমাদের পাপের নিমিত্ত দন্ডাজ্ঞা ভোগের যোগ্য, কিন্তু প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন আমাদের পাপ তুলে নেবার নিমিত্ত।
 পুরাতন নিয়মে যেমন পাপার্থক বলির উপর হস্তার্পণের মাধ্যমে পাপীদের পাপ গ্রহণ করত, এর রক্ত সেচন করত এবং মৃত্যু বরণ করত আর এর মাংস যজ্ঞবেদির উপরে আগুনে পোড়ান হত, এভাবে পাপীদের প্রতিনিধিরূপে অপরাধের শাস্তি আগুনে পুড়ে বহন করত, তাই যীশু আমাদের এটা করেছিলেন। আমাদের মৃত্যুর পরিবর্তে যীশু যোহনের কাছ থেকে হস্তার্পন গ্রহণ করেছিলেন, তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন এবং ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন আর এভাবে তাঁর নিজের মৃত্যুর দ্বারা আমাদের পাপের মূল্য পরিশোধ করেছিলেন।
আমরা প্রতিদিন পাপ করি এবং মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পাপ করব। আপনি এবং আমি আমরা ছিলাম তাদের একজন যাদের পাপের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোন পথ ছিল না। কিন্তু আমাদের মত পাপীদের আমাদের পাপ থেকে মুক্ত এবং দন্ডাজ্ঞা বহন করতে, প্রভু স্বর্গের গৌরবময় সিংহাসন ত্যাগ করেছিলেন এবং জগতে এসেছিলেন, যোহনের দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণকরে আমাদের পাপ নিজের দেহে তুলে নিয়েছিলেন, ক্রুশে নিজের দেহ ত্যাগ করেছিলেন, ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁর মূল্যবান রক্ত সেচন করেছিলেন, মৃত্যু থেকে জীবত হয়েছিলেন এবং এভাবে আমাদের সত্য ত্রাণকর্তা হয়েছেন। মৃত্যুর আইনানুসারে আমাদের অবশ্যই পাপের নিমিত্ত দন্ডাজ্ঞা এবং মৃত্যু ভোগ করতে হত, এটাই হল বিশ্বাস শুরুর চিহ্ন।
 কেবলমাত্র যারা জলে এবং বিশ্বাস করে যে, তাদের পাপের নিমিত্ত তাদের মরতে হবে তারা হল তাদের একজন যারা পাপ ধৌত করার জন্য স্নান করে এবং বিশ্বাসে তাদের সমস্ত পাপ যীশুর উপর অর্পণ করে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে। সত্য বিশ্বাস থেকে এরূপ বিশ্বাসের আরম্ভ হয়। এবং আমরা যারা এরূপ বিশ্বাস করি তারা সম্পূর্ণ বিশ্বাসে নিশ্চিত হই যে আমরা প্রতিদিন যে মৌলিক পাপ করি যীশু খ্রীষ্ট সেগুলো মুছে দিয়েছেন এবং আমরা ভবিষ্যতে যে পাপ করব তাও তিনি ধৌত করেছিলেন।
এমনকি প্রধান যাজক ও তার পুত্র প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় সমাগম তাম্বুর যজ্ঞবেদিতে তাদের হোমবলি আনত। তারা নিয়মিত তাদের পাপার্থক বলি আনত এর উপর তাদের হস্তার্পন করত এবং রক্ত ঝরাত এবং ঈশ্বরকে উপহার দিত। একারণে সমাগম তাম্বুতে কোন চেয়ার ছিল না। অন্য কথায়, তারা একটানা সবসময় পাপার্থক বলি উৎসর্গ করত এজন্য তাদের কোন বসার এবং বিশ্রম করার সময় ছিল না। এরূপে, আমরা হলাম তদ্রুপ লোক যারা অবিরাম ভাবে পাপ করি এবং সেসব পাপের জন্য তাঁর দন্ডাজ্ঞা এড়াতে পারিনা, কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট তাঁর বাপ্তিস্ম এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন আমাদেরকে সম্পূর্ণ রূপে আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছেন।
আমরা আমাদের সব সময় আমাদের পাপের নিমিত্ত মৃত্যুবরণ না করে পারি না আমাদের এখান থেকে বিশ্বাস শুরু করতে হবে। আমাদের মত এরূপ লোকদের জন্য যীশু এই জগতে এসেছিলেন এবং বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে একেবারে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছিলেন। বাপ্তিস্মের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়ে যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশে বহন করেছিলেন এবং তাঁর নিজের জীবন দিয়ে এই সব পাপের নিমিত্ত ক্রুশে রক্ত সেচন করে আমাদের পাপের মুল্য পরিশোধ করেছিলেন। আর তিনি পুনরায় জীবিত হয়েছিলেন, এভাবে তিনি আমাদের অনন্ত কালিন ত্রাণকর্তা হলেন।
রোমীয় ৬:২৩ পদ অনুসারে, “কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন।” আমাদেরকে প্রকৃত পক্ষে আমাদের পাপের নিমিত্ত মৃত্যুবরণ করতে হত, কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট আমাদের যথার্থ ভাবে পাপ মুক্ত করেছেন। অন্য কথায়, বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে এবং মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে প্রভু আমাদের পাপের ক্ষমা এবং অনন্ত জীবন প্রদান করেছেন। আপনি কি এটা বিশ্বাস করেন? এখান থেকেই বিশ্বাস শুরু হয়েছে।
যে কোন সময়ে, আপনি কি চিন্ত করেন; “আমি খুবই অপূর্ণাঙ্গ এজন্য আমি আর যীশুকে অনুসরন করবনা ? সম্ভবত আপনি কি চিন্তা করেন যে আপনি খুবই তুচ্ছ, মাংসিক আর, যদিও আপনি জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করেন তথাপি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া আপনার পক্ষে খুবই কঠিন?” এই বিশ্বাসই পিছনে টানার ভয় দেখায়।
