Search

خطبات

বিষয় ১১: আবাস

[16-2] সপ্তবাটি ঢালার পূর্বে আপনাকে যা করতে হবে (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১-২১)

সপ্তবাটি ঢালার পূর্বে আপনাকে যা করতে হবে
< প্রকাশিত বাক্য ১৬:১-২১>
 
সপ্তবাটির মারীর প্রথম মারী হল, দুই ক্ষত, দ্বিতীয় মারী: সমুদ্র রক্তে পরিনত হওয়া এবং তৃতীয় মারী হল পরিস্কার জল রক্তে পরিণত হওয়া৷ চতুর্থ মারীতে লোকেরা সূর্যের তাপে পুড়ে মৃত্যুবরণ করবে৷
মূল অনুচ্ছেদ আমাদেরকে বলে, “পরে চতুর্থ দূত সূর্য্যের উপরে আপন বাটি ঢালিলেন; তাহাতে অগ্নি দ্বারা মনুষ্যদিগকে তাপিত করিবার ক্ষমতা তাহাকে দত্ত হইল। তখন মনুষ্যেরা মহা উত্তাপে তাপিত হইল,”৷ এটা আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর সূর্যকে পৃথিবীর অতি নিকটে নিয়ে আসবেন এবং পৃথিবীর জীবন্ত রূপটাকে পুড়িয়ে ধ্বংস করবেন৷ ঈশ্বর যখন এই ঘটনা ঘটতে অনুমতি দেবেন, তখন কেউই এই সূর্যের তাপ থেকে তাপিত হওয়া থেকে বাদ পড়বে না; এমনকি যদি কেউ অতি গভীর গুহা খনন করে সেখানে লুকায়, সেও রক্ষা পাবে না৷ কিম্বা এই মারীর নিমিত্ত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুত করলেও তারা ঈশ্বরের মারী রোধ করতে সক্ষম হবে না৷ তাদের সকলের মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না৷ 
আমরা কেবল কল্পনা করতে পারি যে, যখন শেষ সময়ের মারী আসবে, তখন তাদের প্রতি কি ঘটবে যাদের চামড়া উঠে যাবে, তাদের ভিতরের মাংস আক্ষরিক অর্থে রান্না করা মাংসের মত লাল হয়ে যাবে, তুলতুলে হবে এবং পঁচে যাবে৷ তখন প্রত্যেকে স্কিন ক্যান্সারে মারা যাবে৷
আর এমনকি সূর্যের উত্তাপে পুড়ে মরে গেলেও, তারা তাদের পাপের জন্য অনুতপ্ত হবে না৷ সদাপ্রভুর মারী বিশ্বাস করবে, কিন্তু তারা এমন লোক যে, তারা এই মারী সহ্য করবে তথাপি অনুতাপ করতে অস্বীকার করবে৷
তারা যেমনিভাবে অনুতাপ করতে অস্বীকার করবে, তেমনি ঈশ্বরের মারীও অবিরত চলতে থাকবে৷
মূল অনুচ্ছেদ বলে, “পরে পঞ্চম দূত সেই পশুর সিংহাসনের উপরে আপন বাটি ঢালিলেন; তাহাতে তাহার রাজ্য অন্ধকারময় হইল, এবং লোকেরা বেদনা প্রযুক্ত আপন আপন জিহ্বা চর্ব্বণ করিতে লাগিল; এবং আপনাদের বেদনা ও ক্ষত প্রযুক্ত স্বর্গের ঈশ্বরের নিন্দা করিল; আপন আপন ক্রিয়া হইতে মন ফিরাইল না।” যখন আমরা আজকের পৃথিবীর দিকে তাকাই, আমরা কি দেখিনা যে, অগণিত লোক রয়েছে যাদের এখনই ঈশ্বর কর্ত্তৃক বিচারিত হওয়া উচিত? কিন্তু যেহেতু ঈশ্বর ধৈর্য্য সহকারে তাঁর ক্রোধ সম্বরণ করেছেন, তাই তারা এখনই বিচারিত হচ্ছে না৷ যাহোক, যদি তারা যীশুর দেওয়া জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস না করে মৃত্যুবরণ করে, তবে তারা ঈশ্বর কর্ত্তৃক তাদের অবিনশ্বর দেহে পুনরায় জীবন ফিরিয়ে আনবেন এবং তারা অনন্তকাল প্রজ্বলিত নরকে যাতনাভোগের সম্মুখীন হবে৷
