Search

उपदेश

বিষয় ৯: রোমীয় পুস্তক (রোমীয় পুস্তকের ভাষ্য)

[8-7] প্রভুর দ্বিতীয় আগমন এবং সহস্র বছরের রাজ্য (রোমীয় ৮:১৮-২৫)

< রোমীয় ৮:১৮-২৫ >
 “কারণ আমার মীমাংসা এই, আমাদের প্রতি যে প্রতাপ প্রকাশিত হইবে, তাহার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়। কেননা সৃষ্টির ঐকান্তিকী প্রতীক্ষা ঈশ্বরের পুত্রগণের প্রকাশ প্রাপ্তির অপেক্ষা করিতেছে। কারণ সৃষ্টি অসারতার বশীকৃত হইল, স্ব-ইচ্ছায় যে হইল, তাহা নয়, কিন্তু বশীকর্ত্তার নিমিত্ত; এই প্রত্যাশায় হইল যে, সৃষ্টি নিজেও ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্ত হইয়া ঈশ্বরের সন্তান-গণের প্রতাপের স্বাধীনতা পাইবে। কারণ আমরা জানি, সমস্ত সৃষ্টি এখন পর্য্যন্ত একসঙ্গে আর্ত্তস্বর করিতেছে, ও একসঙ্গে ব্যথা খাইতেছে। কেবল তাহা নয়; কিন্তু আত্মারূপ অগ্রিমাংশ পাইয়াছি যে আমরা, আপনারাও দত্তকপুত্রতার-আপন আপন দেহের মুক্তির—অপেক্ষা করিতে করিতে অন্তরে আর্ত্তস্বর করিতেছি। কেননা প্রত্যাশা আমরা পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইয়াছি; কিন্তু দৃষ্টিগোচর যে প্রত্যাশা, তাহা প্রত্যাশাই নয়। কেননা যে যাহা দেখে, সে তাহার প্রত্যাশা করিবে? কিন্তু আমরা যাহা দেখিতে না পাই, তাহার প্রত্যাশা যদি করি, তবে ধৈর্য্য সহকারে তাহার অপেক্ষায় থাকি।”
 
 
 যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিক হয়েছে, তারা স্বর্গীয় গৌরব লাভ করেছে। এই জন্য তারা যীশুর জল ও আত্মার সুসমাচারের সাথে সমস্ত লোকদের স্বর্গীয় গৌরবে আবৃত করতে দঃখভোগ স্বীকার করে। বিশ্বাসীরা ঈশ্বরের ধার্মিকতার সুসমাচারের জন্য তাদের নিজেদেরকে উৎসর্গ করে এবং পৃথিবীতে দুঃখভোগ করে, কারণ খ্রীষ্টের সাথে দুঃখভোগ স্বীকার করাই হল গৌরব এবং ধার্মিকতা।
 ঈশ্বরের জন্য দুঃখভোগ কি আমাদের জন্য সম্মানজনক নয়, যাকে আমরা গভীরভাবে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি? ইহা অবশ্যই; ইহা একটি গৌরবজনক দুঃখভোগ। এই কারণে যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, তারা তাঁর ধার্মিকতার জন্য দুঃখভোগ করে। আমরা এখন কার জন্য দুঃখভোগ করি? আপনি কি জগত এবং আপনার মাংসের জন্য দুঃখভোগ করেছেন? পৃথিবীর জন্য দুঃখভোগ আপনার আত্মার জন্য উত্তম-জনক কি বয়ে আনবে? ঈশ্বরের ধার্মিকতার জন্য দুঃখভোগ করুন এবং ইহাতে বিশ্বাস করুন। তাহলে ঈশ্বরের গৌরব আপনার উপরে বর্ষিত হবে।
 
 

যে উত্তরাধিকার দ্বারা ভবিষ্যতে আমরা আশীর্বাদযুক্ত

 
 আসুন আমাদের ভবিষ্যতে প্রাপ্য অধিকার সম্বন্ধে আলোচনা করি। ভবিষ্যতে আমরা যে অধিকার পাব তা হল, যীশুর সাথে নূতন আকাশ ও নূতন পৃথিবীতে আমরা রাজত্ব করতে পারব। সহস্রাব্দের রাজ্য এবং ঈশ্বরের অনন্তকালীয় রাজ্য এত মহৎ যে, তা মাপা যায় না। একমাত্র নূতন জন্ম প্রাপ্ত বিশ্বাসীগণই সে বিষয়ে জানতে পারে এবং প্রত্যাশিত এই গৌরবের অধিকারী হতে পারে। 
 