আসুন আমরা ইব্রীয় ১০:৩৬-৩৯ পদের দিকে দৃষ্টি দিই: “কেননা ধৈর্য্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে, যেন ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করিয়া প্রতিজ্ঞার ফল প্রাপ্ত হও। কারণ ‘আর অতি অল্পকাল বাকী আছে, যিনি আসিতেছেন, তিনি আসিবেন, বিলম্ব করিবেন না। কিন্তু আমার ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতুই বাঁচিবে, আর যদি সরিয়া পড়ে, তবে আমার প্রাণ তাহাতে প্রীত হইবে না। পরন্ত আমরা বিনাশের জন্য সরিয়া পড়িবার লোক নহি, বরং প্রাণের রক্ষার জন্য বিশ্বাসের লোক।” এখানে বলা হয়েছে যে আমরা ভয়ের জন্য পিছনে ফিরে আসার লোক না। যারা এই সত্যে বিশ্বাস করে তারা ভীষন ভাবে নিযার্তিত, অবহেলিত এবং অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিন্তু স্বর্গীয় উত্তরাধিকার সূত্রে এটা কখনো আমাদের জন্য অপেক্ষা করে।
ইব্রীয় ১০:৩৪-৩৫ পদে বলা হয়েছে “কেননা তোমরা বন্দিগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছিলে, এবং আনন্দপূৰ্ব্বক আপন আপন সম্পত্তির লুট স্বীকার করিয়াছিলে, কারণ তোমরা জানতে, তোমাদের আরও উত্তম নিজ সম্পত্তি আছে, আর তাহা নিত্যস্থায়ী। অতএব তোমাদের সেই সাহস ত্যাগ করিও না, যাহা মহাপুরস্কারযুক্ত।” এটা সঠিক। আপনি এবং আমি আমার যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, আমাদের জন্য উত্তরাধিকার সূত্রে স্বর্গসুখ অপেক্ষা করছে। যারা পাপের ক্ষমা গ্রহণকরেছে ঈশ্বর তাদের স্বর্গরাজ্যের উত্তরাধিকারীর আর্শিবাদ প্রদান করেছেন।
 একারণে তিনি আমাদের বলেছিলেন তাঁর প্রতিজ্ঞায় আমাদের দৃঢ় থাকতে। বিশ্বাসে আমরা আমাদের উত্তম পুরুস্কার পেয়েছি এটা জেনে আমাদের ভয় না পেয়ে পিছনের দিকে ফিরে না আসা, কিন্তু আমাদের অবশ্যই বিশ্বাসে আরো দৃঢ় হতে হবে এবং আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ত্যাগ না করা। আমাদের অবশ্যই জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস থাকতে হবে, প্রকৃত বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত আত্মিক যুদ্ধ করে যেতে হবে, আত্মা রক্ষা ও জয় করতে হবে।
আমরা যারা পবিত্র তাদের নিশ্চিত ভাবে এই বিশ্বাস যা জল ও আত্মার তা গঠন করতে হবে। আমাদের অবশ্যই এই বিশ্বাস থাকতে হবে যে, যদিও আমরা খুবই অপূর্ণাঙ্গ, যতদিন আমরা এই পৃথিবীতে থাকব প্রতিদিন পাপ করব, তথাপি প্রভু এখনো আমাদের যোহনের দ্বারা অবগাহিত হয়ে এবং ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করে সম্পূর্ণ পাপ মুক্ত করেছে। বিশ্বাসে আমাদের দৃঢ়তা আছে এবং আমরা পৃথিবীর শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারব। আমাদের বিশ্বাসে প্রভুর সাক্ষাতে আসতে হবে, বিশ্বাসে সত্য সুসমাচার প্রচারের জন্য দৌঁড়াতে হবে এবং এ সুসমাচারের সেবা করে আমাদের জীবন যাপন করতে হবে। এই জন্য বাইবেলে বলা হয়েছে, “কেননা ধৈর্য্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে, যেন ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করিয়া প্রতিজ্ঞার ফল প্রাপ্ত হও”(ইব্রীয় ১০:৩৬ পদ)।
“কিন্তু আমার ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতুই বাঁচিবে, আর যদি সরিয়া পড়ে, তবে আমার প্রাণ তাহাতে প্রীত হইবে না। পরন্তু আমরা বিনাশের জন্য সরিয়া পড়িবার লোক নহি, বরং প্রাণের রক্ষার জন্য বিশ্বাসের লোক।” (ইব্রীয় ১০:৩৮-৩৯ পদ)। আমরা যারা জল ও আত্মার বিশ্বাসে জীবন যাপ করি, তারা অন্যদের ও তাদের পাপ মুক্ত করতে পারি। যখন এটাই বিষয়, এই বিশআবস থাকা সত্ত্বেও আমরা অন্যদের তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করতে পারি, তখন কিভাবে আমরা ভয় পেয়ে পিছনের দিকে ফিরে যাবো? যদি আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারের প্রতি দৃষ্টি না দেই তাহলে আমাদের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে এবং আমরা মৃত্যুর জলাভূমিতে পতিত হয়ে সম্পূর্ণ রূপে মৃত্যুবরণ করব। পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে এখন আমাদের তাজ হচ্ছে, বিশ্বাসে ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসরন করে ছুটে চলা, আমাদের দূর্বলতায় পতিত না হওয়া, আমরা যেখানে আছি সেখানে থাকা এবং মৃত্যুকে শেষ করা।
আমরা যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি আমরা তাদের কেউ না যারা ভয় পেয়ে পিছনে ফিরে আসে। আমরা হলাম তারা যাদের এরূপ বিশ্বাস আছে যা দ্বারা তারা অন্য লোকদের আত্মাও রক্ষা করতে পারে। আমরা যখন এরূপ লোক তখন কিভাবে আমরা কেবলমাত্র ধসে পড়ব এবং দূর্বলতার কারণে মৃত্যুবরণ করব? আমরা কখনো এরূপ করতে পারব না। যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে তারা কখনো অন্যদের মত ভয়ে পিছনে ফিরে না। এটা কোন ব্যাপার নয় যে আমি ও আপনি আমরা কতটা অপূর্ণাঙ্গ এবং দূর্বল, আমরা হলাম ধার্মিক যারা জল ও আত্মার মহৎ চুক্তির সুসমাচারে বিশ্বাস করে জীবন যাপন করি।
