ቤንጋሊ፣ 2
Rev. Paul C. Jong
ምንም እንኳን የኮቪድ-19 ወረርሽኝ ያበቃ ቢሆንም አሁንም በተለያዩ አስቸጋሪ ዓለም አቀፍ ሁኔታዎች ምክንያት የታተሙ መጽሐፎቻችንን በደብዳቤ የመላክ ወይም የመቀበል ችግሮች አሉ። ዓለም አቀፉ ሁኔታ በሚሻሻልበትና በደብዳቤ የመላኩ ጉዳይ ወደ መደበኛ ሁኔታ በሚመለስበት ጊዜ የታተሙ መጽሐፎችን በደብዳቤ መላክ እንጀምራለን።
এই বইটি এই ধারাবাহিক বইয়ের সিরিজের প্রথম বইটির পরবর্তী খন্ড৷ ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন কিন্তু মানুষ পাপ করেছিল ও ঈশ্বরের গৌরব বিহীন হয়েছিল৷ সুতরাং প্রতিটি মানুষের নুতন জন্ম প্রাপ্ত করা প্রয়োজন৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো সেই নুতন জীবন কিভাবে অর্জন করা যায়? নুতন জন্ম লাভের পথ হলো জল ও আত্মা হতে সেই জন্ম প্রাপ্ত করা৷
এই জলের তাত্পর্য কী? এর তাত্পর্য হলো যীশুর বাপ্তিস্ম৷ এই বইটির মধ্যে যোহন বাপ্তাইজক কর্তৃক যীশুর বাপ্তাইজিত হওয়ার কারণ আলোচনা করা হয়েছে৷ এই বই থেকে আপনি জানতে পারবেন যে যীশু কেবলমাত্র তাঁর নম্রতা প্রদর্শন করবার জন্য বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেন নি৷ আপনি কি নোহের সময়ের জলপ্লাবনের সাথে যীশুর বাপ্তিস্মের যোগসূত্র বুঝতে চান? তাহলে বইটি পাঠ করুন৷
আপনি কি এই কথা চিন্তা করে আশ্চর্য বোধ করেন যে জগৎ থেকে কেন জল ও আত্মার সুসমাচার বিলীন হয়ে গিয়েছিল? সুসমাচারের উপর মিলানের অনুশাসনের প্রভাব কী ছিল? বইটির লেখক এই বইটিতে প্রতিটি বিষয়কে তুলে ধরেছেন৷
ধর্মতত্ত্ব বা কোন মতবাদ আমাদের উদ্ধার করতে পারেনা। অনেক খ্রীষ্টিয়ান এগুলো অনুসরণ করে কিন্তু নূতন জন্ম লাভ করেনা। এই বইয়ের মধ্যে আমরা জানতে পারবো ধর্মতত্ত্ব বা মতবাদের ভিতরে কি ভুল রয়েছে এবং সবচেয়ে সঠিক উপায়ে কিভাবে যীশুকে বিশ্বাস করতে হয়।
বাইবেলে স্পষ্টরূপে বলা হয়েছে যে, পাপের পথ এতই প্রশস্ত যে, অনেকেই সেই পথে যায়, কিন্তু জীবনের পথ খুবই সংকীর্ণ, খুব অল্পলোকেই তা অনুসরণ করে৷
এই বইটি আমাদের জীবনকে সত্য পথে ও সত্য বিশ্বাসে চালিত হতে সাহায্য করবে৷
সত্য সুসমাচার কি?