যখন এই সমস্ত ঘটবে, তখন তাদের যাতনা এত ভয়াবহ হবে যে, তারা তা সহ্য না করতে পেরে মরতে চাইবে৷ কিন্তু নরকের যাতনা অনন্তকাল স্থায়ী৷ তখন ঈশ্বর কর্ত্তৃক তাদের বিচারের সময় আসবে, তখন তারা মরতে চাইবে, কিন্তু মৃত্যু তাদের থেকে পলায়ন করবে, আর বিচারের নিমিত্ত ঈশ্বর তাদের মৃত্যু প্রতিরোধ করবেন যাতে অনন্তকাল তাদের বিচার করতে পারেন৷
ষষ্ঠ মারী হল হরমাগিদোনের যুদ্ধ৷ আর সপ্তম মারী হল মহা ভূমিকম্প এবং শিলা বৃষ্টির চূড়ান্ত এবং শেষ মারী৷
১৭-২১ পদ আমাদেরকে বলে, “পরে সপ্তম দূত আকাশের উপরে আপন বাটি ঢালিলেন, তাহাতে মন্দিরের মধ্য হইতে, সিংহাসন হইতে, এই মহাবাণী বাহির হইল, ‘হইয়াছে’। আর বিদ্যুৎ ও শব্দ ও মেঘধ্বনি হইল, এবং এক মহাভূমিকম্প হইল, পৃথিবীতে মনুষ্যের উৎপত্তিকাল অবধি যেমন কখনও হয় নাই, এমন প্রচণ্ড মহাভূমিকম্প হইল। তাহাতে মহানগরী তিন ভাগে বিভক্ত হইল, এবং জাতিগণের নগর সকল পতিত হইল; এবং মহতী বাবিলকে ঈশ্বরের সাক্ষাতে স্মরণ করা গেল, যেন ঈশ্বরের ক্রোধের রোষমদিরাতে পূর্ণ পানপাত্র তাহাকে দেওয়া যায়। আর প্রত্যেক দ্বীপ পলায়ন করিল, ও পর্ব্বতগণকে আর পাওয়া গেল না। আর আকাশ হইতে মনুষ্যদের উপরে বৃহৎ বৃহৎ শিলাবর্ষণ হইল, তাহার এক একটী এক এক তালন্ত পরিমিত; এই শিলা-বৃষ্টিরূপ আঘাত প্রযুক্ত মনুষ্যেরা ঈশ্বরের নিন্দা করিল; কারণ সেই আঘাত অতিশয় ভারী।”
উপরোক্ত অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে বলে যে, ঈশ্বর যে সপ্তবাটির মারী ঢালবেন তাতে একটা মহাভূমিকম্প এই গৃহে আঘাত হানবে, সম্পূর্ণ পৃথিবী তিন ভাগে বিভক্ত হবে, আর এই পৃথিবীর উপরে দাঁড়িয়ে থাকা বিল্ডিংগুলোর পতন আনীত হবে এবং সেগুলোতে বসবাসরত একজনও অক্ষত থাকবে না৷ এই পৃথিবীর উপর ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর ক্রোধ প্রযুক্ত সমস্ত দ্বীপ ও পর্বতমালা পলায়ন করবে৷
এটা যখন ঘটবে তখন হিমালয় পর্বতমালা কি দাঁড়িয়ে থাকবে? অবশ্যই না! জীবিতদের চোখের সামনেই সমস্ত উচ্চ পর্বতমালা পলায়ন করবে৷ সমস্ত পর্বতমালাগুলি স্বাভাবিকভাবে লুপ্ত হবে এবং আর পাওয়া যাবে না৷ অনুচ্ছেদটি আমাদেরকে আরো বলে যে, এই পৃথিবীতে অজস্র শিলা বর্ষণ হবে, যার প্রত্যেকটির ওজন ১০০ পাউন্ডের (৪৫ কেজি) মত৷ এমন কেউ কি থাকবে যে, এই ভূমিকম্প ও শিলাবৃষ্টির মধ্যে বেঁচে থাকতে পারবে? 
প্রকাশিত বাক্য ১৮ অধ্যায় আমাদেরকে বলে যে, যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে নি, এবং যারা তাঁর বাক্য অগ্রাহ্য করেছে, তিনি তাদের উপরে তাঁর ক্রোধ আনয়ন করবেন৷ এই পৃথিবীর কিছু লোক দাবি করে যে, যদি তারা ঈশ্বরের ন্যায় হত, “আমি কখনই ঈশ্বরের ক্রোধের অধীনে কিম্বা কখনই তাঁর দ্বারা বিচারিত হব না৷” যাহোক, যারা নিজেদের গর্ব বা ঔদ্ধত্যপূর্ণ এই প্রকার লোকেদের উপরে ঈশ্বরের বিচার আনীত হবে৷ আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, যখন এই পৃথিবী ঈশ্বর কর্ত্তৃক সপ্তবাটির মারীর দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হবে, তখন এই পৃথিবী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷
 