 আপনাকে এবং আমাকে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে আমাদের বিশ্বাস কোথা থেকে এসেছে, বিনাশের বাইরে থেকে এসেছে এবং আমরা বিশ্বাসে জীবন যাপন করছি। উৎপত্তি গত ভাবে আমরা এমন কেউ ছিলাম যারা তাদের পাপের নিমিত্ত মৃত্যুবরণ না করে পারতাম কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচার দ্বারা প্রভু আমাকে ও আপনাকে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন, আর আমরা অনন্ত পরিত্রাণ গ্রহণ করেছি।
অন্য কথায়, যেহেতু সঠিক ভাবে আমরা আমাদের দূর্বলতা, অপূর্ণাঙ্গাতা, অযোগ্যতা এবং মন্দতার ১০০ ভাগ সত্যতা জেনে আমরা বিশ্বাস শুরু করেছি তাই যখন আমরা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে, এই পাপের জগতে বিচরন করি, তখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে আমাদের সমস্ত পাপ বিশ্বাসে যীশুর উপর অর্পণ এবং তাঁর বাপ্তিস্মে এগুলো ধৌত না করা পর্যন্ত জয় লাভ করতে পারি না। এজন্য আমাদের নিশ্চিত হবার জন্য বুঝতে যে, আমরা তাদের কেউ নই যারা ভয় পেয়ে পিছনে ফেরে, এবং প্রকৃত বিশ্বাসে আমাদের জীবন যাপন করতে হবে।
 মাঝে মাঝে, আমরা নিজেদের পরিবেশ এবং অবস্থার চাপে চাপে বাধা পড়ে আমরা সম্ভাবত নানা রকম পরীক্ষা ও সমস্যার মধ্যে পতিত হই, এবং আমরা যেহেতু দূর্বল সেহেতু আমাদের জীবনের বিশ্বাসও সম্ভাবত ভেঙ্গে পড়ে, চলার শক্তি হাড়িয়ে ফেলি। কিন্তু আমরা মৃত্যুর নিমিত্ত নই। পিতরকে এটা শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল যে, তিনি তাকে বলেছিলেন, “যদি আমি তোমাকে ধৌত না করি, তবে আমার সঙ্গে তোমার কোন অংশ নেই।” যীশু পিতরের সমস্ত পাপ ধৌত করেছিলেন। পিতর তার সারা জীবনে পেমন পাপ করেছিলেন তেমনি যীশু বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং সমস্ত পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, মৃত্যু থেকে পুনরায় জীবিত হয়েছিলেন এবং এভাবে তাকে পাপমুক্ত করেছিলেন, প্রভু আপনাকে এবং আমাকেও আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং দন্ডিত হয়েছিলেন।
তিনি এরূপ না করা পর্যন্ত আপনি এবং আমি আমরা কি যীশুর সাথে কিছু করতে পারতাম? এটা কি জল ও আত্মার সুসমাচারের নিমিত্ত ছিল না, কিভাবে আমরা আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি এবং অন্যদেরকেও পাপ মুক্ত হবার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছি? জল ও আত্মার সুসমাচার না থাকলে আমরা এগুলোর কোনটিই করতে পারতাম না। এই সত্য হচ্ছে সেই শিক্ষা যা যীশু পিতরকে শিখাতে চেয়েছিলেন।
আপনি ও আমি আমরা এই শিক্ষাটা শুনেছি ও বুঝতে পেরেছি, কিন্তু আমরা কি প্রকৃত এটা বুঝেছি? আমরা কি প্রায়ই আমাদের অপূর্ণঙ্গতার কারণে আত্মাতে হতাশা অনুভব করি না? তখন কি আমরা আমাদের নিজেদের দূর্বলতায় পতিত হই কি না? কেননা আমরা দেখি যে আমরা খুবই অপূর্নাঙ্গ এবং দূর্বল; আমরা সহজেই কাটা যুক্ত প্রলোভোনের পথে পতিত হই। আপনি বোধহয় নিজের সাথে কথা বলেন, “কিভাবে আমি শেষ পর্যন্ত যীশুকে অনুসরণ করতে পারি? আমার ভাল যে এখান থেকে তাঁকে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিই! আমি নিশ্চিত যে প্রভুও চিন্তা করেন যে আমাদের জন্য গির্জা পরিত্যাগ করা উত্তম।” এটা কি যীশুর বাপ্তিস্মের সুসমাচার না যা তিনি গ্রহণ করেছিলেন, এজন্য আমরা অনন্ত ভয়ে পতিত হওয়া শেষ করেছি।
এ সত্যে বিশ্বাস করুন যে, যদিও আপনার এবং আমার অপরিহার্য মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন পছন্দ নেই তথাপি আমাদের প্রভু ইতি মধ্যেই আমাদের পাপ এবং দন্ডাজ্ঞা থেকে রেহাই দিয়েছেন। যদিও আমাদের মাংস খুবই দূর্বল এবং আমরা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করার পরেও পাপ না করে পারি না তথাপি আমাদের এখনো এসত্যতা জানতে হবে যে যীশু বাপ্তিস্ম এবং রক্ত সেচনের মাধ্যমে আমাদের অনন্ত কালীন পরিত্রাণ সম্পাদন করেছেন।
আপনি এবং আমি আমাদের বিশ্বাসে স্বীকার করতে হবে যে, “উৎপত্তিগত ভাবে আমার পাপের নিমিত্ত আমি না মরে পারি না। এটাই ঠিক। কিন্তু প্রভু কি এই পৃথিবীতে আমার জন্য এসেছিলেন না এবং বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমার সব পাপ কি তুলে নিয়েছিলেন না? যীশু কি তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমরা সব পাপ গ্রহণ করেছিলেন না? এবং তিনি কি ক্ৰুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন না? তিনি কি মৃত্যু থেকে পুনরায় জীবিত হয়েছিলেন না এবং তিনি কি এখনো জীবিত না? আমার পাপ যীশু খ্রীষ্টের উপর অর্পিত হবার পর এটা কোন বিষয় নয় যে আমি কতটা অপূর্ণাঙ্গ এবং আমার অপূর্ণাঙ্গতা কতটা প্রকাশিত হয়েছে; আমি এখনো পাপ মুক্ত। এ কারণে আমি তাদের কেউ না যারা ভয় পেয়ে পিছনে ফেরে এবং মৃত্যুবরণ করে।”এভাবে বিশ্বাস করে, এই পথে আমাদের অবশ্যই আমাদের দূর্বলতাকে এক পাশে নিক্ষেপ করতে হবে।
 আগামীকাল যদি আমরা আবার অপূর্ণাঙ্গ হই তথাপি যীশুর বাপ্তিস্মে বিশ্বাস করে যা তিনি জল ও আত্মার সুসমাচারে গ্রহণ করেছিলেন, সর্বদা আমরা আমাদের দূর্বলতা এক পাশে নিক্ষেপ করতে পারি। আমাদের বিশ্বাস দ্বারা আমাদের আত্মিক মৃত্যু এবং অভিশাপ সরিয়ে ফেলতে হবে যা আমাদের দূর্বলতা থেকে আমাদের দেখে।
