Search

ခရစ်ယာန်ယုံကြည်မှုနှင့်ပတ်သက်သောမေးခွန်းများ

ဘာသာ ၂ - သန့်ရှင်းသောဝိညာဥ်တော်

2-3. আমার পিতামাতা উভয়ই জোর দিয়ে বলতেন যে, তাদের বিবাহের পূর্বে তারা নূতন জন্ম প্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ান ছিলেন। অতিরিক্তভাবে, আমি জন্ম থেকেই ধার্মিক জীবনে চালিত হচ্ছি। আমি চিন্তা করি যে, আমার জন্ম থেকেই পবিত্র আত্মা আমার মধ্যে ছিল। যাহোক, আমি খুব বিহব্বল হচ্ছিলাম কারণ আমার বাইবেল বর্ণিত অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নাই। পবিত্র আত্মা কি বাস্তবিক কোন ব্যক্তির উপরে আসে যদি সে কেবল জল ও আত্মায় নূতন জন্ম প্রাপ্ত হয়?

হ্যাঁ, এটা সত্য। পবিত্র আত্মা গ্রহণের জন্য জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা প্রত্যেকেরই তাঁর পাপের ক্ষমা পাওয়ার প্রয়োজন। বাইবেল আমাদিগকে বলে যে, “জল” পরিত্রাণের প্রতিরূপ (১ পিতর ৩:২১)। এখানে যোহনের থেকে যীশু জলে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন (মথি ৩:১৫)।
সর্ব প্রথমে, পবিত্র আত্মা গ্রহণের নিমিত্তে প্রত্যেকেরই যীশুর বাপ্তিস্মের অর্থ জেনে তাঁর সমস্ত পাপের ক্ষমা পাওয়া প্রয়োজন। গালাতীয় ৩:২৭ পদে আছে, “কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ।”এখানে “যীশুর বাপ্তাইজিত হওয়া”-আমাদের জলে বাপ্তিস্মস্ম নির্দেশ করে না, কিন্তু যোহনের দ্বারা যীশুর বাপ্তিস্মের কারণ বোঝা ও বিশ্বাস করার দ্বারা পাপের ক্ষমা গ্রহণ করা যায়।
প্রত্যেকেই পাপ পূর্ণ দেহে জন্মগ্রহণ করে। রোমীয় ৫:১২ পদে আছে, “অতএব যেমন এক মনুষ্য দ্বারা পাপ, ও পাপ দ্বার মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল, আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই পাপ করিল।” এই পৃথিবীর সমস্ত লোক জন্ম সূত্রে পাপী, আদম হব থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পাপ।
সে কারণে গীতসংহিতা ৫১:৫ পদে লিখিত আছে, “দেখ অপরাধে আমার জন্ম হইয়াছে, পাপে আমার মাতা আমাকে গর্ভে ধারণ করিয়াছিলেন।” যিশাইয় ১:৪ পদে লিখিত আছে, “আর পাপষ্ঠ জাতি, অপরাধে ভারগ্রস্ত লোক, দুস্কর্মকারীদের বংশ, নষ্টামী সন্তানগণ, তাহারা প্রভুকে ত্যাগ করিয়াছে, ইস্রায়েলের পবিত্রতমকে অবজ্ঞা করিয়াছে, বিপথে গিয়াছে, পরাঙ্খ হইয়াছে।” তাদের জন্মদিন থেকেই লোকেদের মধ্যে পাপের বীজ রোপিত হয়েছে। এই জগতের সমস্ত লোক তাদের পিতামাতাঁর পাপ উত্তরাধিকারসূত্রে পাচ্ছে এবং এই পৃথিবীতে পাপরূপেই জন্মগ্রহণ করছে। অন্যদিকে, আমাদের মাংস আমাদের জীবনকাল ব্যাপিয়া পাপের ফল বহন করতে বাধ্য হচ্ছে। 
কেননা চিন্তার বিষয় এই যে যদি কারো পিতামাতা দৈহিকভাবে নূতন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ানরূপে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তবে তাদের সন্তানগণ পবিত্র আত্মা গ্রহণ করবে; অমিশ্রিত সহজে সন্দেহ করে না এমন কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাস। এই প্রকার বিশ্বাসে তাঁর নিজের চিন্তাভাবনার মাধ্যমে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে চেষ্টা করে এবং অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা এই প্রকার বিশ্বাসের দ্বারা পবিত্র আত্মার আবির্ভাব ঘটতে পারে না।
অতএব প্রত্যেকের জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা উচিত যা যীশু আমাদিগকে দিয়েছেন। এই হল পবিত্র আত্মা গ্রহণের কারণ, কারণ তিনি ঈশ্বরের দান। যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের অদ্বিতীয় পুত্র, যোহনের দ্বারা বাপ্তাইজিত হয়ে জগতের সমস্ত পাপভার তুলে নিয়েছেন, তাঁরপর বিচারিত হয়ে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে সকল বিশ্বাসীকে সত্য ধার্মিক তৈরী করেন। এই হল মানবজাতির ঈশ্বরের পরিকল্পনা এবং তিনি আমাদের অন্তরে বাসাকারী পবিত্র আত্মা দিয়েছেন, যাদের এটাতে তাঁর ইচ্ছানুসারে বিশ্বাস আছে।
এই পৃথিবীর প্রত্যেকে তাঁর নিজের পাপ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে কারণে সে পবিত্র আত্মা দানস্বরূপ গ্রহণ করতে পারে যদি সে পাপের ক্ষমা গ্রহণ করে এবং জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করে পবিত্র হয়। অতএব প্রত্যেকেরই এটা মনে রাখা ও বিশ্বাস করা উচিত যে পবিত্র আত্মা কেবল তখন তাঁর উপরে নেমে আসেন যখন সে জল ও আত্মায় নূতন জন্মপ্রাপ্ত হয়।
তিনি কোন প্রকার শর্ত বা আমাদের তৈরী কাজের উপর নির্ভর করে আমাদিগের উপরে আসেন না কিন্তু তাঁর অন্তরে বাস করা সম্পূর্ণরূপে কারো প্রতিজ্ঞা ও বিশ্বস্ততাঁর উপরে হয়ে থাকে। অন্যদিকে, তিনি কোন মানবিক অথবা আধ্যাত্মিক কার্য্য সম্পাদন অনুসারে বাস করতে আসেন না। অন্তরে বাসকারা পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে বিশ্বাস দ্বারা গ্রহণ করতে পারা যায়।
তাঁর ইচ্ছাতেই যীশু খ্রীষ্ট প্রেরিত হয়েছিলেন, সমস্ত মানব জাতিকে পৃথিবীর সমস্ত পাপ থেকে রক্ষার জন্য তাঁর একমাত্র ও অদ্বিতীয় পুত্র এই জগতে এসে যোহনের দ্বারা তিনি বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন, এবং ক্রুশে মরেছিলেন, এভাবেই বিশাসীদের অন্তরে পবিত্র আত্মাকে বাস করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাঁর ইচ্ছা মান্য করে জল ও আত্মারসুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা ধার্মিকগণ তাদের পাপ থেকে ক্ষমা পেয়ে অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে পারে।
অতএব বিশ্বাসে একজন পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছে কারণ তাঁর ছিল নূতন জন্ম প্রাপ্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন পিতামাতাঁর জন্মপ্রাপ্ত সন্দেহ করে না এমন বিশ্বাস। ঈশ্বরের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করে ঠিক যেন নিজের ইচ্ছানুসারে পবিত্র আত্মা গ্রহণের চেষ্টা করা। কিন্তু জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই যদি কেউ অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মা গ্রহণ করতে আকাঙ্খা করে।