 

ঈশ্বরের বাক্যে আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে

 
ঈশ্বর আমাদেরকে বলেন যে, তিনি এই পৃথিবী নিশ্চিহ্ন করবেন৷ এই পৃথিবী অনন্তকালস্থায়ী হবে না৷ এইরূপে যারা এই পৃথিবীর শেষের নিকটবর্তী হচ্ছে তাদেরকে অবশ্যই এই সত্যে আরো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে এবং তাদের আত্মিক বিশ্বাস অবলম্বন করে চলতে হবে৷ অতএব, এই পৃথিবীর সকল লোককে অবশ্যই তাদের আত্মিক ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে৷ আমি জানি না এতদিন যাবৎ আপনি আপনার জীবনে কি প্রকারের বিশ্বাস ধারণ করেছেন, কিন্তু শেষ সময়ে যা কিছু হতে চলেছে সে সম্পর্কে আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ও জেগে উঠার এবং বিশ্বাস করার এখনই সময়৷ আপনার অবশ্যই প্রকাশিত বাক্যে বলা মারী সমূহের সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে৷
আমাদের প্রভু আমাদেরকে বলেন যে, শীঘ্রই এই পৃথিবী ঈশ্বরের সপ্তবাটির মারীর আঘাতে নিমজ্জিত হবে৷ এইরূপে, লোকেরা সুসমাচার গ্রহণ না করলেও আমাদের অবশ্যই সুসমাচার প্রচার করা অবস্থায় প্রভুর জন্য প্রতীক্ষা করতে হবে৷
এই পৃথিবীর অদৃষ্ট বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ৷ যুদ্ধের হুমকি থেকে বিপজ্জনক অবস্থায়, পরিবেশ বিপর্যয়, সামাজিক দন্ধ্বের বৃদ্ধি, সকল প্রকার রোগ ও সকল প্রকার বিপদের বর্তমান যুগ নোহের সময়ের ন্যায়৷ যদি বর্তমান সময় নোহের সময়ের মত হয়, তাহলে এর অর্থ হল, এই পৃথিবী বর্তমানে এর অন্তিম দিনগুলিতে প্রবেশ করেছে৷ শেষকালের চিহ্ন হল, লোকেরা কেবল মাংসিক বিষয়ে আসক্ত হয়ে পড়বে, যেমন ভোজন পান, বিবাহ এবং অন্যান্য গৌন বিষয়গুলোতে৷ অতএব, তারা ঈশ্বর কর্ত্তৃক বিচারিত হওয়ার যোগ্য৷ নোহের সময়েও এইরূপে নোহ তাদেরকে যা বলেছিল তা তারা শুনছিল না, আর তাই কেবল নোহ ও তার পরিবারের আট জন বাদে তারা সকলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ পৃথিবীতেও এইরূপ হওয়ার সময় আসবে৷
বাইবেলে ঈশ্বরের সে সমস্ত প্রতিজ্ঞা লিপিবদ্ধ রয়েছে, তার সমস্ত কিছুই তিনি সাধন করেছেন৷ এগুলোর ৫ ভাগ প্রতিজ্ঞা সাধিত হতে এখনও বাকি আছে, কিন্তু বাকি সবগুলো ইতিমধ্যে পূর্ণরূপে সাধিত হয়ে গিয়েছে৷ প্রভু কর্ত্তৃক প্রতিজ্ঞাত পাপমোচন ও পরিত্রাণের বাক্যেরও তিনি পূর্ণতা সাধন করেছেন৷ ঈশ্বরের বাক্যে আছে যে কেবল তাদের জন্যই বিচার সঞ্চিত আছে যারা জল ও আত্মার সুসমাচার বিশ্বাস করে না৷ সহস্র বছরের রাজ্য এবং নুতন আকাশ ও নুতন পৃথিবী, যেখানে ধার্মিকগণ প্রবেশ ও বাস করবে, সেটা কেবল নুতন জন্ম প্রাপ্ত সাধুগণের নিমিত্ত প্রতীক্ষা করছে৷