 আমরা যখনই পারি তখনই আমাদের এই সত্য রোমন্থন করতে হবে, বলতে হবে, “প্রভু আমাকে পাপ মুক্ত করেছে। যীশুর উপর আমার সমস্ত পাপ অর্পিত হবার পর এখনো আমার কি পাপ আছে না কি নেই!” এরূপ বিশ্বাস করে আমরা আমাদের দূর্বলতা ও পাপ সরিয়ে ফেলতে পারি, আবারও জল ও আত্মার সুসমাচারে দৃঢ়তা অর্জন করতে পারি এবং প্রকৃত সত্যে বিশ্বাস দ্বারা আমরা যথার্থ ভাবে পাপ মুক্ত হই। এরূপেই আমরা প্রতিদিন ঈশ্বরের পিছনে ছুটতে পারি।
 
 

যীশু যখন বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন তখন সমস্ত পাপ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল

 
ভাই বোনেরা, যীশু পিতর ও তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এ বাক্যটি কেমন গুরুত্বপূর্ণ? তিনি তাদের জল ও আত্মার সুসমাচারে দৃঢ়তার সহিত দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তাদের পা ধুয়ে দিয়েছিলেন, এমনকি বিষেশ ভাবে মৃত্যুর পরও যখন তারা দূর্বলতার মধ্যে পড়েছে তিনি তাদের সাহায্য করেছেন। যদি যীশু পিতর ও অন্য শিষ্যদের পা ধুয়ে না দিতেন, তাহহে যখন যীশু ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তিন দিনপর মৃত্যু থেকে জীবত হয়েছিলেন এবং ঈশ্বরের রাজ্যে আরোহন করেছিলেন তখন কি হত? যখন শিষ্যরা প্রকাশিত হয়েছিল তখন কিভাবে তারা তাদের দূর্বলতার সমাধান করেছিল? তাদেরকে যীশু যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন তাতে বিশ্বাস দ্বারা সমস্যার সমাধান করতে হত এবং তারা যদি এরূপ বিশ্বাস না করত তাহলে তাদের জন্য দূর্বলতার সমাধান করা কঠিন হত।
 আমাদেরকে আমাদের দূর্বলতা এবং সত্যিকারে পাপ মুক্ত হতে হবে যীশুর রাজত্বকালে প্রতীয়মান নীল, বেগুনী ও লাল এবং সাদা মিহি মসীনা বস্ত্রের বিশ্বাসের মাধ্যমে। যীশু যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন তার ক্ষমতা সম্বন্ধে তিনি শিষ্যদের কিছু শিক্ষা দেননি, তাঁর শিষ্যরাও হতাশ হয়েছিল এবং আত্মিক ভাবে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাদের সুসমাচার জন্য নিজেদের সারা জীবন উৎসর্গ করার মত বিশ্বাস, অন্য আত্মাদের রক্ষা করার মত কোন প্রতিজ্ঞা ছিল না এজন্য শেষে এমনকি যারা শহীদ হয়েছিলেন তারা চুড়ান্ত ভাবে রক্ষা করতে ব্যর্থ এবং নিরাশ হয়।
কিন্তু ঐতিহ্য অনুসারে এটা বলা হয় যে, যীশুর বার জন শিষ্য সকলে সুসমাচার প্রকাশ করত এবং তারা সকলে শহীদ হয়েছিলেন। যীশুর বার জন শিষ্যের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশী সন্ধেহ প্রবন ছিল তার নাম হল থোনা। এমন কি এই থোমা ইন্ডিয়া গিয়েছিলেন এবং সেখানে শহীদ হয়েছিলেন।
তাহলে, এই বিশ্বাস কোথায় যা যীশুর সকল শিষ্যদের শহীদ হতে সক্ষম করেছিলেন? এই বিশ্বাস দৃঢ়তায় পূর্ণ যা দ্বারা যীশু বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তাদের সারা জীবনের পাপ তুলে নিয়েছিল যা দ্বারা তারা তাদের সমস্ত পাপ যীশুর উপর অর্পন করে সঠিকভাবে পরিস্কৃত হয়েছিলেন এবং তারা সম্পূর্ন রূপে ঈশ্বরের নিজের সন্তান হিসাবে গন্য হলেন এবং রাজ্যের উত্তরাধিকারী হলেন এটা মহামূল্যবান ছিল কারন তাদের বিশ্বাস ছিল যে তারা এই সুসমাচার এই জগতে ছড়িয়ে দিতে পারবে এবং যখন ঈশ্বর তাদের ডাকবেন তখন তারা তাঁর কাছে যেতে পারবেন। অন্য কথায়, ঈশ্বর যখন চান আমাদের সবাইও শহীদের মত এরূপ বিশ্বাস করতে পারি। 
যখন পিতর পিলাতের আদালতের বাইরে যীশুকে তিনবার অস্বীকার করল, তখন সে আরো তিক্ষ্ণভাবে বুঝতে পারল যীশু কি বুঝিয়েছিল যখন তিনি তাকে বলেছিলেন, “যদি আমি তোমাকে ধৌত না করি, তবে তোমার সাথে আমার কোন অংশ নেই।” যীশুর স্বর্গারোহনের পর পিতর ও যীশুর অন্যান্য শিষ্যরা বুঝতে পেরেছিল কেন যীশু তাদের পা ধৌত করেছিলেন এবং এতে বিশ্বাস করতে ও মহৎ চুক্তি জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করতে। 
আজকের খ্রীষ্টিয়ান, যদি তারা যীশুর বাপ্তিস্মের সত্য না জানে তবে তারাও বিশ্বাসের কঠোর জীবন যাপন করবে এবং অবশেষে তাঁকে বিশ্বাস করা ত্যাগ করবে। যদি আমরা নিজেদের দূর্বণতার কাছে বাঁধা থাকি, তাহলে আমাদের বিবেক এ সমস্যা সমাধান না করার জন্য কলুষিত হবে, আমরা আর গির্জায় উপস্থিত হবার যোগ্য বলে বিবেচিত হব না। তাঁর গির্জার প্রতিটি সদস্য, এমনকি আমাদের সন্তানদের জন্যও এটাই সত্য।
ভাই বোনেরা, যদি আপনারা পাপে বাঁধা থাকেন তবে কি ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপাসনা করার যোগ্য হন? আজকে যারা নতুন জন্ম গ্রহণ করেননি তারা গির্জায় যায়, তাদের পাপের জন্য অনুতাপের প্রার্থনা করে এবং ঈশ্বরের উপাসনা করে আর তারা এরূপ করে, কারণ তারা যীশুকে কেবল মাত্র একটি ধর্মরূপে বিশ্বাস করে।