 
অতুলনীয় প্রতাপ 
 
 “কারণ আমার মীমাংসা এই, আমাদের প্রতি যে প্রতাপ প্রকাশিত হইবে, তাহার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।”
 (রোমীয় ৮:১৮) 
 পৌল বলেছেন যে, বর্তমানে বিশ্বাসীগণ যে দুঃখভোগ করছেন, ভবিষ্যতে প্রাপ্য প্রতাপের সাথে তা কোনভাবেই তুলনা করা যায় না। বর্তমানের দুঃখভোগের তুলনায় তা অনেক ব্যপক। এটা অব্যর্থ সত্য: প্রত্যাশিত প্রতাপ নিশ্চিতভাবেই আমাদের বর্তমানের দুঃখভোগের চাইতে অনেক অনেক মহোত্তর।
 
 
সৃষ্টির ঐকান্তিকী প্রতিক্ষা
 
 “কেননা সৃষ্টির ঐকান্তিকী প্রতীক্ষা ঈশ্বরের পুত্রগণের প্রকাশ প্রাপ্তির অপেক্ষা করিতেছে। কারণ সৃষ্টি অসারতার বশীকৃত হইল, স্ব-ইচ্ছায় যে হইল, তাহা নয়, কিন্তু বশীকর্ত্তার নিমিত্ত; এই প্রত্যাশায় হইল যে, সৃষ্টি নিজেও ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্ত হইয়া ঈশ্বরের সন্তান-গণের প্রতাপের স্বাধীনতা পাইবে” (রোমীয় ৮:১৯-২১)।
 ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টি পাপের পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত পওয়ার জন্য ছটফট করছে। মুক্ত হতে গেলে পৃথিবীতে ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ঈশ্বরের সন্তানগণ যেন সহস্রাব্দের রাজত্বের প্রভু হতে পারে, সমস্ত সৃষ্টি সেই উদ্দেশেও প্রতিক্ষায় রয়েছেন। আসুন ঈশ্বরের রাজ্যে ঈশ্বরের প্রতাপ পরিহিত হয়ে ঈশ্বরের পুত্রগণ তাঁর সাথে রাজতব করবেন, -সেই উদ্দেশে সমস্ত সৃষ্টি প্রতিক্ষায় আছে।
 