ঈশ্বর দয়ালু, আর তিনি ধার্মিকগণের পক্ষে দাঁড়ান৷ যাহোক, যারা ঈশ্বরের ক্রোধের যোগ্য, তিনি অবশ্যম্ভাবীভাবে তাদের উপরে তাঁর ক্রোধ আনয়ন করবেন, অপরদিকে যারা তাঁর অনুগ্রহের যোগ্য তাদেরকে তিনি তাঁর অনুগ্রহ দান করবেন৷
কখন এই মারী ঘটবে? সাধুগণের সাক্ষ্যমরের মৃত্যুর পরেই সপ্তবাটির মারী আসবে, আর তা ৬৬৬ সংখ্যার চিহ্নরূপে পৃথিবীতে প্রবেশ করবে এবং সাধুগণও এর বিরোধিতা করবে৷ মারীর পরে প্রথম পুনরুত্থানের সহস্রাব্দের রাজ্য এবং মহাশুভ্র সিংহাসনে বসে যীশুর শেষ বিচারের সময় আসবে৷ অনন্ত স্বর্গরাজ্য খুলে দেওয়ার দ্বারাই এগুলো ঘটবে৷ বাইবেলের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে অবশ্যই ঈশ্বরের দুরদর্শিতার জ্ঞান অর্জন করতে হবে৷
যীশু যে মৃত্যু থেকে পুনরায় উঠেছেন, এটা কি আপনি বিশ্বাস করেন? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, প্রভু তাঁর বাপ্তিস্মের এবং তাঁর রক্তের দ্বারা মানবজাতির সমস্ত পাপ মুছে দিয়েছেন? আমাদের প্রভু তাঁর জল ও রক্ত, তিন দিনের মধ্যে মৃত্যু থেকে উত্থানের দ্বারা আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিয়েছেন, এবং এখন পিতার সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট রয়েছেন৷ যারা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করে তাদের পাপ এইরূপে স্পষ্টভাবে মুছে গেছে, আর খ্রীষ্ট যেমনভাবে মৃত্যু থেকে পুনরায় উঠেছেন, তারাও তেমনি পুনরুত্থিত হবে৷
যেহেতু এই পৃথিবীতে থাকাকালীন সাধুগণ প্রভুর নিমিত্ত অনেক যাতনার সম্মুখীন, তাই তারা প্রভুর সাথে গৌরাবন্বিত হবে৷ কিন্তু তাদের জন্য প্রতিক্ষিত গৌরবের তুলনায় বর্তমান সময়ের এই যাতনা কিছুই না, যেহেতু এই গৌরব এমন বিষয় যা কেবল নুতন জন্ম প্রাপ্তদের জন্য প্রতীক্ষা করছে৷ অতএব, সাধুগণের ভবিষ্যতের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই৷ বিশ্বাসের সাথে সুসমাচারের নিমিত্ত জীবনযাপন করতে হবে৷ আমরা অবশ্যই নিজেদেরকে আত্মরক্ষার কাজে উত্সর্গ করব ও পৃথিবীকে অনুসরণ করব না৷
 
 