সত্য সুসমাচার হল ঈশ্বরের একজাত্র পুত্র যীশু খ্রীষ্ট মানুষ বেশে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং সমগ্র মানব জাতি প্রতিনিধি যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা যর্দ্দন নদীতে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন৷ তিনি পৃথিবীর সমস্ত পাপভার নিজের উপর তুলে নিয়েছিলেন, এবং সেই পাপ নিয়ে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, যেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তাদের পাপ থেকে এবং শেষ বিচার থেকে রক্ষা পায়৷
এই জন্য বাইবেল বলে, “কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।” (যোহন ৩:১৬)৷ এটা ঈশ্বরেরই সংকল্প যেন আমরা এই সত্যে বিশ্বাস করি যে, যীশু খ্রীষ্ট তাঁর বাপ্তিস্মের মাধ্যমে এবং ক্রুশীয় মৃত্যুতে সেচিত রক্তের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়েছেন যেন আমরা ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি৷
যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসে আমাদের সকলের জন্য পাপার্থক বলি হয়েছিলেন এবং জগতের সমস্ত পাপ নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার জন্য তিনি যোহন বাপ্তাইজকের দ্বারা যর্দ্দন নদীতে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন৷ তারপরেই কেবল তিনি তার রক্ত দ্বারা সে পাপের মূল্য পরিশোধ করেছেন৷ এটাই সত্য সুসমাচার৷ বাইবেল আমাদের বলে যে, “কেবল জল দ্বারা নয়, কিন্তু জল ও রক্ত দ্বারা” যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং আত্মাই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, যীশুই ঈশ্বর, এবং এই তিনের “আত্মা ও জল ও রক্ত, এবং সেই তিনের সাক্ষ্য একই।” (১ যোহন ৫:৬-৮)৷ যারা এই শিষ্য যোহনের সত্য বিশ্বাসে বিশ্বাস করে তারা জগতকে জয় করতে পারে৷
সত্যিকারের আলো প্রকাশিত হলে অন্ধকার দূর হয়ে যায়৷ আলো ও অন্ধকার এক সাথে থাকতে পারে না৷ বর্তমান যুগ মন্দতার অন্ধকারে যতই আচ্ছন্ন হউক না কেন, আপনার হৃদয় যতই গোলোযোগপূর্ণ বা শূণ্য হোক না কেন, যে মুহূর্তে আপনি হৃদয় দিয়ে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস দ্বারা নূতন জন্ম লাভ করবেন, তখনই সত্যে আলোয় আপনার হৃদয় পূর্ণ হয়ে যাবে৷ “কারণ যে ঈশ্বর বলিয়াছিলেন, ‘অন্ধকারের মধ্য হইতে দীপ্তি প্রকাশিত হইবে,’ তিনিই আমাদের হৃদয়ে দীপ্তি প্রকাশ করিলেন, যেন যীশু খ্রীষ্টের মুখমন্ডলে ঈশ্বরের গৌরবের জ্ঞান-দীপ্তি প্রকাশ পায়” (২ করিন্থীয় ৪:৬)৷
পাপের পরিত্রাণ ইতিপূর্বেই সাধিত হয়ে গেছে৷ স্বর্গের দরজা খোলা রয়েছে৷ যে কেউ সত্য বাক্যে মনোযোগ করলে এবং বাইবেল অনুসারে জল ও আত্মার সুসমাচারে বিশ্বাস করলে নিজেকে শয়তানের মিথ্যা সুসমাচার থেকে এবং সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা করতে পারে৷ সে ঈশ্বরের আশীর্ব্বাদ লাভ করে স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে৷
ঈশ্বর আন্তরিকভাবে আমাদেরকে আহ্বান করছেন, বলছেন, “অহো, তৃষিত লোক সকল, তোমরা জলের কাছে আইস; যাহার রৌপ্য নাই, আইসুক; তোমরা আইস, খাদ্য ক্রয় কর, ভোজন কর; হাঁ, আইস, বিনা রৌপ্যে খাদ্য, বিনা মূল্যে দ্রাক্ষারস ও দুগ্ধ ক্রয় কর” (যিশাইয় ৫৫:১)৷ আসুন, আমরা সকলে “জল ও আত্মার সুসমাচার” এর প্রতি ফিরে আসি৷ আসুন আমরা ঈশ্বরের আসন্ন বিচার এড়াই এবং তাঁর অনুগ্রহ এবং আশীর্ব্বাদের রাজ্যে প্রবেশ করি।