কিন্তু যারা জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, যদি তারা মনে করে যে তাদের দূর্বলতার জন্য হৃদয়ে পাপ আছে এবং তারা এর কাছে বাঁধা, তারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে আসতে পারে না এবং তারা উপাসনা করতে পারে না। এরূপ হলে আমাদের যীশুর বাপ্তিস্মে শক্তিতে বিশ্বাস করে আমাদের হৃদয় পরিস্কৃত করতে হবে; বিশ্বাস করতে হবে যীশু বাপ্তিস্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ গ্রহণ করেছিলেন।
নামমাত্র খ্রীষ্টিয়ান যারা জানেনা জল ও আত্মার সত্য সুসমাচারের বিশ্বাসের পথ বরং তারা এটা অবজ্ঞা করে, এবং তারা অন্ধভাবে অনুতাপের প্রার্থনা দ্বারা তাদের পাপ মোচনের চেষ্টা করে। তাদের মত যারা জগতের ধর্ম অন্ধভাবে অনুসরণ করে তাদের ঈশ্বরের নিকট বিনীত প্রার্থনা করে ভান করে, “আমি তোমার করুনা ভিক্ষা করি, অনুগ্রহ করে আমার পাপ ক্ষমা কর এবং আমাকে এবং আমার পরিবারকে ক্ষমা কর। আমি সব কিছু করব; আমি তোমাকে আরো উপহার দেব, আমি ভাল কাজ করব; অনুগ্রহ করে আমার পাপ ক্ষমা কর,” এরূপ নাম মাত্র খ্রীষ্টিয়ান কেবলমাত্র নিজেদের তৈরি একটি ধর্ম অনুসরণ করছে।
যীশু পিতরকে বলেছিলেন “আমি কি করছি এখন তুমি বুঝবে না, কিন্তু পরে এটা তুমি জানবে। যদি আমি তোমাকে ধৌত না করি, তবে তোমার সাথে আমার কোন অংশ নেই।” যীশুর শিষ্যরা কি পরে এই লুকানো বাক্যের সত্যতা বুঝতে পেরেছিল না, তারা যীশু প্রদত্ত জল ও আত্মার সুসমাচারে নতুন জন্ম গ্রহণ করেছিল না এবং তারা এমনকি অন্যদের পাপমুক্ত করার কাজ করেছিল। যীশু যখন পিতরের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন, তখন তিনি যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ তার দৃঢ় শক্তিতে সঠিক পরিত্রাণ বপন করেননি, পিতর কখনও পালক রূপে ঈশ্বরের গির্জার কাজ সম্পূর্ণ রূপে সম্পন্ন করার যোগ্য ছিলেন না। 
জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস ছাড়া আমরা ঈশ্বরের সাক্ষাতে আসতে পারতাম না এবং পাপের কারণে তাঁর উপাসনা করতে পারতাম না, আমরা প্রতিনিয়ত যে পাপ করছি সে সব পাপের নিমিত্ত যারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে সচ্ছভাবে তাদের পাপ মোচন করেছেন তারা তাঁর গির্জায় আসতে পারে। আর তারা যেখনে থাকুক না কেন তারা বিশ্বাসে তাদের পাপ ধৌত করে। প্রভু যেমন বলেছিলেন যাদের সমস্ত শরীর পরিস্কর তাদের কেবলমাত্র পা ধোয়ার প্রয়োজন আছে, যদিও আমরা আমাদের দূর্বলতায় পাপ করে ফেলি, আমাদের মনে রাখতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে এরূপ পাপও যখন তিনি বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন তখন তাঁর উপর বর্তেছিল।
যীশু যখন বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন তখন আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর উপর বর্তেছিল (মথি ৩:১৫ পদ)। যদি আমাদের হৃদয়ের পাপ যীশুর উপর বর্তে থাকে তবে আমাদের কি পাপ আছে না কি পাপ নেই? আমাদের পাপ নেই। কারণ আমাদের পাপ একেবারে বাপ্তিস্মের মাধ্যমে যীশুর উপর বর্তেছিল, যেমন আমরা বিশ্বাসে আমাদের পাপ সকল মোচন করেছি তার কারণ আমরা পরিস্কৃত, এটা কোন বিষয় না আমরা কতটা অপূর্ণাঙ্গ, তথাপি আমরা এখনো ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধর্মযাজক। একারণে যারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে তারা খুব দ্রুত তাদের দূর্বলতা থেকে বেরিয়ে আসতে পাবে এবং বিশ্বাসে ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হতে পারে, বিশ্বাসে তাঁর কাজ করতে পারে, তাঁকে তাদের পরিত্রাণ প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে, তাঁর গৌরব প্রশংসা করে এবং অন্যদের কাছেও জল ও আত্মার সুসমাচার প্রচার করে।
“আমি কি করিতেছি এখন তুমি বুঝবে না, কিন্তু পরে এটা তুমি বুঝবে।” আপনি কি যখন প্রথমে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছিলেন তখন এ সত্য কি বুঝতে পেরেছিলেন? সম্ভাবত না। এটা জানতে পেরেছি। যদিও আমি ও আপনি আমরা প্রতিদিন পাপ করছি এবং আমাদের অপূর্ণাঙ্গতা প্রকাশিত হচ্ছে, তথাপি যীশু যেমন পিতরের পা ধুয়ে দিয়েছলেন তেমনি তিনি প্রতিদিন আমাদের পাও ধুয়ে দিচ্ছেন।
 প্রথমে, আমার আনন্দ করেছি, যখন আমরা বিশ্বাস করেছি যে, আমাদের হৃদয়ে পূর্বের পাপ এবং সম্প্রতি আমরা যে পাপ করেছি সমস্তই যীশুর উপর বর্তেছিল, কিন্তু আমরা দেখেছি কিভাবে আমাদের অপূর্ণাঙ্গতা প্রকাশিত হচ্ছে এবং পাপের ক্ষমা গ্রহণ করার পরও কিভাবে আমরা আমাদের দূর্বলতায় বাঁধা পড়ে আছি। এসময়ে আমাদের জানতে ও বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা যে সমস্ত পাপ করেছি এমন কি ভবিষ্যতে যে সব পাপ করব তা সবই সত্যি কারে আমরা যীশুর উপর অর্পণ করেছি।
তাহলে, একারণে ধার্মিক ব্যক্তি কি স্বাধীন ভাবে পাপ করে? তারা কখনো এটা করে না। রোমীয় ১:১৭ পদে বলা হয়েছে, “কিন্তু ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে।” কিন্তু লোক জল ও আত্মার সুসমাচারের বিরুদ্ধাচারণ করে অদ্ভুদভাবে বলে, “আইস মন্দ কর্ম করি, যেন উত্তম ফল ফলে” (রোমীয় ৩:৮) পদ। নতুন জন্ম প্রাপ্ত ব্যক্তি পাপের ক্ষমা গ্রহণের পর কি আরো স্বাধীনভাবে পাপ করতে পারে? একোবরেই না!