আসুন আমাদের বাকি জীবনটা ঈশ্বরের কাছে উত্সর্গ করি

 
আমি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হই এই ভেবে যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ থাকবে যারা সুসমাচারের বিরোধিতা করবে৷ আমি উদ্বিগ্ন যে, আমাদের মধ্যে হয়ত কেউ কেউ জল ও আত্মার সুসমাচার অস্বীকার করবে৷ যে কেউ জল ও আত্মার সুসমাচার অস্বীকার করবে, শেষ সময়ে প্রভু নিজে তাকে অস্বীকার করবেন৷ যদিও আমরা দুর্বল, তথাপি আমরা যদি প্রভু কর্ত্তৃক সাধিত জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করি, তাহলে আমরা সকলে বিশ্বাসের দ্বারা জীবনযাপনে সক্ষম হব৷
আমাদের প্রভু কেন মানবজাতিকে ৬৬৬ চিহ্ন ধারণ করতে অনুমোদন করবেন? শস্য থেকে তুষ পৃথক করতে তিনি তা করবেন৷ সাধুগণের রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বে যে কাজটি স্পষ্টভাবে অবশ্যই করবেন তা হল, তিনি শস্য থেকে তুষ আলাদা করবেন৷ 
সাধুগণ কর্ত্তৃক আত্মিক যুদ্ধ সাধিত হবে৷ এইরূপে সাধুগণ অবশ্যই ঈশ্বরের শত্রুগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইতঃস্তত করে, তবে তারা হয়তো শয়তানের সর্বনাশায় চালিত হবে৷ অতএব, সমস্ত সাধুগণকে অবশ্যই নিজেদের নিমিত্ত আত্মিক যুদ্ধ করতে হবে৷ সাধুগণ কর্ত্তৃক সকল যুদ্ধ ন্যায্য৷ ঈশ্বরকে অনুসরণ করতে হলে প্রত্যেক সাধুকে অবশ্যই শয়তান এবং তার সেবকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং জয়লাভ করতে হবে৷
সাধুগণকে অবশ্যই ঈশ্বরের রাজ্যের নিমিত্ত যুদ্ধ করতে হবে৷ ঈশ্বরের রাজ্যের নিমিত্ত তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীর লোকদের দ্বারা নির্যাতিত এবং ঘৃণিত হতে হবে৷ সাধুগণকে প্রভুর পক্ষে যুদ্ধ করার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে, এটা একটা উত্তম বিষয়৷ যদি এই সুযোগ আপনাকে প্রদান করা হয়, তবে এর জন্য তাঁর কাছে আপনার কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত৷ যেহেতু এই যুদ্ধ ঈশ্বরের ধার্মিকতার পক্ষে তাই এইরূপ যুদ্ধ একটা উত্তম যুদ্ধ৷ 
ঈশ্বর ধার্মিকগণকে সাহায্য করেন৷ আমাদের জীবনে আর বেশি দিন বাকি নেই আর আমার প্রত্যাশা এবং বিশ্বাস যে, আমরা আমাদের বাকি জীবন পবিত্র আত্মায় যুদ্ধ করে কাটিয়ে দেব এবং প্রভুর সাক্ষাতে দাঁড়ানো পর্যন্ত আত্মিক কাজ করে যাব৷ এই পৃথিবীর লোকেরা কি বলল সেটা কোনো বিষয় নয়, আমাদের আত্মিক যুদ্ধ করতে হবে, আত্মার ফল ধারণ করতে হবে এবং এই ফল প্রভুর সাক্ষাতে উত্সর্গ করব৷ প্রভুর আগমনের দিন যখন সন্নিকট, তখন আসুন আমরা সকলে দৃঢ়তার সাথে তাঁর সম্মুখে দাঁড়াই৷ যখন এই দিন আসবে, প্রভু আমাদের নেত্রজল মুছিয়ে দেবেন এবং আমাদেরকে এমন স্থানে থাকতে দেবেন যেখানে আর কোনো ক্রন্দন নেই, কোনো যন্ত্রণার ব্যথা কিম্বা আর কোনো পাপ সেখানে পাওয়া যাবে না৷
আসুন সকলে বিশ্বাসের সাথে জীবনযাপন করি, আর আসুন এই বিশ্বাসের দ্বারাই আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করি৷