 
আমাদের দেহের মুক্তির প্রতীক্ষা 
 
 “কারণ আমরা জানি, সমস্ত সৃষ্টি এখন পর্য্যন্ত একসঙ্গে আর্ত্তস্বর করিতেছে, ও একসঙ্গে ব্যথা খাইতেছে। কেবল তাহা নয়; কিন্তু আত্মারূপ অগ্রিমাংশ পাইয়াছি যে আমরা, আপনারাও দত্তকপুত্রতার-আপন আপন দেহের মুক্তির-অপেক্ষা করিতে করিতে অন্তরে আর্ত্তস্বর করিতেছি। কেননা প্রত্যাশা আমরা পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইয়াছি; কিন্তু দৃষ্টিগোচর যে প্রত্যাশা, তাহা প্রত্যাশাই নয়। কেননা যে যাহা দেখে, সে তাহার প্রত্যাশা করিবে? কিন্তু আমরা যাহা দেখিতে না পাই, তাহার প্রত্যাশা যদি করি, তবে ধৈর্য্য সহকারে তাহার অপেক্ষায় থাকি” (রোমীয় ৮:২২-২৫)।
 যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তারা তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত। তারা ধৈৰ্য্য সহকারে দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে সেই দিনের অপেক্ষায় আছে, যেদিন ঈশ্বরের রাজ্য আসবে। সুসমাচারের জন্য তারা অবিরত কষ্টভোগ করছে, দুঃখভোগ করছে, দুঃখভোগের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের প্রতিক্ষা আরো ব্যকুল হয়ে উঠছে। এটাই তাদের জন্য স্বাভাবিক ব্যপার। চর্মচোখে দেখা যায় এমন প্রতিক্ষা তাদের নেই, বরং নিজেদের রূপান্তরের মাধ্যমে, বর্তমানে অদৃশ্যমান ঈশ্বরের রাজ্যের প্রতীক্ষায় তারা রয়েছে।
 মানুষ এবং বর্তমান পৃথিবীর অন্যান্য সব কিছু অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছে, পৃথিবী পরিবর্তিত হচ্ছে, প্রযুক্তি এবং বর্তমান সভ্যতা যত উন্নত হচ্ছে, ভবিষ্যতের জন্য মানুষের প্রত্যাশা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক দিকে তারা যেমন ভবিষ্যতের পৃথিবীর সুখ শান্তি প্রত্যাশা করছে,অন্য দিকে এত উন্নতি সত্ত্বেও প্রত্যাশিত বিষয়ের দীর্ঘসূত্রিতা দেখে তারা হতাশ ও উদ্বিগ্ন হচ্ছে। কম্পিউটার, বিজ্ঞানও প্রযুক্তির যুগ যত অগ্রসর হচ্ছে, মানুষের ভিতরের সুখ-শন্তি দিন দিন ততই কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ছে। 
 মানবজাতির জন্য ভবিষ্যতের কোন আশা আছে কি? দুর্ভাগ্য জনক উত্তর হল ‘না’। প্রকাশিত বাক্য অনুযায়ী এবং বিজ্ঞানীদের গবেষনা অনুযায়ী ইতিপূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে যে জলের অভাবে, ওজন স্তরের ধংস হয়ে যাওয়ার কারণে, খরা ও বনায়নের অভাবে অনেক মানুষ পিপাসা ও উত্তাপের কারণে মারা পড়বে। আপনি কি অন্তরে এই সব দুর্যোগের আসন্নতা বুঝতে পারছেন?
 আমরা কি আনন্দময় পৃথিবীতে বাস করছি? কোন কোন দিকে আনন্দময় মনে হচ্ছে। কিন্তু বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশের আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ওজন স্তর ধংস হতে থাকায় মৃত্যুজনক রশ্মি বায়ুমন্ডলের ভিতর দিয়ে বিকিরণ হচ্ছে, অতি বেগুনী রশ্মির প্রভাবে উদ্ভিদ শুকিয়ে যায় এবং মানুষের হৃদয় আরো কঠিন হয়ে যায়। মানুষ ক্রমান্বয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে, “পৃথিবীতে কি ঘটতে যাচ্ছে?” কিন্ত আমরা নূতন জন্ম প্রাপ্ত বিশ্বাসীগণ জগতের অন্য লোকদের বিপরীতে এই বিশ্বাসে আছি যে, আমরা প্রভুর সাথে পুনরুত্থিত হয়ে এক হাজার বছর তাঁর সাথে রাজত্ব করব।
 বাইবেল আমাদের বলে যে, প্রভু নিজেই আনন্দধ্বনিসহ, প্রধান দূতের রবসহ এবং তূরীবাদ্যসহ নেমে আসবেন (১ ঘিষলনীকীয় ৪:১৬)। প্রশ্ন হল “কখন” তিনি আসছেন। আমাদের প্রত্ব প্রতিমা করেছেন যে, যারা জল, রক্ত ও আহার সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তিনি তাদের নিতে আসছেন, আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।
 যারা নূতন জন্ম প্রাপ্ত তারা এই সুসমাচারে বিশ্বাস করে। “যীশুর বাপ্তিস্মের সময়ে আমার সমস্ত পাপ তাঁর উপরে অর্পিত হয়েছে, এবং আমি বিশ্বাস করি যে, আমার পাপের কারণে তিনি আমার স্থলে বিচারিত হয়েছেন।” তাঁর একজাত পুত্র যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদেরকে পরিত্রাণ দিয়েছেন। তিনি তাঁর সন্তানদের নিতে আবার আসছেন, যেন তাঁর সাথে সহস্র বছর রাজত্ব করতে পারে। বাইবেল হল টুকরো টুকরো বিচ্ছিন্ন ছবির মতো, যা তার পাঠককে একত্র করে পড়ে বুঝে নিতে হবে।
 প্রভু যীশু যখন প্রথম পৃথিবীতে এসেছিলেন, তিনি পাপীদের মন পরিবর্তনের জন্য আহবান জানিয়েছিলেন। বাপ্তিস্মের মাধ্যমে তিনি তাদের পাপ নিজের দেহ বহন করেছিলেন। এবং ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বার বিচারিত হয়ে তাদের জন্য রক্ত সেচন করেছিলেন। প্রভু, যিনি এখন স্বর্গে আছে, তিনি যখন আবার আসবেন, যারা তাঁর ধার্মিকতায় বিশ্বাস করেন তাদেরকে তিনি পুনরুত্থিত করবেন। যেন তারা তাঁর সাথে সহস্র বছর রাজত্ব করতে পারেন। 
 