ভাই বোনেরা, যখন আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করি, তখন কি আমাদের পাপ থকে কি না? অবশ্যই আমাদের পাপ থাকে না! এমন কি যদিও আমরা অপূর্ণাঙ্গ তথাপি আমরা বিশ্বাসে কি যথার্থ না কি যথার্থ না? আমরা যথার্থ। যখন যীশু বলেছিলেন আমাদের সমস্ত শরীর পরিস্কার, এর অর্থ হল তিনি বুঝিয়েছিলেন যে, বাপ্তিস্ম, রক্ত এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে তিনি আমাদের সঠিক রূপে গঠন করেছেন।
আমরাও যীশুকে বিশ্বাস করার পর জল ও আত্মার শক্তি সম্বন্ধে জানতে পেরেছি এরূপে আমাদেরকে আমাদের প্রদিনের জীবনে জল ও আত্মার শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। যদি আমরা প্রতিদিন এই বিশ্বাস প্রয়োগ করি তাহলে আমরা সম্ভবত পরে ক্লান্ত হয়ে যাব, অদ্ভুত ভাবে বলব কতদিন আমাদের এরূপ করতে হবে। কিন্তু প্রথমে আমাদের আবার কোথায় ফিরে আসতে হবে? আমাদের বিশ্বাসে প্রভুর কাছে ফিরে আসতে হবে, যদিও মৌলিক ভাবে আমরা কেবলমাত্র আমাদের পাপের নিমিত্ত মারা গিয়েছিলেন, তথাপি প্রভু আমাদের সমস্ত পাপ তাঁর বাপ্তিস্মের দ্বারা তুলে নিয়ে, ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে এবং পুনরায় জীবিত হয়ে আমাদের পাপ মুক্ত করেছিলেন।
 স্মরণ করুন যাজকের সমাগম তাম্বুর প্রাঙ্গনে প্রতিদিন হোমবলি উৎসর্গ করতে হত এবং তাদের হাত ও পা প্রতিবার বেদি অতিক্রম করার সময় ধৌত করতে হত। তাদের মত, আমাদের প্রভুর প্রথম প্রেম স্মরণ ও রোমন্থন করতে হবে বিশ্বাসে৷ উৎপত্তিগত ভাবে আমরা মৃত্যুবরণ না করে পারতাম না কিন্তু প্রভু আমাদের পাপ তুলে নিয়েছিলেন এবং সে গুলো ধৌত করেছিলেন এবং ক্রুশে আমাদের পাপের নিমিত্ত দন্ডাজ্ঞা বহন করেছিলেন, তিনি আমাদের পাপের দন্ডাজ্ঞা বহন করে এটা শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করেছিলেন। এভাবে, প্রভু তাঁর বাপ্তিস্ম ও রক্ত দ্বারা আমাদের সঠিক ভাবে সমস্ত পাপ মুক্ত করেছিলেন এবং দন্ডাজ্ঞা বহন করেছিলেন।
প্রতিদিন আমাদের হৃদয়ে এই প্রেমের নকশা আঁকতে হবে যা আমাদের সম্পূর্ণ রূপে পাপ মুক্ত করেছে, আমরা যাদের মৃত্যু অবধারিত ছিল তারা এই বিশ্বাসে ঈশ্বরের সাক্ষাতে আসতে পেরেছি। মৃত্যু ছাড়া আমাদের অন্য কোন উপায় ছিল না, কিন্তু প্রভুর কারণে আমরা সঠিক ভাবে পাপ মুক্ত হয়েছি এবং সঠিক ভাবে ঈশ্বরের ধার্মিক সন্তান রূপে গন্য হয়েছি। ঈশ্বর যখন আমাদের এরূপ বিশ্বাস প্রদান করেছেন, তখন আমাদের কি সর্বদা এই বিশ্বাস থাকা উচিৎ নয়?
আমরা যারা এই পৃথিবীতে বাস করছি আমরা হলাম সুধু মাত্র তীর্থযাত্রীর মত কিছু সমস্যার জন্য পৃথিবীতে থাকা এবং পৃথিবী ত্যাগ করা। “তীর্থযাত্রী” শব্দের অর্থ হল ভ্রমনকারী। ভ্রমনকারী অর্থ হল যারা এক স্থান থেকে অপর স্থানে ভ্রমন করে। আমরা হলাম ভ্রমন কারী যারা অল্প সময়ের জন্য একটি স্থানে থাকি এবং তারপর আমাদের মিশন শেষ হলে আমরা অন্য স্থানে চলে যাই আমরা তীর্থযাত্রী যারা এই পৃথিবীতে কিছুদিন বাস করার পর স্বর্গরাজ্যে ফিরে যাই।আমরা পৃথিবীতে তীর্থযাত্রীর মত আমাদের জীবন যাপন করি এবং স্বর্গে চলে যাই; তখন একদা সময় থাকে যখন আমরা তাঁকে ত্যাগ করি এবং ভূমিতে পতিত হই। একটা সময় থাকে যখন আপনিও মারসিক এবং আত্মিক উভয় ভাবেই পতিত হন। একটা সময় আসে যখন আপনি কেবলমাত্র নিজেই নিজের, আপনার পরিবেশে কোন আর্দশ থাকে না অথবা আপনার পরিবেশ ভাল থাকে না, তখন আপনার মধ্যে মন্দ চিন্তায় উদ্ভব হয়।
 আমাদের মধ্যে যারা এমন, প্রভু আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় বাক্য দিয়েছেন। “তুমি এখন বুঝছ না, কিন্তু এর পরে তুমি বুঝতে পারবে।” হ্যাঁ এখন আমরা জানি। আমরা যেমন তীর্থযাত্রীর মত আমাদের জীবন যাপন করছি তখন যখনই আমাদের অপূর্ণাঙ্গতা প্রকাশিত হয়, এবং যখনই আমরা আমাদের দূর্বলতার জন্য বাঁধা পরি, আমাদের পরিবেশের ফাঁদে আটকা পরি তখনই আমাদের মনে করতে হবে যে, আমরা সম্পূর্ণভাবে যীশুর বাপ্তিস্ম ও তাঁর ক্রুশীয় রক্তে বিশ্বাস করে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি। জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে আমরা সঠিকভাবে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছি।
যখন আমরা সমাগম তাম্বুর দিকে দৃষ্টি দিই তখন আমরা আবিস্কার করতে পারি যে এটা কতটা বিশধ। যজ্ঞবেদি দ্বারা এটাই প্রতিয়মান হয় যে, পাপের বেতন হল মৃত্যু। কারণ আমরা প্রতিদিন পাপ করি, আমাদের পাপের দন্ডাজ্ঞা পেতে হত এবং পাপের নিমিত্ত মৃত্যুবরণ করতে হত। যজ্ঞবেদি দ্বারা যে সত্য প্রতীয়মান হয় তা হল যে, যীশু হোমবলি মেষরূপে এসেছিলেন, হস্তার্পণ গ্রহণ করেছিলেন এবং আমাদের পরিবর্তে মৃত্যুবরণ করেছিরেন। যজ্ঞবেদি অতিক্রম করার পর পিতলের প্রক্ষালন পাত্র দেখা যেত, যেখানে আমরা আমাদের প্রতিদিনের পাপ পরিস্কৃত করার নিমিত্ত জল ও আত্মার সুসমাচার রোমন্থন করি। জল ও আত্মার সুসমাচার হল সত্যিকারের সুসমাচার যা দ্বারা আমরা আমাদের উৎপত্তিগত ও বাস্তবিক পাপ থেকে মুক্ত হয়েছি।
 ঈশ্বর প্রদত্ত উপহার কি যীশু খ্রীষ্ট আমাদের প্রভু? এটা কি আমাদের পাপমোচন ও অনন্ত জীবন না? প্রভু আমাদের সঠিক ভাবে পাপ মোচন করেছেন। তিনি আমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পাপমুক্ত করেছেন আমরা যেকোন সময়ে আমাদের পাপের নিমিত্ত মৃত্যুবরণ করতে পারতাম। আমরা আমাদের সারা জীবনে যত পাপ করেছি তা জল ও রক্তের বিশ্বাসে ধৌত করেছি এবং বাক্যে যা দ্বারা প্রভু এমনকি আমাদের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন। কারণ প্রভু আমাদের বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে আমাদের পাপসকল ধৌত করেছিলেন এবং আমরা আমাদের সারা জীবনে যত পাপ করি সেগুলিও তাঁর উপর অর্পন করেছি, যীশু খ্রীষ্ট, আমাদের পাপ বহন করলেন, ক্রুশে দন্ডাজ্ঞা ভোগ করলেন এবং মৃত্যুবরণ করলেন, মৃত্যু থেকে জীবিত হলেন এবং এভাবে আমাদের যথার্থ ত্রাণকর্তা হলেন। যখন আমরা যীশু খ্রীষ্টকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করি তখন আমরা সম্পূর্ণ হই। আর যদিও আমাদের মাংস দূর্বল, তথাপি আমাদের যদি যথার্থ বিশ্বাস থাকে, তবে আমরা আত্মিক ভাবে জীবন যাপন করে আর্শিবাদ প্রাপ্ত হব এবং ঈশ্বরের রামে প্রবেশ করি।
 
 
আপনি কি এখন পিতরের মত না?
 
যীশু যেমন পিতরের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন তেমনি কি আপনার পাও ধুইয়ে দেননি? এটা সত্য যে যীশু প্রতিদিন আমাদের পা ধুইয়ে দিচ্ছেন। এ কারণে যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন এবং এসকল পাপের নিমিত্ত তিনি আমাদের স্থানে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এবং তিনি তিন দিন পর আবার জীবিত হয়েছিলেন। এইরূপে, তাঁর বাপ্তিস্ম, ক্রুশীয় রক্ত এবং তাঁর পুনরুত্থানের মাধ্যমে যীশু আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। আমরা সম্পূর্ণ রূপে যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করি।
 সম্পূর্ণ বিশ্বাসে আমরা ঈশ্বরের উপাসনা করি এবং সম্পূর্ণ বিশ্বাসে আমরা তাঁর কাজ করি। আমাদের কাজ যথার্থ হতে পারে না। এটা হল আমাদের বিশ্বাস যা আমাদরে সঠিক রূপে গঠন করে। এ কারণে আমাদের যীশুর শিষ্যদের মত জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাসে জীবন যাপন করতে হবে, যারা বিশ্বাস ধ্বংস করে আমরা তাদের মত নই। যদিও আমরা অপূর্ণাঙ্গ, তথাপি আমরা বিশ্বাসে চলতে পারি এবং পারতপক্ষে আমাদের আরো অধিক বিশ্বাসে চলতে হবে। “বিশ্বাসে জীবন যাপন করতে হবে।” “প্রথমে আমাদের ঈশ্বরের রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতার সন্ধান করতে হবে।” বিশ্বাসে আমরা খাঁড়া হতে পেরেছি এবং এভাবে আমরা যারা অন্যদের আত্মা পাপমুক্ত করে তাদের একজন হয়েছি, যদি আমরা ঈশ্বর প্রদত্ত পাপমুক্ত করার মিশন দ্বারা অন্যদের পাপমুক্ত করার উদেশ্যে নিজেদের উৎসর্গ না করি তাহলে আমরা ধ্বংসের জলাভূমিতে পতিত হব এবং হতাশ হব আর শেষে আমাদের পাপে মৃত্যুবরণ করব।
পাপমুক্ত ব্যক্তিরা তাঁর ধার্মিকতার কাজ করার সময় আনন্দ করে। তারা ঈশ্বরের সুসমাচার যা অন্যান্য আত্মাদের পাপ মুক্ত করে তা প্রচার করতে আনন্দ করে। কিন্তু পাপেপূর্ণ ব্যক্তিরা যা সত্য তা নিয়ে আনন্দ করে না। যারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে তারা যা করে তা তাদের আত্মিক খাদ্যের নিমিত্ত করে। সমগ্র জগতে সুসমাচার প্রচার করে অন্যান্য আত্মাদের পাপ মুক্ত হচ্ছে সঠিক কাজ, কিন্তু একই সময়ে এটা আমাদের নিজেদেরও আত্মিক খাদ্য। সঠিক কাজ করার জন্য আমাদরে হৃদয় শক্তিতে আনন্দে পূর্ণ থাকে। আমাদের শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায় ও পরিপূর্ণতা লাভ করে তেমনি আমরা সাহসী হই। তাই অব্রাহামের মত ঈশ্বরের আর্শিবাদে বাস করতে হবে এবং এই আর্শিবাদ গুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করতে হবে, আমাদের ধার্মিকতাকে প্রেম করতে হবে, প্রেম হল সত্য, এবং প্রেমের সুসমাচার প্রচার করতে হবে। যদিও আমরা পাপী, তথাপি এই ধার্মিক কাজ না করা পর্যন্ত আমাদের আত্মা মরে যাবে। যদিও আমরা তাঁর ধার্মিকতার উদ্দেশ্যে কাজ করা থামিয়ে দিই তবে আমরা আত্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করব। এই কারণে যীশু বলেছিলেন, “ধন্য যাহারা ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধিত ও তৃর্ষিত, কারণ তাহারা পরিতৃপ্ত হইবে”(মথি ৫:৬ পদ)।
যীশু আরো বলেছিলেন, “ধন্য যাহারা নির্মালান্তঃকরণ, কারণ তাহারা ঈশ্বরের দর্শন পাইবে”(মথি ৫:৮ পদ)। যাহারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেছে এবং বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর সম্পূর্ণরূপে তাদের সমস্ত পাপ ধৌত করেছে তারা ঈশ্বরের দর্শন পাবে। আর তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে; তাকে অনুসরণ করবে এবং সমগ্র পৃথিবীতে স্বর্গীয় আর্শিবাদ প্রচার করবে।
আমরা বিশ্বাসে সঠিক হয়েছি। আমাদের পাপের নিমিত্ত আমাদের মৃত্যু ছাড়া উপায় ছিলনা কিন্তু প্রভু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং আমাদের পরিবর্তে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন আর এভাবে আমাদের সঠিকরূপে পাপ মুক্ত করেছিলেন। এটাই হল সত্য এবং স্বর্গ রাজ্যের পথ। বুঝতে হবে যে এটাই বিশ্বাসের পথ। এটা ছাড়া আর অন্য কোন পথ নেই। আমরা আমাদের ভাল কাজের দ্বারা স্বর্গরামে প্রবেশ করতে পারিনা। আমাদের বুঝতে ও জানতে হবে যে ঈশ্বরে আমাদের জন্য যা। করেছেন তা দ্বারা আমরা স্বর্গে প্রবেশ করতে পারি।
সাধারনতঃ মানুষকে আমরা দু’ভাগে ভাগ করতে পারি, কেউ কেউ ভাল কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। যারা মন্দ কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় তারা সঠিক ভাবে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করেনি। ঈশ্বর আমাদের নিমিত্ত যা করেছেন তাতে বিশ্বাস করে আমরা ধার্মিকতার অস্ত্র হয়েছি কিন্তু যারা এখনো পাপের ক্ষমা গ্রহণ করতে পারেনি তারা শয়তানের অস্ত্র না হয়ে পারে না, তাদের নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী। 
এই মুহূর্তে, আমি দৃঢ়তার সাথে আপনাকে বলতে পারি যে, ঈশ্বর আমাদের যথার্থ পরিত্রাণ, বিশ্বাস এবং পাপের ক্ষমা প্রদান করেছেন। যদিও আপনি সুসমাচারে বিশ্বাস করেন তথাপি আপনার কাজ যাদি অপূর্ণাঙ্গ হয় এবং কোন প্রকারে আপনার হৃদয় এই সব দিকে ফিরে এসেছে। তাহলে এমন ভাবার প্রয়োজন নেই, ধার্মিক বিশ্বাসে জীবন যাপন করতে পারে! প্রভু কি যারা অপূর্ণাঙ্গ এবং দূর্বল তাদের সমস্ত অজ্ঞতা বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তাঁর নিজের উপর ইতি মধ্যে তুলে নেননি?