 

সহস্রাব্দের রাজ্য

 
 যারা এই পৃথিবীর অন্যদেরকে সত্যি সত্যি ভালবাসে তারা ঈশ্বরের সন্তান। খ্রীষ্টের জন্য হারিয় যাওয়া আত্মাগণকে জয় করার উদ্দেশে তারাই কেবল ঈশ্বরের ধার্মিকতাপূর্ণ সুসমাচার অন্যের কাছে প্রচার করে। পৃথিবীর লোকেরা কি ঈশ্বরের সন্তানদের পুরস্কৃত করে? না।তাহলে কে করেন? যীশু যখন আবার আসবেন, নূতন জন্ম প্রাপ্তদের তিনি পুরস্কৃত করবেন, পুনরুত্থিত করে তাঁর সাথে সহস্র বছর তাদের রাজত্ব করতে দেবেন।
 আমাদের মত নূতন জন্ম প্রাপ্তদের জন্য এই সহস্রাব্দের রাজ্য। প্রভু যখন আসবেন এই বর্তমান পৃথিবী যখন বিলীন হয়ে যাবে, আমরা এক নূতন পৃথিবীতে বাস করব। সেখানেই প্রভু যতদিন খুশী শান্তিতে এবং আনন্দে তাঁর সাথে আমাদের রাজত্ব করতে দেবেন। 
 রোমীয় ৮:২৩ পদে পৌল বলে, “কেবল তাহা নয়; কিন্তু আত্মারূপ অগ্রিমাংশ পাইয়াছি যে আমরা, আপনারাও দত্তকপুত্রতার-আপন আপন দেহের মুক্তির-অপেক্ষা করিতে করিতে অন্তরে আর্ত্তস্বর করিতেছি।” আপনি কি সেই দিনের অপেক্ষায় আছেন? আমাদের যাদের অন্তরে আত্মারূপ অগ্রিমাংশ আর্ত্তস্বর করছেন, আমরা এই দেহের রূপান্তরের জন্য ব্যকুলভাবে প্রতিক্ষায় আছি, ঈশ্বর বলেন যে, তিনি আমাদের পুনরুত্থিত করবেন, আমাদের দেহকে রূপান্তরিত করবেন এবং তাঁর সাথে আমাদের বাস করতে দেবেন। আমরা যারা নূতন জন্ম পেয়ে ধার্মিক হয়েছি, পবিত্র আত্মার মাধ্যমে আমরা তাঁর দ্বিতীয় আগমনের প্রত্যাশা ও প্রতিক্ষা করছি। 
 আমাদের অন্তরে আমরা আর্ত্তস্বর করছি। পৃথিবীতে কি ঘটতে যাচ্ছে আমরা নূতন জন্মপ্রাপ্ত বিশ্বাসীগণ তা জানি। জ্যোতিষীরা যে সমস্ত ভবিষ্যতবাণী করে তা মূল্যহীন। কিন্তু আমরা নূতন জন্ম প্রাপ্ত বিশ্বাসীরা পৃথিবীর ভবিষ্যত যথার্থভাবে জানি। আমরা যা বলছি পৃথিবীতে যদি হুবহু সেই ঘটনা ঘটে, কেউই এখন আমাদের বিশ্বাস করবে না। কিন্তু যারা ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করে, তারা কোন প্রকার অহংকার ছাড়াই প্রতিক্ষায় রয়েছে। এমনকি ঈশ্বরের বাক্যে অশ্রদ্ধাকারীরা যদি তাদের বিদ্রুপও করে তবুও তারা সেই প্রত্যাশা নিয়ে বেঁচে থাকে।
 সুতরাং যারা বিশ্বাস করে না, পৃথিবী ধংস হওয়ার পূর্বেই। তাদেরকে অবশ্যই পরিত্রাণ লাভ করতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, যীশু তাঁর বাপ্তিস্মে মাধ্যমে নিজ দেহে আমাদের সমস্ত পাপ বহন করেছেন এবং আমাদের স্থলে ক্রুশে বিচারিত হয়েছেন। শুধুমাত্র তখনই সেই শেষদিনে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারব। তখনই আমরা পুরস্কৃত হব এবং অনন্তকালের জন্য তাঁর রাজ্যে বাস করব। 
 আপনি কি দুঃখিত? আপনি কি উদ্বিগ্ন? অথবা আপনি কি আপনার জীব সম্পর্কে সন্তুষ্ট? মৃত্যুর পূর্বে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে যে, প্রভু যীশু কিভাবে আমাদের ত্রাণকর্তা হয়েছেন। স্বর্গীয় জীবনের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে। এই পৃথিবীই শেষ কথা নয়, কিন্তু স্বর্গীয় জীবনের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে। এটাই জ্ঞানীদের কাজ। দিনের পর দিন আপনি কি আনন্দে বেঁচে আছে? যদি তাই হয়, আপনি একজন মুর্খ। যারা উত্তম জীবনের অর্থাৎ স্বর্গপুরীর প্রত্যাশায় থাকে, অর্থাৎ যারা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করে; অর্থাৎ পাষানে ঘর বাঁধে, তারা জ্ঞানী। 
 