আসুন, আমি আপনাকে আমরা কতটা অপূর্ণাঙ্গ এসম্বন্ধে প্রতিদিনের একটা উদাহরণ দিই। আমরা মাঝে মাঝে এক সঙ্গে ফুটবল খেলি। যখন আমার দল গোল পোষ্টের উপর দিয়ে বল আসা নিয়ে সমস্যায় পড়ত তখন আমি প্রায়ই আমার হাত দ্বারা টস করতাম। আমি কি গোল দিব? অবশ্যই না। আমি শুধুমাত্র জিততে চেয়েছিলাম। এরূপ পরিস্থিতিতে, আমাদের সবাই, যাজক, সাধু এবং ঈশ্বরের কার্যকারী সবাই প্রতিটি জিনিস জয় করার চেষ্টা করে। আপনি সহজে যাবার কথা ভুলে গেছেন, খেলায় জেতার জন্য, আমরা সকলে অনেক রকম নিয়ম বর্হিভূত কাজ করি। খেলায় ভয়ানক যুদ্ধ হয়, প্রত্যেকে চায় জয় সব কিছু করতে পারে তাই এটা মনে হয় যে মানুষের উলঙ্গ স্বভারের প্রতিকৃতি ফুটবল খেলায় যেমন প্রকাশিত হয় অন্য কোন খেলায় তেমন হয় না। যদি আমাদের দল সমস্যায় পড়ে তাহলে আমরা নিজেদের পক্ষ সমর্থনে যে কোন কৌশল অবলম্বন করতে দ্বিধাবোধ করি না।
এই সব কিছুই আমাদের জন্য অনুমোদনীয় কিন্তু যদি অন্য দল ভুল করে তবে আমরা ফাউল বলে চিৎকার করি এবং রেফারীর কাছে হলুদ কার্ড দেখানোর জন্য আবেদন করি যদিও এটা রেফারীর অনুমোদিত নিয়মের মধ্যে পড়ে না। এই হলাম প্রকৃত আমরা আমরা সর্বদাই নিজ নিজ দলের এবং আমাদের সুবিধা চাই, এবং আমরা শুধূ মাত্র নিজেদের সুবিধা চাই। তথাপি আমাদরে মত এরূপ ব্যক্তিদের ঈশ্বর পাপ মুক্ত করেছেন। আমাদের বিশ্বাসে যদিও আমরা এখনো দোষে পূর্ণ এবং আইন অমান্য কারী তথাপি আমরা, যারা দোষ মুক্ত হয়ে নতুন জন্ম গ্রহণ করেছে তাদের এক জন হয়েছি।
প্রভু আমাদের সম্পূর্ণরূপে আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেছেন। এজন্য আমরা প্রভুকে পরিত্রাণের ঈশ্বর বলে সম্বোধন করি, এবং ঈশ্বর হলেন পরিত্রাণের প্রভু। প্রভু আমাদের পরিত্রাণের ঈশ্বর। পিতর স্বীকার করেছিলেন, “আপনি খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র”(মথি ১৬:১৬ পদ)। এবং প্রভু অপমান করেছিলেন তাঁর বিশ্বাস ঈশ্বরের আর্শিবাদ কর্তৃক প্রদত্ত। এখানে খ্রীষ্ট বাক্যটির অর্থ হল এক যিনি আমাদের পাপ তাঁর নিজ দেহে তুলে নিয়েছিলেন এবং তাদের মুছে দিয়েছিলেন যীশু খ্রীষ্ট হলেন জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র। তিনি যেমন ঈশ্বরের পুত্র তেমনই আমাদের ত্রাণকর্তা, তিনি আমাদের সঠিকরূপে পাপ মুক্ত করেছেন। সুতরাং সাহস করুন যদিও আপনি সম্ভবত মনে করেন আপনি খুবই অপূর্ণাঙ্গ এবং দূর্বল সুসমাচারের সেবা করার নিমিত্ত।
 আপনার আত্মা, হৃদয় ও শরীরের ভয় পাওয়া এবং অবনত হওয়া উচিৎ নয়; বরং তাদের বিশ্বাস এবং সাহসে শক্ত করুন ধার্মিক লোকদের মত যারা ঈশ্বর প্রদত্ত বিশ্বাস বিস্তৃত এবং বহুদুর পর্যন্ত প্রচার করেছে। আমাকে দেখুন। মাংসে আমার কিছুই নেই দেখবার মত, কিন্তু আমি কি পৃথিবীব্যাপী সুসমাচার প্রচার করছি না? আপনি ও কি এরূপ নন? চিন্তা করবেন না যে যারা সুন্দর ভাবে উপস্থিত হয়, তারা অপূর্ণাঙ্গ নয়, সত্যিই তাদের কোন মন্দতা নেই। পাপীরাই শুধু ভন্ড। ভন্ডও, আপনার মত একইরকম মানুষ এবং তাদের মাংস কিরূপে খুবই ভাল, মর্যাদাপূর্ণ এবং পরিস্কার হবে? সর্বদা মানুষের মাংসিক অপুর্ণাঙ্গতা কি? আপনাকে বুঝতে হবে যে যারা নিজের সত্যতা দেখায় বিশেষ ভাবে খ্রীষ্টিয়ান সমাজে তারা শুধুমাত্র তাদের ভন্ডতা এবং ছলনাই দেখায়।
ঈশ্বর আমাদের যথার্থ রূপে পাপ মুক্ত করেছেন। এজন্য, আমরা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাসে প্রচার করতে পারি যা আমাদের যথার্থ রূপে পাপ মুক্ত করেছে, ঈশ্বরের ধার্মিকতার এই সঠিক ক্ষমতা প্রদান করেছেন। আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই তিনি আমাদের বিশ্বাসে পাপমুক্ত হতে দিয়েছেন, জগত পত্তনের পূর্বে যে সত্য পরিত্রাণ পরিকল্পিত ছিল তার দ্বারা। ইতি মধ্যেই আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত হয়েগিয়েছে যীশু যখন বাপ্তিস্ম গ্রহণ ও ক্রুশে তাঁর রক্ত সেচন করেছিলেন তখন। আমি আশা করি আপনারা সকলে এ সত্যে বিশ্বাস করেছেন।