 

সহস্রাব্দের রাজ্যের বিষয়

 
 ঈশ্বর তাঁর প্রতিমূর্ত্তিতে আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনি চান যেন অনন্তকাল, আমরা তাঁর সাথে থাকি। এই জন্য প্রভু পৃথিবীতে এসেছিলেন, বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং পাপ থেকে আমাদের মুক্তির জন্য ক্রুশে রক্ত সেচন করেছিলেন। যারা ঈশ্বরের ধার্মিকতায় বিশ্বাস করে, তারা প্রভুর সাথে থাকে এবং এইজন্য প্রভু তাদের পুরস্কৃত করবেন। আমাদের প্রভু আমাদের সমস্ত চোখের জল মুছে দেবেন এবং আমাদের এই দুঃখভোগ এবং নিঃস্বতার জন্য তিনি আমাদেরকে পুরস্কৃত করবেন।
 ঈশ্বর সমস্ত কিছুই নবায়ন করেন। তিনি এমন এক নূতন পৃথিবা সৃষ্টি করবেন, যেখানে স্তন্যপায়ী শিশু বিষধর সাপের গর্তের উপর খেলা করবে কিন্তু সাপ তাকে দংশন করবে না (যিশাইয় ১১:৮)। যেদিন আমরা মানবীয় চোখে দেখতে পাচ্ছি না, তীব্র আকাঙ্খ নিয়ে বিশ্বাস এবং ধৈৰ্য্য সহকারে আমাদের সেই দিনের অপেক্ষা করতে হবে। যদি আমরা বলি যে, আমরা দৃশ্যমান বিষয় প্রত্যাশা করি তাহলে আমরা মুর্খ। অপর পক্ষে, ঈশ্বরের বাক্য অনুযায়ী যদি আমরা সেই অদৃশ্যমান দিনের অপেক্ষা করি, তাহলে আমরা জ্ঞানী। পরিত্রাণ পাওয়ার পরে, যা আমরা চোখে দেখতে পাই না, নিশ্চিতভাবে আমরা সেই আসন্ন প্রতাপের প্রতীক্ষা করি।
 আমাদের চেয়ে ঈশ্বর নিজে আরো বেশী আর্ত্তস্বর করেন, কিন্তু তার পরেও আমাদের তাঁর অপেক্ষায় থাকতে হবে। আমরা একান্তভাবে প্রতীক্ষায় আছি যে, আমাদের এই মরদেহ আত্মিক দেহে রূপান্তর হবে এবং উপযুক্ত সময়ে আমরা রাজত্ব করব। আমাদের অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা আমাদের কি বলেন? কেন তিনি আমাদের প্রতীক্ষারত রেখেছেন? সহস্রাব্দের রাজত্বের জন্য তিনি আমাদের প্রতিক্ষায় রেখেছেন। প্রভু আমাদের দেহ ও জীবনকে রূপান্তর করার প্রতীক্ষায় আছেন। ঈশ্বরের সাথে এক হাজার বছর রাজত্ব করার জন্য আমরা প্রতীক্ষায় আছি।
 হাল্লিলূয়া ! আমরা প্রভুর ধন্যবাদ করি।
 স্বর্গরাজ্য লাভের প্রত্যাশা ও বিশ্বাসে খ্রীষ্টিয়ানগণ বেঁচে থাকেন। এই প্রত্যাশা আমাদের আবেগ নির্ভর নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য নির্ভর, যিনি মিথ্যা বলেন না।